DIY-(এসো নিজে করি):||রঙিন কাগজ দিয়ে জাতীয় ফুল শাপলা তৈরি||
আজ ৩১শে ভাদ্র, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি আজকে আপনাদের সামনে হাজির হলাম একটি স্পেশাল পোস্ট নিয়ে।পোস্টটি স্পেশাল কারণ আমার হাতে বানানো ফুলটি বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা।তাই আজকের এসো নিজে করি ইভেন্টে আমার পোস্টটি করতেও খুব গর্ববোধ হচ্ছে।তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক ফুল তৈরির প্রক্রিয়াটি-
জাতীয় ফুল শাপলা
শাপলা ফুল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণাদির নাম নিম্নে দেওয়া হলোঃ
প্রয়োজনীয় উপকরণাদিঃ
১.রঙিন পৃষ্ঠা(৩টি-সবুজ,গোলাপি এবং হলুদ)
২.স্কেল
৩.কাঁচি এবং
৪.ফাস্ট গাম।
শাপলা ফুল তৈরির প্রক্রিয়া নিম্নে ধাপ ক্রমান্বয়ে দেওয়া হলোঃ
প্রথম ধাপঃ
সর্বপ্রথম শাপলা ফুলের পাতা তৈরির কাজ করে নিতে হবে।এর জন্য ২৯ সে.মি. দৈর্ঘ্য ও ২০ সে.মি. প্রস্থের একটি সবুজ পৃষ্ঠা নিতে হবে। এবার পৃষ্ঠাটিকে মাঝ বরাবর ভাজ করে দুপাশে বাকা করে কেটে নিতে হবে।
(29×20 সে.মি. এর কাগজটি দুপাশে ভাজ করে নিতে হবে)
↓↓
(কাগজটি এভাবে বাকা করে কাঁচি দিয়ে কেটে নিতে হবে)
↓↓
(কাটা কাগজটির ভাজ খোলার পর)
দ্বিতীয় ধাপঃ
এবার দুদিকের কাগজ মাঝ বরাবর ভাজ করে নিতে হবে ↑)(এভাবে আরো তিনবার ভাজ করতে হবে↓)
তৃতীয় ধাপঃ
এবার ভাজ করা কাগজটির মাঝে সুঁতা বেঁধে এর দুইপাশে গাম দিয়ে জোড়া লাগিয়ে দিতে হবে
↓↓
(দুপাশে গাম লাগিয়ে জোড়া দেবার পর)
↓↓
(পাতার বাড়তি অংশ কেটে দিলেই হয়ে যাবে পাতা তৈরির কাজ)
চতুর্থ ধাপঃ
এবার ফুল তৈরি করে নিতে হবে।ফুল তৈরির জন্য প্রথমে ফুলের মাঝের হলুদ অংশ তৈরি করে নিতে হবে।এর জন্য ২২ সে.মি. দৈর্ঘ্য ও ৪.৫ সে.মি. প্রস্থের এক খন্ড হলুদ কাগজ কেটে নিতে হবে।
(22×4.5 cm)
↓↓
(এবার কাগজটিকে তিনভাজ করে এভাবে কেটে নিতে হবে)
↓↓
(এবার কাগজটিকে জড়িয়ে শেষের অংশে গাম লাগিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে ফুলের মাঝের অংশ)
↓↓
পঞ্চম ধাপঃ
এবার ফুলের বড় পাপড়ি তৈরির জন্য ১৩ সে.মি. ও ১০ সে.মি. এবং ছোট পাপড়ি তৈরির জন্য ৪ সে.মি. দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের গোলাপি কাগজ কেটে নিতে হবে।
(প্রথমে কেটে নেওয়া বড় কাগজটি এভাবে কোণাকুণি ভাজ করে নিতে হবে)
↓↓
(এভাবে আরো দুইবার ভাজ করে নিতে হবে)
↓↓
(এবার কাঁচি দিয়ে কাগজটির দুইপাশে এবং শেষের অংশে অল্প করে কাটতে হবে)
↓↓
(কেটে ভাঁজ খোলার পর)
↓↓
(এবার পাপড়ির একটি অংশ কেটে গাম দিয়ে জোড়া লাগিয়ে দিতে হবে)
↓↓
এভাবে আরো একটি বড় পাপড়ি এবং তিনটি ছোট পাপড়ি তৈরি করে নিতে হবে
সর্বশেষ ধাপঃ
(এবার সবথেকে ছোট পাপড়ির ভিতরে ফুলের হলুদ অংশটি পড়িয়ে দিতে হবে)
↓↓
(এভাবে ছোট থেকে বড় ক্রমান্বয়ে সবগুলো পাপড়িতে গাম লাগিয়ে ফুলের হলুদ অংশে পড়িয়ে দিতে হবে।তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে শাপলা ফুল)
এবার ফুলটিকে পাতার সাথে লাগিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে সম্পূর্ন শাপলা ফুল তৈরির কাজ।
এই ছিল আমার আজকের পোস্ট শাপলা ফুল তৈরি।এই ফুলকে আমরা প্রায় সবাই চিনি কারণ বর্ষাকালে নদী,নালা,খাল-বিল সবখানে এই ফুলটি ফুটতে দেখা যায়।এতে ওসব জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরো বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।শাপলা ফুল দেখতেও যেমন সুন্দর তেমনি পরিণত বয়সের এই ফুলের ফল অর্থাৎ ড্যাপ এর বীজ খৈ হিসেবে খাওয়া যায় যা অত্যন্ত সুস্বাদু একটি খাবার।তাছাড়া এই ফুলের আরেকটি বড় এবং মহান পরিচয় হলো এটি আমাদের জাতীয় ফুল।
তো আজকে এই পর্যন্তই।ইনশাল্লাহ আবার আগামিকাল নতুন আরেকটি পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে দেখা হবে।সবিশেষে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমার পোস্টটি আজকে এখানেই শেষ করলাম।আর আমার আজকের পোস্টটি কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।ধন্যবাদ।
অসাধারণ হয়েছে ভাই।কাগজ দিয়ে আপনি আপনার হাতের কাজটি খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।শাপলা ফুলটি প্রায় বাস্তবের মতোই হয়েছে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দক্ষতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া...আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।❤️
চোখধাঁধানো মত আপনি শাপলা ফুলটি তৈরি করেছে, তা দেখে খুব ভালো লাগলো। তাই আপনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
রঙ্গিন কাগজ দিয়ে আপনি খুবই সুন্দর শাপলা ফুল তৈরি করেছেন। শাপলা ফুলটি দেখতে খুবই চমৎকার লাগছে। শাপলা ফুল তৈরির প্রক্রিয়া টি ও খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবা আপু আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
তৈরির ধারাবাহিকতা সুন্দর ছিল।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই...আসলে একটি জিনিস ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে হলে ছবির পাশাপাশি এর বর্ণনা টাও গুরুত্বপূর্ণ।শুভকামনা রইলো ভাই আপনার জন্য।
বাহ্ সুন্দর মেধার বিকাশ। ভালো বানিয়েছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই...আপনাদের সাপোর্ট এবং ভালোবাসায় আমি আমার কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পেরেছি।আশা করি ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু করতে পারবো।