কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
আমি বেশ কিছুদিন হল আপনাদের মাঝে রেগুলার হতে পারছি না তবে এইবার আর কখনো মিস হবেনা আমি সব ঝামেলা কেটে আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছি। ঢাকা থেকে বাসায় এসেছি দুই দিন হল এখন মনে হচ্ছে ঢাকায় ভালো ছিলাম। হলে থাকতাম রুমে 24 ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বেশ ঠাণ্ডা ছিল। কিন্তু বাসায় এসে বেশ মসিবতে পড়ে গেলাম । এবার এত গরম পড়েছে এর আগে কখনো পড়েনি বা পড়েছে মনে নেই 🙃 কারণ এইসব ক্ষেত্রে আমরা একটু ভুলে যাই। যখন শীত আসে আমরা বলি গতবারের থেকে এবার শীত বেশি পড়েছে এত শীত আর আগে কখনো পড়েনি😂 ঠিক গরমের সময় আমরা একই কথাই বলি এবার যে গরমের আগে কখনো এত গরম পড়ে নাই।🙄 কিন্তু প্রতিবছরই আসলেই ভালোই গরম পড়ছে এখন জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে। এই গরমে মানুষ খুব সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে তাই আপনাদের বলি একটু সাবধানে চলাচল করবেন। যাই হোক হলে থাকাকালীন তেমন রান্নাবান্না করা হয়নি মাঝে মাঝে টুকটাক সুযোগ পেলে করা হতো। বাসায় এসেছি তাই একটু ভাবলাম রান্নাবান্না আপনাদের সাথে শেয়ার করি যদিও আমি আপনাদের মত অত রান্না পারি না। তাই আজ আমি আপনাদের সাথে পায়েস রান্নার রেসিপি শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
 |

প্রয়োজনীয় উপকরণ
রেসিপি | সুস্বাদু পায়েস |
পোলার চাল | ২ মুঠ |
দুধ | ২ লিটার |
চিনি | স্বাদমতো |
কিসমিস | পরিমান মতো |
বাদাম | পরিমান মতো |
গুঁড়া দুধ | এক কাপ |


- প্রথমে চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিয়েছি

- এরপর একটি পাত্রে দুধ নিয়েছি

- হালকা একটু গরম হলে এতে চাল দিয়ে দিয়েছি

- এরপর ভালোভাবে নাড়তে থেকেছি

- এরপর চাল সেদ্ধ হওয়ার জন্য ঢেকে দিয়েছি

- কিছুক্ষণ জ্বাল হয়ে গেলে দুইটি তেজপাতা ওতিনটি এলাচ দিয়ে দিয়েছি

- দুধ ঘন হয়ে এলে গুঁড়া দুধ মিশিয়ে নিয়েছি

- বারবার করে উপরে জমে যাওয়া স্বরগুলো ভেঙ্গে নিয়েছি ও নাড়তে থেকেছি

- আরো ঘন হয়ে এলে স্বাদ মতো চিনি দিয়ে দিয়েছি

- এরপর একদম ঘন হয়ে এলে কিসমিস বাদাম দিয়ে দিয়েছি

- এরপর গাঢ় ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিয়েছি

- এরপর কিছুক্ষণ ঠান্ডা করে নামিয়ে নিয়েছি।সেই সাথে পায়েস পরিবেশ করেছি।
সকল ঝামেলা কেটে দ্রুত আমাদের মাঝে চলে আসেন এই কামনা।ঢাকায় গরমে অবস্থা সবার খারাপ শুনলাম। আসলেই আমরা গরম আর শীতে সেম ডায়ালগ দেই। যাইহোক আপনার পায়েস তো দেখেই খেতে মন চাচ্ছে। দাওয়াত দিবেন কবে বলেন।খুব সুন্দর লাগছে দেখতেই খেতে ভালো হবে মনে হচ্ছে।
আসলেই আমরা সেম।ডায়ালগ দেই। খেয়ে নিন। আপনাদের জন্যই তো করা। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যর জন্য।
সুস্বাদু পায়েস রেসিপিটি বেশ লোভনীয় বলে মনে হচ্ছে। দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে। প্রতিটি ধাপ অনেক চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন আমাদের সামনে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আসলে পায়েস রেসিপি টা আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে। আপনি খুব সহজ উপায়ে পায়েস রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার কাছেও ভাল লাগল। আর পায়েস দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি খুব চমৎকার করে রেসিপির প্রত্যেকটি ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি দারুন মন্তব্য করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পায়েস এই তো তিন চার দিন পর সবার দেখা যাবে,আজকে আপনি একটা টেরাইল দিয়ে গেলেন।আপনার পায়েস রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই স্বাদের ছিল।প্রতিটা ধাপ খুবই সুন্দর করে আমাদের দেখিয়েছেন ভালো লাগল বিষয়টি। ধন্যবাদ আপু
আপনি একদম ঠিক বলেছেন।আমি একটু ট্রেয়াল দিলাম আর কি।
ঠান্ডার মৌসুমে আমি এ কথাটা বলি না যে এবার ঠান্ডা বেশি পড়েছে, কারণ ঠান্ডার মৌসুম আমার খুবই পছন্দের। ☺️
যাইহোক আপনার আজকের শেয়ার করা পায়েস এর রেসিপিটি দারুন হয়েছে। পায়েসে গুঁড়াদুধ ব্যবহার করলে সেটা খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়। অন্যরকম একটা রংও আসে। আপনার রান্না করা পায়েস এর রং দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজার হয়েছে। ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি । ধন্যবাদ।
আপনি ঠিক বলেছেন গুড়া দুধ পায়েসের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়।
আপু পায়েস খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর এই পায়েস যদি ফ্রিজে রেখে হালকা ঠান্ডা করে খাওয়া যায় তাহলে এই প্রচন্ড গরমে ঠান্ডা ঠান্ডা পায়েস শরীরটাকে শীতল করে দেবে। আপনার তৈরি সুস্বাদু পায়েস রেসিপি দেখেই বুঝতে পারছি খেতে অনেক অনেক স্বাদ হয়েছে। খুবই সুস্বাদু পায়েস তৈরির রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
খেয়ে নিন ভাইয়া।ঠিক বলছেন পায়েস ঠান্ডা করে খেলে অনেক মজা লাগে।
যদিও পায়েস আমার ততটা পছন্দের না। কিন্তু গত দুদিন আগে আমার মা আমাদের বাসায় পায়েস রান্না করেছিলেন এবং খেতে খুব সুস্বাদু ছিল। আপনার পায়েস রান্নার পদ্ধতিটাও খুব সুন্দর হয়েছে এবং দেখে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে।
আপনার মন্তব্যর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু। যাইহোক, ব্যক্তিগতভাবে আমি পায়েস খেতে খুবই পছন্দ করি। আম্মু যখন বাসায় পায়েস তৈরি করে আমি একাই অনেকখানি পায়েস খেয়ে ফেলি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পায়েস তৈরি করেছেন দেখলাম। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। প্রত্যেকটা ধাপ আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পায়েস তৈরির এত সুন্দর একটি পদ্ধতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আমি নিজেও পায়েস খেতে অনেক পছন্দ করি। আপনার মন্তব্য অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার এই কথাটির সাথে আমি একেবারেই একমত তবে ঠিকই বলেছেন যখন শীত একটু বেশি পড়ে আমরা বলি ইস এত শীত করছে এবার আগে তো কখনো পড়েনি কি গরমের বেলায়ও একই কথা বলি। আমরা আসলে ভুলো মনের মানুষ। আপনার পায়েস রেসিপি তো দুর্দান্ত হয়েছে। আপু পায়েসটা আমার কাছে খেতে খুব ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে এত চমৎকার সুস্বাদু একটি পায়েস রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি।
পায়েস রেসিপি শেয়ার করে লোভে ফেলিয়ে দিলেন ভাইয়া, পায়েস আমার এতো পরিমাণ প্রিয় সেটা বলে বুঝানোর মত না, যাই হোক লোভ তো ধরাই দিলেন কিন্তু খাওয়ালেন না..হা হা হা🤭🤭
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া, অনেক প্রশংসা নিও কাজ করেছেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
পায়েস আমারো অনেক।প্রিয় ভাইয়া। লোভে পড়বেন কেন খেয়ে নিন।