মজাদার বেগুনি রেসিপি ( 🦊🦊🦊🦊১০%)
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন ।আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
সবাই দেখলাম বিশ্বাস অবিশ্বাস নিয়ে পোস্ট করছে আমিও ভাবলাম আপনাদের মত করে কিছু লেখা যাক। বিশ্বাস এমন একটি বিষয় যা কখনো ধরা যায়না, দেখা যায় না কিন্তু একজনের প্রতি মনের অনুভূতি জাগে। যাকে চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়, যার সাথে অন্ধকারে হাঁটা যায় তাকে বিশ্বাস বলা হয়। সে বিশ্বাস যখন কেউ ভেঙে ফেলে তখন অন্য কাউকে বিশ্বাস করতে খুব কম ইচ্ছা করে। কারণ একজন ব্যক্তির বারবার মানুষকে বিশ্বাস করতে পারেনা। তার ভীষণ ভয় হয়। কারন একটা মানুষকে বিশ্বাস করার মাঝে অনেক কিছু থাকে তার সাথে বিভিন্ন বিষয় জড়িত থাকে। সে বিষয়গুলো তো বারবার মানুষের সাথে শেয়ার করা যায় না, বলা যায় না। বন্ধুত্ব ও বিশ্বাস একে অপরের পরিপূরক। যেখানে বন্ধুত্ব নেই সেখানে বিশ্বাস নেই। যেখানে বিশ্বাস আছে সেখানে বন্ধুত্ব আছে। বিশেষ করে আমি যখন কাউকে বিশ্বাস করি তাকে সবটুকু দিয়ে বিশ্বাস করি তার প্রতি সামান্য পরিমাণ সন্দেহ রাখিনা। কিন্তু সেই ব্যক্তি যদি কখনো বিশ্বাস ভঙ্গ করে তাকে সবটুকু দিয়ে ঘৃণা করব। এক জীবনে চলার পথে বিশ্বস্ত মানুষ, বিশ্বস্ত সঙ্গী খুব প্রয়োজন। যে আপনাকে আলোর পথ দেখাবে, অন্ধকার থেকে টেনে নিয়ে আসবে। তাই আমি আপনাদের বলব বিশ্বস্ত মানুষের সাথে চলাফেরা করুন। কোন প্রকার মুখোশধারী, স্বার্থপর মানুষ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন বরং এর থেকে একা চলা ভালো।
যাই হোক আজ আমি আপনাদের সাথে একটি মজাদার রেসিপি শেয়ার করব। যদিও ইতিমধ্যেই রেসিপিগুলো সবাই দিয়েছে কিন্তু আমি কখনো দেয়নি তাই ভাবলাম আমি যেহেতু এটি খুব খেতে পছন্দ করি তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। মজাদার বেগুনি রেসিপি। ফাস্টফুড হিসেবে প্রায় সবার পছন্দের তালিকায় থাকে বেগুনি। গরম গরম বেগুনি খেতে কিন্তু বেশ মজা লাগে। আমার পিয়াজ দিয়ে বেগুনি খেতে বেশি ভালো লাগে। তবে চলুন আমার রেসিপোটি আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক।
উপকরণ
উপকরণ
- বেগুন দুইটি
- বেসন এক কাপ
- চালের আটা হাফ কাপ
- মরিচের গুড়া
- ধনিয়ার গুড়া
- বেকিং পাওডার
- আদা
- রসুন বাটা
- লনণ
- তেল
ধাপ-১ |
---|
- বেগুনি তৈরি করতে প্রথমেই দুটো মাঝারি সাইজের বেগুন নিয়েছি।
ধাপ-২ |
---|
- এরপর বেগুন গুলো পাতলা করে কেটে নিয়েছি
ধাপ-৩ |
---|
- এরপর এতে সামান্য লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিয়েছি
ধাপ-৪ |
---|
- এরপর একটি পাত্রে বেসন ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিয়েছি যাতে দানা না থাকে
ধাপ-৫ |
---|
- এরপর এতে চালের আটা ছেঁকে দিয়েছি
ধাপ-৬ |
---|
- এই পর্যায়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭ |
---|
- আটা বেসন ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে তাতে গুঁড়া মরিচ, বেকিং পাউডার ও ধনিয়ার গুঁড়া দিয়ে দিয়েছি
ধাপ-৮ |
---|
- এরপর অল্প অল্প করে পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি
ধাপ-৯ |
---|
- এরপর এতে সামান্য আদা রসুন বাটা দিয়ে দিয়েছি
ধাপ-১০ |
---|
- এরপর বেটারটি তৈরি হয়ে এলে এতে বেগুন গুলো দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-১১ |
---|
- এরপর ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে তাতে বেগুন গুলো দিয়ে দিয়েছি
ধাপ-১২ |
---|
- জ্বাল লো মিডিয়াম রেখে একটু পর পর উল্টে দিয়েছি
ফাইনাল |
---|
এরপর গরম গরম বেগুনি টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করেছি।
ধন্যবাদ সবাইকে
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
ধুর কি যে বলেন, বেগুনি আবার স্বাদের হয় নাকি? তাও বুঝতাম যদি দাওয়াত দিতেন তাহলে খেয়ে একটা আইডিয়া করতে পারতাম হি হি হি।
বিশ্বাস, সত্যি বড়ই দুর্লব একটা জিনিষের নাম বলেছেন আপনি, আমিতো অন্ধকার দেখলেই ভয়ে পালাই বিশ্বাস খোঁজার চেষ্টা করি না, কারন পাশে থাকা প্রিয় মুখগুলোর ভিন্নরূপ দারুণভাবে হৃদয়ে আঘাত করে।
কি আর করার ভাইয়া।কাছের মানুষ থেকেই আমরা সব থেকে বেশি আঘাত পাই।
একদম সঠিক বলেছেন যার সাথে অন্ধকারেও চোখ বন্ধ করে নির্বিঘ্নে পথ চলা যায় আমার কাছেও সেটাই বিশ্বাস। কিন্তু আমরা বারবার সেই বিশ্বাস কে নষ্ট করি যেটা কোনোমতেই কাম্য নয়। যাইহোক আপনার বেগুনি রেসিপিটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বেগুনি খেতে আমি খুব পছন্দ করি। রমজান মাস ছাড়া খুব কম খাওয়া হয় তবে ইচ্ছা করলেই আমি খাই। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়ে হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বিশ্বাস অর্জন আর বিশ্বাস হারানোর দুইটায় অনেক কঠিন ।সহজে ফিরে পাওয়া যায়না।এত সুন্দর মন্তব্য করার আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কি কি উপাদানের সমন্বয়ে বেগুনি তৈরি করতে হয় এটা আমার জানা ছিল না। আপনার এত সুন্দর রান্নার প্রসেস গুলো দেখে অনেকটা ধারণা পেলাম। উপাদানগুলো কখন কিভাবে কার সাথে মেশাতে হবে এ বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করতে পারলাম।
মজাদার বেগুনি রেসিপি শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। এভাবে কখনো খাইনি তবে আপনার রেসিপি দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে আপু। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
খুবিই মজাদার খাবার বেগুনি,এই বৃষ্টি মধ্য খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে আপু সাবধান তৈল কিন্তু আর কয়েকদিন পর পাবেন না হা হা।আপনার রেসিপি আমার পছন্দের একটি খাবার।পোস্টার ডিজাইন তাও খুব সুন্দর হয়েছে,সব মিলিতে অসাধারণ একটি ব্লগ তৈরী করছেন।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
বেগুনি খেতে অনেক মজা লাগে সেটা আমরা সবাই জানি। বিশেষ করে রমজান মাসে প্রচুর পরিমাণে বেগুনি খেয়েছি আর আপনার তৈরি বেগুনি রেসিপি বেশ লোভনীয় মনে হয়েছে বিশেষ করে যখন বেগুনের উপরে টমেটো সস দিয়েছেন তখন যেন দেখেই লোভ অনেক বেড়ে গিয়েছে।
বেগুনি রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন এবং পরিবেশন করলেন। সত্যিই আপনার বেগুনি রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। শুভকামনা রইল তোমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বেগুনি খেতে আসলেই খুবই মজাদার। বিশেষ করে রমজান মাসে ইফতারের সময় এটা সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে। আপনি খুব সহজে আমাদের মাঝে বেগুনি রেসিপি শেয়ার করেছেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বেগুনি ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। রমজান মাসে আমি প্রত্যেকদিন ইফতারিতে বেগুনি খেতাম। আপনিও বেগুনি তৈরি করার পদ্ধতি গুলো খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি গোল বেগুন দিয়ে বেগুনি তৈরি করেছেন কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যদি লম্বা বেগুন দিয়ে বেগুনি তৈরি করা হয় সেগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
আপু,একদম সত্যি কথা লিখেছেন আসলে বিশ্বাস এমন একটা জিনিস যার প্রতি একবার বিশ্বাস জন্মায় তাকে অন্ধের মত বিশ্বাস করা হয় এটাই অনেক বড় কিছু। আর যদি বিশ্বাস ভেঙ্গে যায় তাহলে হাজার চেষ্টা করেও ওই মানুষটির প্রতি বিশ্বাস কখনো তৈরি করা যায় না মন থেকে। আপনার লেখাগুলো আপু আমার খুব ভালো লাগে। যাইহোক আপু, আপনার তৈরি করা রেসিপিটি সত্যিই অনেক লোভনীয় হয়েছে। আপনার রেসিপি দেখে ইচ্ছে বেগুনি গুলো খুব মুচমুচে হয়েছে গরম গরম বেশ দারুণ লাগবে খেতে।ধন্যবাদ আপু, এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।