বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়ের স্মৃতিচারণ "১০ শতাংশ লাজুক শিয়ালের জন্য বরাদ্দ"
করোনা ভাইরাসের শেষের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায় চুকে গেলও,স্মৃতি গুলো এখনো স্মৃতির পাতায় বন্দি রয়েছে। হাজার চেষ্টা করেও স্মৃতিগুলো মুছে ফেলা সম্ভব নয়। হয়তোবা স্মৃতির পাতা থেকে সরে যেতে পারে, কিন্তু মন থেকে মুছে যাওয়া কখনোই সম্ভব না। বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়ের স্মৃতি থেকে যতই দূরে সরে যেতে চাই, সেগুলো ততই মনের মনিকোঠায় স্থান নিয়ে থাকতে চায়। আজকের অলসভাবে কাটানো দিনে স্মৃতি গুলো মনের মধ্যে নাড়া দিয়ে যাচ্ছে।
ভালো সময় গুলো কত দ্রুত চলে যায় তা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পদার্পণ না করলে বুঝতেই পারতাম না। সেই ছোট থেকে বড় হওয়ার প্রতিটি মুহূর্তে বাইরের বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে খুব কম সময় অতিবাহিত করেছি। স্কুল এবং কলেজ জীবনে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে খুব কম সময় অতিবাহিত করেছি। শেষ হয় বাবা মা এবং ছোট ভাইয়ের সঙ্গে খুনসুটি গুলো বেশি জমেছে। বন্ধু-বান্ধব, বড় ভাই এবং জুনিয়রদের সঙ্গ কেমন হয় তা অনুভব করতে পারিনি।আমার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে। যদিও ক্যাম্পাসে এসে প্রথমে কারো সঙ্গে তেমন একটা মিশতে পারিনি। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সকলের সঙ্গে ভালোভাবে মিশেতে পেরেছি।
চার বছরে অনেক মধুময় সময় কাটালেও, সকল মুহূর্তের ছবি উঠানো হয় নি। সুন্দর মুহূর্ত গুলো ফ্রেমে বন্দী করতে না পারলেও, মনের মধ্যে গেঁথে থাকবে আজীবন। এই স্মৃতিগুলো থেকে যতই দূরে থাকার চেষ্টা করে না কেন সেগুলো আপনা আপনি এসে মনের দরজায় উকি দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির শুরুতে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ক্যাম্পাসে রাতের আড্ডা, সবাই মিলে একত্রে কোরাম করা, একসঙ্গে ডিপার্টমেন্টের বন্ধু বান্ধবীরা মিলে চা খাওয়া, বড় ভাইদের ফাঁপড় গুলো সহ্য করা, আবার পরবর্তীতে এই বড় ভাইদের সঙ্গেই খুনসুটিতে মেতে ওঠা এসবই ছিল বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়ের স্মৃতিচারনে। আবার অবসর সময়ে বন্ধু-বান্ধব মিলে ভবিষ্যতে ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে হতাশ হয়ে যাওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে শিক্ষকদের ঝাড়ি খাওয়া, রাতে ক্যাম্পাসের ফলের গাছ গুলো থেকে ফল চুরি করে খাওয়া আরো কত যে মধুর খুনসুটি তা বলে শেষ করা যাবেনা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কাটানো এই স্মৃতিগুলো অতীত হয়ে গেল, মাঝে মাঝে মনের মধ্যে এসে নাড়া দেয়। মনের মধ্যে যখনই স্মৃতিগুলো নাড়া দেয় তখন আপনা আপনি মুখে আনন্দের ছাপ ফুটে ওঠে।
ধন্যবাদ সবাইকে
ফটোগ্রাফি | @abusalehnahid |
---|---|
ডিভাইস | SAMSUNG J7 Next |
লোকেশন | W3W |
আসলেই ভাইয়া করোনাভাইরাস এর সময় সবকিছু বন্ধ থাকার পরেও স্মৃতিগুলো আমাদের স্মৃতির পাতায় বন্দি আছে।আসলেই স্কুল জীবন কলেজ জীবন তারপরে বিশ্ববিদ্যালের জীবন আসলেই স্মৃতি গুলো কখনোই ভোলার নয়। হ্যাঁ আসলে ভালো সময় গুলো দ্রুত চলে যায়। বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ক্যাম্পাসের রাতের আড্ডায় সকলে মিলে কেরাম খেলা। বাহ অনেক সুন্দর মুহূর্ত যাপন করেছেন। স্মৃতিতে রয়ে গেছে। হ্যাঁ এটা সত্যি যে স্মৃতিগুলো নাড়া দিলে আপনা আপনি মুখে আনন্দের ছাপ ফুটে ওঠে
সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আপনি অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দেয়া, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া কিংবা বড় ভাইদের সঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত কাটানো সবকিছুই অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
সময় মানুষের জীবনকে বদলে দেয়। আমাদের স্টুডেন্ট লাইফ প্রাইমারি জীবন; হাই স্কুল জীবন; কলেজ জীবন; বিশ্ববিদ্যালয় যেমন সবকিছুই যখন সম্মুখীন হয়েছি তখন একটা সময় ছিল এক একটা মধুরতা। এক এক সময় পেয়েছি নতুন নতুন বন্ধু বান্ধব, তবে আপনার মত আমাদেরও একটা সময় ছিল। আজকে আজকে মাস্টার্স শেষ করে যেন বন্ধুবান্ধব থেকে নিজেকে অনেক দূরে হারিয়ে ফেলেছি ।নিজেকে বড় একা মনে হয়। এমন একটা দিন ছিল যখন লেখাপড়া ছিল ছিল আর বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আয়োজন। এখন সেই দিন আর নেই নিজেকে বড় একা একা লাগে।
আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে আপনি বন্ধু-বান্ধবদের খুব মিস করছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে বেশ আনন্দে কাটিয়েছেন সময়গুলো। আসলে সুন্দর সময় গুলো স্মৃতি হতে খুব বেশি সময় লাগে না। ভালো মুহূর্ত গুলো চোখের নিমেষেই শেষ হয়ে যায়। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ঠিক বুঝতে পেরেছেন ভাই। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটা যেন চোখের পলকে শেষ হয়ে গেল।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।