বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিদায় মুহূর্ত "১০ শতাংশ লাজুক শিয়ালের জন্য বরাদ্দ"
একটি জাতি গঠনের প্রধান কারিগর হলেন শিক্ষক। যে দেশের শিক্ষকদের মান যত ভালো, ওই দেশ সব দিক থেকেই তত বেশি উন্নত। এটা প্রথমদিকে তেমন একটা উপলব্ধি করতে না পারলেও, বর্তমানে এসে বিষয়টি হারে হারে উপলব্ধি করতে পারছি। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা খুব একটা উন্নত নয়। এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যে দিন দিন অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে, তার প্রধান একটি চিহ্ন হল- শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি। এখন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যেও ভালোই দুর্নীতি প্রবেশ করেছে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার থেকে প্রাধান্য দেওয়া সুদ এবং ঘুষের দিকটা। তবে এত সব দুর্নীতির মাঝেও কিছু কিছু শিক্ষক তাদের নিজ যোগ্যতাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হন। আজকে আমি এমন একজন সৎ নিষ্ঠাবান এবং দায়িত্ববান শিক্ষককের বিদায়বেলায় কাটানো মুহূর্ত নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব।
আজকে আমি যে শিক্ষককে নিয়ে লিখবো ওনার নাম ড. মো: নাজমুল হক স্যার। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন উনি। স্যার যে কোনো প্রকার সুদ ঘুষ ছাড়াই নিজ যোগ্যতায় শিক্ষক রয়েছেন তার নমুনা পাওয়া যায় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওনাকে নিয়ে প্রশংসা করা। নাজমুল হক স্যার অবশ্য কয়েকটি বইও লিখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সকল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের ভালোবাসার এই মানুষটির বিদায় বেলাটাও বেশ ভালোভাবেই সম্পন্ন করা হয়েছিল। বাংলা বিভাগের সকল শিক্ষার্থীরা দুদিন আগে থেকেই স্যারের বিদায় উপলক্ষে ডিপার্টমেন্ট ভবনটির সাজগোজ করছিল। ডিপার্টমেন্টের সামনে এর স্টেজ সাজানো, অন্যান্য সকল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য স্টেজের সামনে বসার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে যাবতীয় সকল কার্যক্রম বেশ ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছিল। প্রোগ্রামের দিনে অনেক শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছিলেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর সহ সকল শিক্ষক উপস্থিত থাকার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও বেশ কয়েকজন শিক্ষকরা তাদের নিজ নিজ ব্যক্তিগত কাজের জন্য উপস্থিত থাকতে পারেননি। বিদায় বেলায় সকল শিক্ষক বক্তব্য প্রদান করেছিল এবং নাজমুল হক স্যার কে নিয়ে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেছিল। সবশেষে নাজমুল হক স্যার অন্য সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন। নাজমুল হক স্যারের শিক্ষাগত ক্যারিয়ারের অধিকাংশ অংশ জুড়ে ছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এই সুদীর্ঘ পথের কিছু সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত স্মৃতিচারণ করে আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এবং শেষ বেলায় তার বিদায় মুহূর্ত সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শেষে কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা মিলে নাজমুল হক স্যারকে ফুল দেন, ক্রেস্ট ও প্রতিকৃতি প্রদান করেন এবং সম্মাননা জানান। সারের প্রধান শখ গুলোর মধ্যে একটি হলো অবসর সময়ে বাঁশের বাঁশি বাজানো।একজন শিক্ষক এজন্য স্যারের বিদায় বেলায় বাঁশের বাঁশি উপহার দেন।বাঁশিটি উপহার পাওয়ার পরই বোধহয় স্যার সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছিলেন। আসলে বিদায় বিষয়টি সকলের জন্যই কষ্টকর। একে একে সবাইকে সকল কর্মক্ষেত্র থেকে একদিন বিদায় নিতে হয়।
ফটোগ্রাফি | আবু সালেহ নাহিদ |
---|---|
ডিভাইস | ডিএসএলআর ক্যামেরা |
লোকেশন | বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনি চমৎকার ভাবে আপনার অনুভূতি আমাদের সামনে প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাটানো এই দিনটিকে আমাদের সামনে উপস্থাপন করছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
সুন্দর মন্তব্য করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
বিদায় সব সময় অনেক মন খারাপের হয়। তবে দুনিয়ার রীতি হচ্ছে বিদায় একদিন যেতে হবে। এটাই যেন আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আসলে শিক্ষক হচ্ছে পিতার সমতুল্য। আমরাদের আমাদের উচিত সবসময় শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করা। শিক্ষকদের বিদায় উপলক্ষে সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
ভাই আপনার সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্য আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিদায় বেলায় স্যারকে দেখে বুঝা যাচ্ছে যে,উনি আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। ওনাকে অনেক ভালোভাবে বিদায় দিয়েছেন আপনারা।আল্লাহ আপনাদের প্রিয় শিক্ষককে দীর্ঘজীবী করুক এই কামনাই করি।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বিদায় বেলা সত্যি খুব কষ্টের ভাই। আপনার শিক্ষকের বিদায় দিনের অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি গুলো খুবই চমৎকার ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আজকে। তবে এই বিদায়ে কিছুটা কষ্টের হলো এর মধ্যে অনেকটা আনন্দ নিহিত আছে কারণ মানুষটা আপনাদের অনেক কিছু শিখিয়ে গেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত প্রদানের জন্য।
স্যার চলে যাচ্ছেন বিদায় নিয়ে জানি আপনার অনেক মন খারাপ। আসলে হয় আমাদের সাথে এমন অনেক। অনেক স্যার মেডাম এর সাথে কাটানো অনেক স্মৃতি থাকে আমাদের মাঝে। আপনার ও আপনার স্যারের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো ভাই।
সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করেছেন ভাই।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এরকম বিদায় মুহূর্তের অনেক সাক্ষী আমার জীবনের সাথে জড়িত রয়েছে। অনেক শিক্ষকের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও নিজেকে আলাদা হয়ে যেতে হয় ।যেটাই প্রকৃতির নিয়ম যেতেই হবে আপনার পোস্টটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো ।অতীতের স্মৃতি বিজড়িত কথা মনে পড়ে গেল শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।