বৃষ্টির দিনে হোস্টেলে বেগুন ভাজি ও খিচুড়ি রান্নার মুহুর্তগুলো||(১০% পে আউট লাজুক-খ্যাকের জন্য)
আজ
আজ
৫ই কার্তিক, ১৪২৮
21th Oct.-2021 ♦
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় ভাই,বোন এবং বন্ধুরা,আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।আজকে আমি আপনাদের সামনে শেয়ার করতে যাচ্ছি হোস্টেলে রান্নার কিছু বিশেষ মুহূর্ত।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ফ্রেমবন্দী আজকে বাজার ও রান্নার কিছু মুহূর্ত
গত তিন দিন ধরে আমাদের চাঁদপুর জেলায় একটানা বৃষ্টি হচ্ছে।আর এমন দিনে খিচুড়ি আমার কাছে পার্ফেক্ট একটি খাবার বলে মনে হয়।বাড়িতে থাকলে বৃষ্টির দিন আম্মু প্রায় খিচুড়ি রান্না করতো।কিন্তু এখন তো আর বাসায় নেই হোস্টেলে তাই ভাবলাম আমরা হোস্টেলে যেই কয়জন আছি তারাই রান্না করে ফেলি এটি।যেই ভাবা সেই কাজ আর সুযোগটাও আমাদের অনুকূলে ছিল কারণ পূজার বন্ধে প্রায় ৯০% ছাত্রই বাসায় ছিল।তাই আমরা চার বন্ধু মিলে ঠিক করলাম আজকেই খিচুড়িটা রান্না করে ফেলি।খিচুড়ি সাথে কি খাব অনেক দ্বিধা দ্বন্দের পর ঠিক হলো এর সাথে স্পেশাল বেগুন ভাজি হবে কারণ মাংস তো প্রায়ই খাওয়া হয়।আর বাজারের সকল লিস্ট ঠিক করার পর আমরা চারজন বৃষ্টি উপেক্ষা করে বেরিয়ে পড়লাম রান্নার উপকরণাদি কেনার জন্য বাজারের উদ্দেশ্যে।
বাজারের কয়েকটি ফটোগ্রাফিঃ⬇️
বৃষ্টির দিনে বাজার করার আজ অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা হলো।আর বৃষ্টিও হচ্ছিলো আজ অন্য রকমের দশ মিনিট পর পর বৃষ্টি আসছে আবার ছেড়ে যাচ্ছে।যাইহোক অনেক কষ্টে বৃষ্টিতে ভিজে বাজার করার কাজ শেষ করলাম।তবে বৃষ্টিতে জামাকাপড় ভেজাতে তেমন কষ্ট না পেলেও সবজির দাম শুনে মাথায় হাত দেওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল।
বৃষ্টিতে ভিজে বাজার শেষ করে আসার পথে
উপকরণাদি গুলো এখন আমাদের রান্নাঘরে।এবার রান্নার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
১ম ধাপঃ
প্রথমে খিচুড়ি রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণাদি কেটে রেডি করে রেখেছিলাম।
২য় ধাপঃ
এবার চাল-ডাল ধুয়ে প্রয়োজনীয় মশলাগুলো দিয়ে এগুলোকে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
৩য় ধাপঃ
এবার মসলা মেশানো চাল ডাল গুলোকে হালকা ভেজে এর ভিতর পরিমাণমতো পানি দিয়েছিলাম।
৪র্থ ধাপঃ
ঢাকনা বদ্ধ অবস্থায় কিছুক্ষণ রাখার পরই তৈরি হয়ে গেছিল আমাদের কাঙ্ক্ষিত খিচুড়ি।
খিচুড়ি রান্নার পরপরই আমরা বেগুন ভেজে নিয়েছিল।
বেগুন ভাজির কাজ খুবই সহজ।তাই এটি ভাজি খুব দ্রতই হয়ে গেছিল।
আমাদের কাঙ্ক্ষিত খাবার বেগুন ভাজি এবং খিচুড়ি দুটোই রান্নার কাজ শেষ এখন খাবার পালা।আমরা রান্নার শুরু করেছিলাম দুপুরে আর বাজার থেকে শুরু করে রান্নার কাজ শেষ করতে বিকেল হয়ে গেছিল।তাই ক্ষুধা লেগে গেছিল প্রচন্ড।এরজন্য রান্না শেষ হবার পরপরই খাওয়া শুরু করে দিয়েছিলাম।
প্রচন্ড ক্ষুধাও যেমন লেগেছিল তেমনি খাবারগুলোও সুস্বাদু হয়েছ।সব থেকে বড় কথা নিজের হাতের রান্না তাই প্রয়োজনের তুলনায় একটু খেয়েছিলামও বেশি।আসলে হোস্টেল লাইফে এগুলোই আমার সবথেকে ভালো লাগে।একসাথে রান্না করা খাওয়া-দাওয়া।তবে সবসময় তো সেটি সম্ভব না আজকে সৌভাগ্যক্রমে সুযোগ পেয়ে গেছিলাম তাই এটি আর হাতছাড়া করি নাই।আর আমার সুন্দর এই মুহুর্তটি আপনাদের সাথেও শেয়ার করে দিলাম।
তো এই ছিল আমার আজকের পোস্ট।আমার পোস্টে আপনাদের ভালো লাগার মাধ্যমেই আমি স্বার্থকতা এবং কাজ করার অদম্য উৎসাহ খুজে পাই।সর্বোপরি আমার আজকের হোস্টেলে রান্নার মুহুর্তগুলো আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
🌻ধন্যবাদ আমার পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ আমার পাশে থেকে সাপোর্ট করার জন্য❤️
শুভেচ্ছান্তেঃ@abir10
বৃষ্টির দিন মানেই খিচুরি খাওয়ার সব থেকে ভালো একটা দিন। বৃষ্টির দিনে খিচুরি আর ডিম ভাজি খেতে অনেক মজা লাগে। আপনি বৃষ্টির দিনে খিচুরি আর বেগুন ভাজি রান্না করেছেন। এটাও খারাপ না বেশ ভালোই। সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে আপনার পোষ্ট শেয়ার করার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া❤️
এই বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি সাথে বেগুন ভাজা হলে আর কিছুই লাগে না। আপনারা অনেক মজা করেছেন এই খিচুড়ি খেতে খেতে তা বুঝাই যাচ্ছে। যেহেতু একসাথে বাজার করেছেন। অনেক শুভকামনা রইল এবং খুবই ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খাওয়ার স্বাদটায় একটু আলাদা। ভাইয়া, আমি বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে পছন্দ করি আচার দিয়ে। আপনার খিচুড়ি দেখে ক্ষিদে লেগে গিয়েছে। সুন্দর ভাবে আপনি খিচুড়ি রান্না করেছেন। প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে।ধন্যবাদ ভাইয়া, সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বলে।
ধন্যবাদ আপু।শুভকামনা রইলো।
রঙে রঙে রাঙিয়ে, খিচুড়ির স্বাদ রঙের দিকেই চলে গেল। এখন এগুলো আমি আলোকচিত্রের মতই দেখছি। খাবারের মত নয়। মনের মাধুরি ভালছিল।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
এতো সুস্বাদু,এই ভাত দেখে ক্ষুধা লাগছে
ধন্যবাদ ভাইয়া
আমাদের দিকেও তিন দিন ধরে একই অবস্থা। আপনারা তো রীতিমতো এর সুযোগ নিয়ে পিকনিক করে ফেলেছেন। খুব ভালো লাগল দেখে। খিচুরি এবং বেগুন ভাজি দেখেই তো মন জুড়িয়ে গেল। ভালো হয়েছে পোস্ট টা।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ❤️
খিচুড়ি আমার এমনি অনেক পছন্দের একটি খাবার কিন্তু সেটা যদি বৃষ্টির দিনে হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। আপনার তৈরি করা খিচুড়ি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে যে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। খিচুড়ি সাথে বেগুন ভর্তা এবং ডিম ভাজি রাজকীয় একটা খাবার। এতো সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ❤️
বৃষ্টি মানেই খিচুড়ি। বৃষ্টি হলে মনে হয় খিচুড়ি খাই। আপনার মত আমরাও কালকে খিচুড়ি খেয়েছি। আপনার সঙ্গে মিলে গেল। শুভকামনা ভাইয়া আপনাদের জন্য। বন্ধুদের নিয়ে অনেক মজা করে খিচুড়ি খেয়েছেন।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য
ভাই আসলে এক সাথে থাকলে এটা খুব মজা লাগে। আর বৃষ্টি টা শীত নামাবে তাই এমন এক টানা বৃষ্টি হচ্ছে। খুব মজাদার ছিল খাবার দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ❤️