সন্তানরা যখন তাদের বাবা-মার স্বপ্নের বলি হয়ে দাঁড়ায়
একটি শিশু সন্তান যখন তার মায়ের পেটে আসে তখন থেকেই ওই শিশুকে নিয়ে তার বাবা-মা অনেক স্বপ্ন দেখতে থাকে। আলট্রাসনোগ্রাফি এর মাধ্যমে প্রথমে তারা জেনে নেয় তাদের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে হবে। এটা নিশ্চিত হওয়ার পর ওই সন্তানকে ঘিরে এক ধরনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে রাখে।
সন্তানকে কেমন ভাবে লালন পালন করবে, সংসারের দেখাশোনা, ভরণপোষণের খরচ মেটানো ইত্যাদি নিয়ে ব্যাপক চিন্তায় থাকে। তাদের স্বপ্নের ব্যবধি এতোটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে কোন কথায় ছিলনা। সন্তান বড় হওয়ার পর ডাক্তার হবে, না ইঞ্জিনিয়ার হবে , নাকি অন্য কোন কিছু হবে সেটা নিয়ে পর্যন্ত স্বপ্ন দেখে থাকে। যা নিতান্ত এক ধরনের বোকামি ছাড়া আর কিছুই না।
সন্তান যখন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে তখন তাদের বাবা-মা তাদের নিজেদের পরিকল্পনা করা স্বপ্নের দিকে সন্তানদের এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে এবং তা বাস্তবায়িত করতে সর্বাত্তক চেষ্টা চালিয়ে যায়।একবারও ভেবে দেখে না যে, তাদের সন্তানদের স্বপ্ন কিংবা ইচ্ছা কি হওয়ার। সন্তানরা কি আদো তাদের বাবা-মার পরিকল্পনা করা স্বপ্নের সারথি হতে চায় নাকি তাদের মনে অন্য কোন স্বপ্ন ঘুরপাক খায় তা নিয়ে কখনোই ভাবে না।
একটি শিশু সন্তানকে যদি জোর করে খাবার গলধঃকরণ করানো হয় তাহলে এই শিশুর বদহজম হয়।ফলে হিতে বিপরীত হয়ে যায়। ওই খাবার শিশুর জন্য তো পুষ্টিকর নয়ই, বরং শিশুর পেটে যা ছিল তাও বেরিয়ে যায়। ঠিক তেমনি ভাবে যদি একটি ছেলে বা মেয়ের ওপর জোর করে অন্য স্বপ্ন চেপে দেয়া হয়, তাহলে তারা ওই স্বপ্ন পূরণ তো দূরের কথা বরং তাদের নিজ স্বপ্ন বলি হয়ে যায়। এভাবে দেশের কত ছেলে মেয়ে যে তাদের বাবা-মার স্বপ্নের গলি হয়েছে তার কোন হিসাব নেই।
একবার ভেবে দেখুন তো যদি সাকিব আল হাসান কিংবা শচীন টেন্ডুলকারকে জোর করে ফুটবল খেলানো হতো তাহলে কেমন হতো। রবীন্দ্রনাথ কিংবা নজরুল যদি সাহিত্য চর্চা না করিয়ে বিজ্ঞান চর্চা করানো হতো তাহলেই বা কেমন হতো। আত্মতৃপ্তি বিষয়টা অনেক জরুরী বর্তমান যুবসমাজের জন্য। যে কাজ এ আত্মতৃপ্তি রয়েছে ওই কাজকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত এবং জীবনের ইচ্ছা হিসেবে ওই কাজটি বেছে নেওয়া উচিত।
অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে তা শেয়ার করার জন্যে।
আপনাকে ও ধন্যবাদ ভাই।
সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। আসলে আমাদের অভিভাবকেরা ওইভাবেই ব্যাপারটা কখনো চিন্তা করে না। এটা একটা খুশির সংবাদ হচ্ছে বর্তমানে অনেক অভিভাবক এ ধরনের চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসছে। আসলে আমাদের উচিত না কারও উপর কোন কিছু চাপিয়ে দেয়া। তার ফল কখনও ভাল হয় না। আপনার পোস্টিটি ভালো হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
বাবা মা সন্তানের উপর জোর করে তাদের বানানো স্বপ্ন গুলো চাপিয়ে দেয়।এত সুন্দর লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপননাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।