'আমার বাংলা ব্লগ':লঞ্চ ভ্রমণের এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা(ভ্রমণবিলাস)
তারিখঃ৯ আগষ্ট-২০২১
@abir10 বাংলাদেশ হতে
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম আমার শ্রদ্ধেয় ভাই এবং বোনেরা, আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন।করোনা ভাইরাসের এই দুর্বিষহ সময়ের মধ্যে আমি আমার লঞ্চ ভ্রমণের এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি যাতে আপনারা আপনাদের জীবনের স্মরণীয় কিছু ঘটনার স্মৃতিচারণ করে সাময়িক সময়ের জন্য খুশি হতে পারেন।আর আমি অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি @rme স্যারকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা মাতৃভাষায় লিখে প্রকাশ করতে পারার জন্য।
সূচনাঃ
ভ্রমণ কথাটা শুনলেই পৃথিবীর প্রায় সকল মানুষের মনেই একটা সুখানুভূতির উদয় হয়।প্রায় সব মানুষই ভ্রমণ করে একটি উদ্দেশ্য নিয়ে আবার কারো ভ্রমণ হয় উদ্দেশ্যবিহীন।এখানে কেউ হয় ভবঘুরে আবার আবার কেউ কেউ কোন ঐতিহাসিক জায়গায় যেয়ে নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে।ভ্রমণ সাধারণত বিভিন্ন মাধ্যমে হয় যেমনঃ জল,স্থল এবং আকাশ পথ।এর মধ্যে আকাশপথের ভ্রমণটা অনেক খরচসম্পন্ন।আর স্থলের ভ্রমণে অনেক সময় বিরক্তিকর জানজটে পরতে হয়,তাই আমার কাছে জল পথে ভ্রমণটাই সব থেকে ভালো এবং উপভোগ্য মনে হয়।আর আমার নিজের ভ্রমণটাও স্থল পথে,তাই আর কথা না বাড়িয়ে চলুন আমার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বি.দ্রঃআমার ভ্রমণটা প্রায় আজ থেকে মাস তিনেক আগে।এটি আমার পার্সোনাল ডাইরিতে লেখা ছিল তাই ভাবলাম আমার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক।
যাত্রার সময়ঃ২৩মে রবিবার(রাত ৩টা)
আমার লঞ্চের যাত্রা শুরু হয় রাত তিনটায়।এটা রাতের শেষ প্রহর হলেও আমার গন্তব্যস্থলে পৌছানোর জন্য এই সময়টাই উপযুক্ত।
গন্তব্যস্থলঃআমার গন্তব্যস্থল চাঁদপুর।এই জেলাটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে অবস্থিত।রাজধানী ঢাকা থেকে এর দূড়ত্ব প্রায় ৯৬ কি.মি.তাই ঢাকা সদর ঘাট থেকে সুন্দরবন-১ নামক লঞ্চে আমার গন্তব্যস্থল চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিই।চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায় বলে একে ইলিশের শহর বলা হয়।
আমার ভ্রমণসঙ্গীঃ
ভ্রমণটা আমার কাছে আরো উপভোগ্য মনে হয়েছে কারণ যাত্রা পথে আমি একা ছিলাম না আমার সাথে ছিল আমার ৪ বন্ধু।সবার মধ্যখানের টা আমি এবং আমার পাশে আমার বন্ধু তানভীর,রাসেল,পারভেজ এবং ফুয়াদ।নদীপথে ঢাকা থেকে চাঁদপুর দীর্ঘ ৫ ঘণ্টার পথ কিন্তু আমরা সবাই একসাথে ছিলাম বলে সময়টা লঞ্চের মধ্যে ঘুরাঘুরি, গল্পগুজব,হালকা খাওয়া-দাওয়া এসব করেই রাতটা কেটে গেছে।লঞ্চের ভিতরে আমরা তৃতীয় শ্রেণির টিকেট কেটেছিলাম এই টিকেটের একটি বিশেষ সুবিধা হচ্ছে এতে লঞ্চের সব জায়গায় ইচ্ছেমতো ঘুরাঘুরি করা যায়।আমরা যেহেতু পাঁচজন ছিলাম তাই এটাই আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে।রাতে কিছু সময়ের বিশ্রামের জন্য আমরা লঞ্চের ফ্লোরে মাদুর বিছিয়ে এর উপর শুয়ে ছিলাম।
সকালবেলাঃ৬টা বেজে ৩০ মিনিট
এখন সকাল ৬ঃ৩০ মিনিট।আমরা আমাদের গন্তব্যস্থল থেকে আর মাত্র দেড় ঘণ্টা দূরে অবস্থান করছি।আজকের আবহাওয়া অনেক পরিষ্কার এবং ইতোমধ্যে সূর্য উঠতে শুরু করেছে।আমরা আমাদের প্রায় গন্তব্যস্থলের কাছাকাছি পৌছে গেছি তাই লঞ্চের ইঞ্জিন একটু ধীর করে দিছে এবং এতে পানির স্রোত টাও অনেক আস্তে হয়ে গেছে।
ওহ!খোদা..আমি এবারও বোকা বনে গেলাম কারণ লঞ্চের ইঞ্জিনটা কমিয়েছিল নদীর মাঝপথ থেকে একটি পণ্যভর্তী ছোট নৌকা থেকে একজন হকারের জিনিস আমাদের লঞ্চে উঠানোর জন্য।
আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌছালাম,আমার দ্বিতীয় বাসা আমার কলেজ হোস্টেল।
উপসংহারঃক্ষণিকের এই জীবনের আমাদের হাজার হাজার অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়।এই হাজারো অভিজ্ঞতার মধ্যে এটি আমার জীবনের মিষ্টি একটা মুহূর্ত ছিল।
ধন্যবাদ সবাইকে @abir10
#Bangladesh
প্রথমে পরিচয়মুলক পোস্ট করুন একটা।
আপনি প্রথমে আমার বাংলা ব্লগে একটি পরিচিতিমূলক পোস্ট করুন।
এরপর আপনাকে মেম্বার ব্যাজ দেওয়া হবে আপনি নিয়মিত লেখালেখি করতে পারবেন।
সাজেশন এর জন্য ধন্যবাদ