কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। বর্তমানে বিশ্বের যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে অর্থনীতির জন্য অবশ্যই অশনি সংকেত।এই অবস্থায় আমাদের যতটুকু সম্ভব বিলাস থাকলে দ্রব্য ক্রয় থেকে বিরত থাকা উচিত। আমাদের কিছুটা হলেও মৃতব্যয়ী হওয়া উচিত। কারণ যেকোন সমস্যার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকা দরকার । বর্তমানে সারাবিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে। সারা পৃথিবীতে ভোগ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামীতে আরো পাবে। যার কারণে আমাদের উচিত একটু ধৈর্যশীল হওয়া যাতে অদূর ভবিষ্যতে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলা করতে পারি। আমাদের অবশ্যই 2008 সালে আমেরিকান, ইউরোপের দেশগুলোর অর্থনৈতিক সংকটের কথা মনে আছে । সেই সময় বাংলাদেশে তেমন প্রভাবিত না হলেও এবার কিন্তু ভালোভাবেই প্রভাবিত হবে ।
বাংলাদেশ আমদানি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক শত চেষ্টা করেও মুদ্রাস্ফীতি কমাতে পারছেনা। বাংলাদেশের বর্তমান ট্রেড ডেফিসিট দেখা দিয়েছে।ট্রেড ডেফিসিট বলতে আমরা একটি দেশে যখন রপ্তানির থেকে আমদানি বেশি হয় তাকে আমরা ট্রেড ডেফিসিট বলি ।আর রপ্তানির থেকে যখন আমদানি বেশি হবে তখন আমাদের আমদানি ব্যয় পরিশোধের জন্য প্রচুর পরিমাণ ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। আমদানির জন্য সাধারণত একটি কমন কারেন্সি অর্থাৎ ডলার দিয়ে মেটানো হয়ে থাকে।যেহেতু ডলারের চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশি তাই বাংলাদেশ ব্যাংক হিসাবে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বাজারে ডলার এর দাম ব্যালেন্স রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ডলার ও ছেড়েছে ।তবুও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। যাই হোক বাংলাদেশ সরকারের উচিত এই সময় বিলাস জাতীয় পণ্যদ্রব্যর উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া । শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ছাড়া অন্য কোন দ্রব্য সামগ্রী আমদানিতে নিরুৎসাহিত করা উচিত। সেই সাথে রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে হবে। নতুন নতুন রপ্তানিবাজার খুঁজতে হবে। যে কোন একটি নির্দিষ্ট পণ্যের উপর নির্ভর না করে মার্কেটে ডাইভারসিটি আনতে হবে ।আশা করছি বাংলাদেশ আশু ক্রাইসিস মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।
দিনে দিনে বাংলাদেশের মুদ্রার মান কমছে। এইরকম চলতে থাকলে দেশে মুদ্রার মান কমে যাবে।
যাইহোক সজনে পাতা দিয়ে ডাউলের বড়াটা টা দারুণ তৈরি করেছেন। দেখেই তো আমার জিভে পানি চলে আসছে। অনেক সুন্দর পরিবেশন করেছেন।।
এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।শুভকামনা রইল।
সজিনার পাতা ও মসুরের ডাল দিয়ে বানানো পাকোড়া গুলো আমার দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে দেখুন আপু। বলছে- এই শান্ত খেয়ে নাও আমাকে। গরম আছি এখন। ঠান্ডা হয়ে গেলে কিন্তু ভাল লাগবে না আর। হাহা। সত্যিই খেয়ে পারলে ভাল লাগতো অনেক। নতুন রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল।
সজনে পাতা আমরা সাধারণত ডাল দিয়ে রান্না করে খেয়েছি অথবা ভর্তা বানিয়ে খেয়েছি। তবে এই প্রথম এত সুন্দর করে পকোড়া বানাতে দেখলাম। ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
খেয়ে দেখবেন ভাইয়া অনেক ভালো লাগবে।
উপরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় শেয়ার করেছেন, বিষয় গুলো জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
ভাইয়া আপনি তো অনেক সুন্দর করে সজিনার পাতা ও মশুর ডাল দিয়ে পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন, আপনার রেসিপিটি আমার খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া, দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার হয়েছে, এভাবে কখনো পাকোড়া রান্না করে খাওয়া হয়নি, তবে আপনার রেসিপিটি দেখে খুব শীঘ্রই বসায় ট্রাই করবো, পোস্টি অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন যে কেউ খুব সহজে দেখে দেখে এই সুস্বাদু পাকোড়া তৈরি করতে পারবে, এতো সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা, এবং অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ভাইয়া এর আগেও আপনি আমার অনেক পোস্ট এর ভাইয়া বলে কমেন্ট করেছেন।কমেন্ট করা সময় যদি একটু নাম দেখতেন তাইলে ভালো হত।
যাইহোক আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগল।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পাকোড়া আমার খুব ই ফেভারিট তবে কখনো সজনে পাতা দিয়ে প্রস্তুত করে খাওয়া হয়নি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মুচমুচে হয়েছিল স্বাদে ভরপুর হয়েছিল
এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
যখনই আপনার পোষ্ট সামনে আসে আপনি শুরুতেই অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কথা শেয়ার করেন। আজকের কথাগুলো সত্যিই ঠিক বলেছেন, সত্যিই বর্তমান বিশ্বে এখন অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। বলতে গেলে বাজারে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম অতিরিক্ত। এমনকি দাম আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাছাড়া আপনার আজকের রেসিপিটি দেখে একটু অবাক হলাম। আমি এভাবে কখনো সজনা পাতা দিয়ে বড়া তৈরি করিনি। আপনার রেসিপিটি একদম ইউনিক হয়েছে । আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার কাছে ভালো লাগে শুনে খুবই খুশি হলাম আপু ।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
সজনে পাতার পাকোড়া রেসিপি আজও কখনো খাইনি রেসিপি টা আমার কাছে একেবারে নতুন নতুন একটা রেসিপি আপনার কাছ থেকে শিখে নিলাম। খুবই ভাল লাগতেছে রেসিপিটা দেখে ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এমন ইউনিক একটা রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
যদি না খেয়ে থাকেন অবশ্যই খাবেন ভাইয়া ভালো লাগবে।
আমি শুধুমাত্র সজনে পাতার ভর্তা খেয়েছি মাছের সাথে। তবে কখনো এরকম ডাল দিয়ে বড়া বানিয়ে খাওয়া হয়নি। দেখেতো সত্যি মনে হচ্ছে খুব খুব সুস্বাদু হয়েছে। এবং আমাকে একবার হলেও বাসায় এই খাবারটি ট্রাই করে দেখতে হবে। তাহলে সজনে পাতা এখন থেকে দুই ভাবে খেতে পারব। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে এবং অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু একদিন বানায় খাবেন অনেক ভালো লাগবে। ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সজিনার পাতা ও মশুর ডাল দিয়ে আপনি খুবই চমৎকার পকোড়া তৈরি করলেন।সজিনার পাতা আমি রান্না করা খেয়েছি আগে। কিন্তু সজিনার পাতার পকোড়া এখনো খাওয়া হয়নি। আপনার তৈরি করা পকোড়া দেখেই তো মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপিটি তৈরি করে ধাপে ধাপে উপস্থাপনাও করছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বাহ আপু আপনি খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সজনে পাতা ও মসুর ডাল দিয়ে খুব সুন্দর পাকোড়া বানিয়েছেন। সজনে পাতা ও ডাল দিয়ে পাকোড়া খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে খুবই মজাদার। বৃষ্টির সময় এমন গরম গরম পাকোড়া খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ আপনি রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
সত্যি এটি খেতে অনেক মজা লেগেছে। খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে।