করোনাকালীন সময় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা(লাজুক শিয়ালের জন্য বরাদ্দ ১০%)
২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দেশের সকল প্রতিষ্ঠানসমূহ। ফলে ক্যাম্পাসে আর না থেকে বাসায় ফিরে আসতে হয়েছিল। তখন থেকেই বাসায় বসে দিনকাল কেটে যাচ্ছিল। শুধু যে আমারি এমন হচ্ছিল তা না, এদেশের প্রায় সকল মানুষের এমন ঘরে বসে একঘেয়েমি অবস্থার মধ্যে দিয়ে দিন অতিবাহিত হচ্ছিল। পরিবারের কর্মজীবী অনেক মানুষরা কর্মহীন হয়ে পড়েছিল।
সমাজের নিম্নবিত্ত অর্থাৎ গরিব মানুষদের অবস্থা আরো শোচনীয় পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। নিম্নবিত্ত পরিবারের কর্মজীবী মানুষরা সাধারণত দিন আনে দিন খায়। তারা যদি একদিন কাজ না করে তাহলে তাদের পরিবারকে না খেয়ে থাকতে হয়। এজন্য আমরা বন্ধুরা মিলে উদ্যোগ নিলাম সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষদের জন্য কিছু একটা করার। কারণ আমরা সবাই বুঝতে পেরেছি যে, এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে তাদের পারিবারের লোকজনের অবস্থা কেমন হতে পারে।
এই চিন্তাধারা থেকেই সমাজের যারা উচ্চ পর্যায় রয়েছে তাদের থেকে টাকা সংগ্রহ করা। আমাদের পরিচিত শিক্ষক- শিক্ষিকা, সরকারি চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ইত্যাদি লোকজনের কাছে গিয়ে টাকা সংগ্রহ করতে লাগলাম। এক্ষেত্রে আমরা তিন-চারজন বন্ধু মিলে একত্রে গিয়েছিলাম। সবাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদেরকে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করেছিল। সংগ্রহ করা টাকা দিয়ে আমরা একটি পরিবারের নিত্যদিনের খাদ্য সামগ্রী দোকান থেকে ক্রয় করেছিলাম। এধরনের কাজ গুলা সাধারণত এক আনা করে দলগতভাবে করলে কাজগুলো সহজ হয়।
পরবর্তীতে ক্রয় করার খাদ্য সামগ্রী গুলো প্যাকিং করি। প্রতি ত্রাণ সামগ্রীতে ১০ কেজি চাউল, ২ কেজি মসুর ডাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি পিয়াজ এবং দেড় লিটার সয়াবিন তেল রেখেছিলাম। পরবর্তীতে সবগুলো প্যাকেট নিয়ে একটি পিকআপ এ বোঝাই করে চলে যায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোতে, যেখানে গরিব লোকজনদের সংখ্যা খুবই বেশি। আমরা বন্ধুরা মিলে প্রত্যেক বাড়ি গিয়ে এসব নিম্নবিত্ত লোকজনদের প্রাণ দিয়ে আসি। অনেকেই হয়তো ভাববেন আমার আজকের পোস্টটি হয়তোবা লোক দেখানোর জন্য করছি। আসলে যদি আমার আজকের পোস্টটি দেখে আপনারা এমন উদ্যোগ গ্রহণ করে লোকজনদের সাহায্য করতে পারেন,তার জন্যই আজকের পোস্টটি আমাদের কমিউনিটিতে শেয়ার করলাম। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং আশেপাশের গরিব লোকজনদের পাশে দাঁড়াবেন।
মহৎ একটি কাজে শামিল হয়েছেন ভাইয়া।
আমরাও কলেজ থেকে একটি ক্লাব গঠন করে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য এক সপ্তাহ খাবারের ব্যাবস্থা করেছিলাম।কিন্তু ফান্ড স্বল্পতার কারণে সেটা আর বেশিদূর এগোতে পারি নি। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইলো ভাই।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আপনাদের এই মর্যাদাপূর্ণ এবং মানুষের সেবামূলক কর্মযোগ এ আমি স্যালুট জানাই। সত্যিই এ সকল কর্ম গুলো যদি আমরা সবাই একসঙ্গে করতে পারি তাহলে মানব সেবায় হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
ভালোবাসা অবিরাম প্রিয় ভাই তোমাদের জন্য
আপনার জন্য ভালবাসা রইলো ভাই।
ভাই আপনার এই মহৎ কাজের প্রতি সম্মান জানাই। আমি সত্যিই করোনাকালীন সময়ের যারা দিন আনে দিন খায়। নিম্নআয়ের মানুষ তারা যদি একদিন কাজ না করে তাহলে তারা খাবে কি। অত্যন্ত সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন অনেক বাস্তবমুখী কথা তুলে ধরেছেন খুবই ভালো লাগলো। আপনাদের জন্য দোয়া করি যেন আপনারা এই মহৎ কাজে সারা জীবন করে যেতে পারেন। অসহায়দের একটু খাদ্য যোগাড় করে দিতে আল্লাহ যেন আপনাদের সহায় থাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। এই মহৎ কাজের উদ্যোগ এর প্রতি আমি সালাম জানাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সত্যি দারুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন আপনারা। দোয়া রইল আপনাদের জন্য আপনারা যেন আপনাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন এবং সাধারন মানুষ জনকে সহায়তা করতে পারেন।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই m
মানুষের জন্য মানুষ। সুমন ছিল উপস্থাপনা। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
খুবই মহৎ একটি উদ্যোগ ছিলো এটি, আসলে সমাজের সবাই এভাবে চিন্তা করলে আমাদের সমাজের চেহারাটা পাল্টে যেত। ধন্যবাদ আপনার মহৎ কাজের কিছু দৃশ্য আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ত্রাণ জনসেবার একটি অংশ।একজন বড়লোকের নিকট থেকে নিয়ে ১০ জন গরীব দুঃখিকে সাহায্য করা ভালো কাজের মধ্যে পড়ে।সবমিলে পোস্টটি অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনারা খুবই মহৎ কাজ করছেন এই দুঃসময়ে।আমি এটি সত্যিই পছন্দ করি।আপনাদের সবার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।