ভাগ্যের বিড়ম্বনা (10% beneficiaries for @shy-fox)
আমাদের সবার জীবনে ভালো সময় খারাপ সময় থাকে কেউ ভালো সময় গুলো কেটে উঠতে পারে, কেউ পারে না। আর যে পারে সেই দিন শেষে সফলতার মুখ দেখে। অন্যদিকে যারা সবসময় নিজের খারাপ সময় গুলো নিয়ে চিন্তায় থাকে কিন্তু সমাধান করার জন্য কোন চেষ্টা করে না বা চেষ্টা করলেও নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে না তারা সব সময় হতাশা গ্রস্থ হয়। এটা কে বলে ভাগ্যের বিড়ম্বনা। অনেকেই আছে যারা ভাগ্যে বিশ্বাসী আবার অনেকে আছে ভাগ্যে বিশ্বাসী নন। আসলে পরিশ্রমের দ্বারা, অধ্যবসায়ের দাঁড়া ভাগ্যকে সব সময় পরিবর্তন করা যায়। আপনি কোথায় যাবেন, কি করবেন তা আপনার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে ভাগ্যের উপর নয়। অনেক সময় ভাগ্য কাজ করে যদি আপনার কাজ সঠিক পথে থাকে। আমরা অনেক সময় দেখি কোন কাজ করতে গেলে যখন সফল হই না তখন বলি আমার ভাগ্যে নেই, কিন্তু কথাটি কতটুকু সত্য? আপনি হয়তো সঠিকভাবে কাজ করতে পারেননি, যেভাবে কাজ করা উচিত সেভাবে করেন নি, এজন্য আপনি সফল হতে পারেননি।,এই মানে আপনি ভাগ্যের দোষ দিয়ে পার হয়ে যাবেন তা হতে পারে না। আমাদের সবার জীবনে বাস্তব কিছু সমস্যা থাকে। সেই সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য হয়তো সঠিক সমাধান আমরা খুঁজে পাইনা । আমাদের প্রত্যাশা সাথে যদি কাজের মিল না থাকে তাহলে কখনই প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব না। আমি মুখে বলব কিন্তু কাজ করবো না তাহলে শুধু সময়ের অপচয় হবে ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। আমরা যখন পড়াশোনা শুরু করতে চাই তখন বলি কাল থেকে শুরু করব, পরশু থেকে শুরু করব কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা শুরু করতে পারছি ততক্ষণ পর্যন্ত এই কথাগুলোর কোনো মূল্য নেই শুধুমাত্র সামরিক তৃপ্তি পাবেন যে শুরু করবো আমি।
যতই দিন যাচ্ছে ততই মনে হচ্ছে লক্ষ্য অর্জন থেকে আমি পিছিয়ে পড়ছি। নিজেকে গোছানোর এত চেষ্টা করছি কিন্তু গুছিয়ে উঠতে পারছিনা। আমি কোন চেষ্টার ত্রুটি করছি না কিন্তু আমার ঘাটতিগুলো বুঝতে পারছিনা যেগুলো নিয়ে আমার কাজ করা উচিত। আমি হয়তো তখন সফল হতে পারব যখন আমার ঘাটতিগুলো বুঝে উঠব এবং তার সমস্যা সমাধান করব । যতই দিন পার করছি আশেপাশের সকল সমস্যাগুলো জন্য আমাকে চেপে ধরেছে। নিজেকে বের করে আনতে চাচ্ছি কিন্তু বারবার থমকে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে আমার জীবনে অর্জন বলতে মনে হয় কিছুই নেই। লক্ষ্য অর্জনে আমি এক হার না মানা অভিযাত্রি হতে চাই। এক জীবনের বাধা শিকল ভেঙ্গে পদাঘাত করতে চাই। আসলে জীবন-সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের জীবনের সঠিক চিন্তাধারার মানুষ অবশ্যই দরকার। আমাকে কখনো একা পরিপূর্ণ লাভ করতে পারিনা। সবার মানসিকভাবে কিছু ঘাটতি থেকেই যায় কিন্তু আমাদের পাশে এমন কাউকে দরকার যে এসে আপনার একটু হলেও সে ঘাটতি থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে দেবে। এক্ষেত্রে একজন ভালো বন্ধু বলতে পারেন, ভালো সঙ্গী বলতে পারেন যারা বিরাট ভূমিকা রাখে। সবথেকে মুখ্য ভূমিকা রাখে বাবা-মা যারা আপনার সব সময় চোখের সামনে থাকে, আপনার কষ্ট গুলো তাদের সামনে ফুটে ওঠে। আপনি কি করছেন? কোথায় যাচ্ছেন? কোনোকিছুই তাদের চোখ এড়ায় না তবুও তারা যখন বোঝে না, বুঝেও বুঝতে চায় না, আপনার চোখের পানির মূল্য বোঝে না তখন সত্যিই অন্য কাউকে আপনি কখনো ভরসা করতে পারবেন না। আমাদের সবার জীবনে কিছু খারাপ সময় আসবে। আপনি যদি মনে করেন যতদিন বাঁঁচব ততদিনই ভাল সময় কাটাবো তাহলে ভুল।
জীবনে কয়েকটি ধাপ পার করতে হয়।এই ধাপে আমাদের কখনো ভালোবাসে সময় যাবে কখন খারাপ সময় যাবে। আমাদের মন-মানসিকতা এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যেন খারাপ সময় গুলোকে মানিয়ে নিতে পারি। ব্যর্থতাকে যদি বরণ করে নেওয়ার মতো সাহস আমাদের না থাকে তাহলে সফলতার মুখ আমাদের পক্ষে দেখা কখনই সম্ভব নয়। আপনি জীবনের প্রতিটি ধাপেই সফলতা পেয়েছেন মানে এই নয় সর্বশেষ ধাপ আপনাকে সফলতা পেতেই হবে।বা জীবনের কয়েকটি ধাপে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন এই মানে এই নয় যে আর কখনও আপনি সফলতার মুখ দেখবেন না। তা ভাবা ঠিক নয়।এক্ষেত্রে নিজের প্রতি বিশ্বাস, নিজের স্বক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস থাকাটা খুব জরুরি। আমি দেখেছি আমার আশেপাশের অনেক বন্ধু বান্ধবীকে যারা জীবনের প্রথম ধাপে হয়তো আশানুরূপ কিছু করতে পারেনি কিন্তু এখনো সেই চিন্তা চেতনা ধারণ করে আছে। আমাকে দিয়ে হয়তো কিছু হবেনা। আমি বাবা মার জন্য কিছুই করতে পারলাম না, তাদের হাসিখুশি ধরে রাখতে পারলাম না এসব ভাবে সময় পার করে। আমাদের জীবনে পাওয়া না-পাওয়ার কখনো শেষ নেই। সফলতার কোন বয়স নেই। আমরা চেষ্টা করলে জীবনের যেকোনো বয়সে সফলতা অর্জন করতে পারি। শুধু দরকার পরিশ্রম, চেষ্টা, একাগ্রতা ও কাজের প্রতি ভালোবাসা। আমরা কাজ করার থেকে কিভাবে কাজ করব সেটা নিয়ে বেশি ভাবি। এত চিন্তা না করে আমাদের কাজে নেমে পড়া উচিত। যত দ্রুত নিজেকে পরিবর্তন করবো জীবনের সফলতা তত দ্রুত লাভ করতে পারব।
জীবনকে পরিবর্তন করতে হলে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। আমাদের মস্তিষ্কে জুড়ে যে নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা গুলো ঘিরে আছে সেগুলো কে নর্দমায় ছুঁড়ে ফেলতে হবে। আমরা হয়তোবা কখনোই বুঝি না বা আত্মসমালোচনা করতে জানিনা। সমস্যাগুলো নিয়ে নিজে নিজে ভাবতে পারিনা। আমরা যদি আত্ম কে না চিনি তাহলে আপনি কি ভাবে ভাবতে পারেন অন্য কেউ আপনাকে চিনবে, বুঝবে, জানবে। তাই আমি বলবো আমার ক্ষেত্রে হোক বা সবার ক্ষেত্রে হোক আগে নিজেকে জানতে হবে, নিজেকে বুঝতে হবে, নিজের ক্ষমতাকে বুঝতে হবে। আমার ক্ষমতা কতটুকু, আমি কি করতে পারব আর কি করতে পারব না। মানুষ চেষ্টা করলে পারে না এমন কিছু নেই। পৃথিবী যত যত আবিষ্কার আছে সবকিছু মানুষ নামের প্রানীই করেছে কিন্তু আপনি, আমি ভাবি আমার দ্বারা এটা সম্ভব নয় আমি হতে পারবো না করতে পারব না কিন্তু মন থেকে বিশ্বাস করলে এবং কাজ করলে অবশ্যই আপনি সফলতা সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছাবেন। নিজেকে কখনো হতাশার সাগরে ঢুবতে দিয়েন না সত্যি এর মত বেদনাদায়ক আর কিছু নেই। আমরা যদি বর্তমানে ব্যর্থতাকে নিয়ে পড়ে থাকি এবং তা উত্তরনের জন্য কোন পথ না খুঁজি তাহলে ভবিষ্যতেও আপনি ব্যর্থ হবেন। যারা আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে, প্রতিটি পদক্ষেপে কথা শোনাচ্ছে তাদের মুখ্য জবাব দিতে আপনাকে অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াতে হবে যদি ঘুরে দাঁড়াতে না পারেন তাহলে দিন শেষে আবারও এর থেকে বেশি কষ্ট সহ্য করতে পারবে।
আমি যা আলোচনা করলাম এগুলো আমার পারিপার্শ্বিক কিছু মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া কথা। তাদের চিন্তা-চেতনা গুলো এবং সমাধান গুলো জাস্ট শেয়ার করলাম।আমার বন্ধু বান্ধবের এবং নিজের বিষয়গুলো আলোচনা করেছি। |
---|
ধন্যবাদ
আসলে ভাগ্য বলতে কিছুই নেই।
মনকে যেদিকে আর যেভাবেই মোটিভেট করা যাবে সে সেদিকেই দৌড়াবে।। আর কিছু মানুষ আছে গালে হাত দিয়ে বসে থেকে শুধুমাত্র চিন্তা করতে থাকে। এদের দিন কখনো ফিরবে না।
ভালো যুক্ত সংগত আলোচনা ছিল।
শুভ কামনা রইল 🥀
ধন্যবাদ ভাইয়া
ঠিক বলেছেন আপু,আমাদেরকে সবসময় ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করতে হবে।নিজের অদম্য ইচ্ছেশক্তি থাকতে হবে।অনেক ধন্যবাদ আপু,সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে। শুভকামনা রইল।