চারুকলায় আর্ট প্রদর্শনীতে একদিন (10% beneficiaries for @shy-fox)
এই ছবিটি সদরঘাটের চিরাচরিত একটি রূপ যদিও বর্তমানে এই রুপ আর নেই। তবে একটা সময় সদর ঘাটের অবস্থা ছিল এরকম।শিল্পী সেই সদরঘাট পূর্বের রুপ আর্ট করেছেন।
এই আর্ট আমার ভাল লেগেছে ।এটি পুরান ঢাকার একটি গলির ছবি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের চিত্রটি গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে করা হয়েছে।
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্রটির গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে
এই আর্টে একটি মেয়েকে মাক্স পরিহিত অবস্থায় অঙ্কন করা হয়েছে ।এত সুন্দর ভাবে একটি মেয়েকে রং তুলিতে ফুটে তোলা হয়েছে দেখে আমি মুগ্ধ।
ছবিতে আপনার যে ব্যক্তিকে দেখতে পাচ্ছেন তিনি হচ্ছে এস এম সুলতান। তিনি চারুকলার প্রান্তরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন সেই অবস্থায় তার চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে ছবিটি একটি জীবন্ত এস এম সুলতান মনে হচ্ছে।
এই চিত্র তেও এস এম সুলতান কে অনবদ্যভাবে অংকন করা হয়েছে তিনি চারুকলার প্রান্তরে বসে ছবি আঁকছেন সে অবস্থায় আর্ট করা হয়েছে।
বিখ্যাত চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির সেই বিখ্যাত চিত্র মোনালিসার ভুবন ভুলানো হাসি ।যা এখনো মানুষকে মাতিয়ে তোলে। তার রহস্য এখন মানুষকে তার দিকে টানে ।সেই মোনালিসা ছবিটি সম্ভবত গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে করা হয়েছে।
এই ছবিটি বাঙালি বধুর চিত্র। যার কপালে সিঁদুর ,পরনে বেনারসি শাড়ি ,হাতে চুরি হুবহু দেখতে একজন প্রকৃত বাঙালী নারীর মতো করে অঙ্কন করা হয়েছে। ছবিটি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। কত সুন্দর ভাবে একজন শিল্পী তার রংতুলিতে আবিষ্কার করেছে।
এই চিত্রগুলো আমাদের কিছু প্রিয় মুখ যেমন অভিনেতা, খেলোয়াড় ,শিল্পীদের আর্ট করা হয়েছে
এই আর্ট একজন গরীব ,অসহায় মানুষের ।যার চিত্র সুন্দরভাবে অঙ্কন করা হয়েছে। যার মাথায় থাকে গামছা ।ছবিটি অনেক সুন্দর হয়েছে।
উপরের দুটি ছবির মাধ্যমে আমরা গ্রামের মানুষের প্রত্যাহিক জীবনযাপনের গল্প জানতে পারি । এই চিত্রটিতে একজন মহিলা দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো বিক্রি করছে আর একজন সেগুলো কিনছে। সত্যি কথা বলতে ছবিতে সবকিছু এমন ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যেন বাস্তব।
উপরের ছবিগুলোতে কিছু অভিনেতা চিত্রশিল্পী ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানুষের স্কেচ আর্ট ও গ্রামের চিত্র আর্ট করা হয়েছে। ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে, মনকাড়া হয়েছে।
এই ছবি গুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে চাঁদের আলোর সাথে ডাইনোসরের ছবি।
এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল ও টিএসসি সহ বিভিন্ন ছবি আর্ট করা হয়েছে তা দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে।
এই ছবির বিশেষত্ব বোঝার জন্য আমি কয়েক মিনিট তাকিয়ে ছিলাম ।আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। এই ছবিটি অসাধারণ ভাবে আর্ট করা হয়েছে।
ছবিটি চারুকলা অনুষদের একটি জায়গার ছবি যেখানে গাছপালাকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
উপরের ছবি দুইটি একটি গ্রামের প্রতিনিধিত্ব করে ।গ্রামের সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি, দৈনন্দিন জীবনের কাজ ,রাস্তাঘাট বাস্তব রূপে ফুটিয়ে তুলেছে ।
উপরের ছবি ২টি মেয়েদের কলঙ্ক মাখা জীবনের গল্প বুঝাতে তুলে ধরা হয়েছে সমাজে মেয়েদের যে অবহেলা চোখে দেখা হয় তারই প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া নদী- নৌকা ,চারুকলা অনুষদের কিছু ছবি সহ বিভিন্ন দৃশ্য অঙ্কন করা হয়েছে
এই ছবিগুলোতে একজন নারীর বন্দি জীবনের গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পুরুষশাসিত সমাজে তাদের কিভাবে শিকল বন্দি করা রাখা হয়েছে ,তাদের স্বাধীনতা কিভাবে খর্ব করা হয়েছে তার দৃশ্য শিল্পীর রংতুলিতে ফুটে উঠেছে ।এছাড়াও নারীর মায়াবী চোখ অংকন করেছে। শিল্পী তার সৃজনশীল শক্তি দিয়ে।
এই ছবিটি আমাদের গ্রামের শখের বসে যারা কবুতর লালন করে সেই সৌখিন মানুষদের কথা বলা হয়েছে তারা । কবুতরগুলো যেন দেখতে বাস্তব হয় সেই ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
উপরের ছবিটি গ্রামের মানুষের রান্না করার একটি দৃশ্য। ছবিটি এমন ভাবে জীবন্ত করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জেনো না দেখে বোঝার উপায় নাই এটি আর্ট করা ।গ্রামের মানুষগুলো এভাবেই খড়কুটো দিয়ে মাটির চুলায় রান্না করে ।বিশেষ করে আমাদের উত্তরবঙ্গের মানুষগুলো।
উপরের ছবিটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম কত সুন্দর ভাবে শিল্পিতার রংতুলিতে অংকন করেছে। এই মনমুগ্ধকর ছবিগুলো প্রথম অবস্থায় দেখে মনে হয়নি এগুলো আর্ট করা। মনে হচ্ছে ফটোগ্রাফি করে ছবি দিয়েছে ।এখানে আমি হাত দিয়ে দেখলাম এত সুন্দর ভাবে শিল্পী তার সৃজনশীলতা ফুটিয়ে তুলেছে যা এই আর্ট গুলো না দেখলে বোঝা যেত না।
এই ছবিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের একটি ছবি শিল্পী তাঁর এই দৃশ্যটি খুব চমৎকারভাবে নিখুঁত করে অংকন করেছে।
জয়নুল আবেদিন শিল্পিদের নিয়ে একটি উক্তি করেছেন - সুন্দর রুচিশীল ও সৎ জীবন, শৈল্পিক জীবন।
আমার তোলা সব ছবির w3w location
আর্ট প্রদর্শনী | চারুকলা, ঢাবি |
---|---|
photo by | @abidatasnimora |
Camera | Samsung galaxy S6 |
চারুকলা আর্ট প্রদর্শনীতে আমি কখুনো যায়নি।আপনার পোস্ট পরে এবং চিত্র গুলো দেখে অনেকটা ধারনা পেয়ে গেলাম।খুবই ভালো হয়েছে চিত্রগ্রহন।আর খুব গুছিয়ে লিখেছেন আপু শুভ কামনা রইলো।
অসাধারণ আপু। আমি মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যায় এই চিএশিল্পিদের কথা ভাবলে। তাদের সৃষ্টিকর্মগুলো যে কত সুন্দর কতটা অবাক করা তা বলে বোঝানো যাবে না।
এবং এখানকার প্রত্যেকটা চিএ এক কথায় অতুলনীয়। আর হবে বাহ না কেন এগুলো তো দেশসেরা সব শিল্পীদের কাজ। ইরফান খান আমার খুবই প্রিয় একজন অভিনেতা। তার ছবিটি অসাধারণ লাগছে।।
এবং আপনার সুন্দর উপস্থাপনা। সবমিলিয়ে দারুণ পোস্ট ছিল আপু।।।
চারুকলায় আর্ট প্রদর্শনীতে গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সাথে সুন্দর করে উপস্থাপন করেছে।
বিশেষ করে কাজীনজরুল ইসলামের ফটো টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
শুভকামনা রইল।
চিত্র প্রদর্শনীর দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনার ছবিগুলো দেখে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটালাম।
অবশ্যই প্রথমে ধন্যবাদ দিতে চাই সেই সকল মেধাবী চিত্রশিল্পীদের যারা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে এই চিত্রগুলো এঁকেছেন। আমি ছোট থেকেই আটঁ এর পাগল। আপনার তুলা ছবিগুলো দেখে সত্যি মন ভরে গেছে। ছবির সাথে সাথে ছবির বর্ণনা দারুন ছিল।
প্রত্যেকটি ছবি অসাধারণ ও দুর্দান্ত।একজন শিল্পী তার রংতুলি তে কতটা নিপুনতা ও মনের ভাব প্রকাশ করা যায় তা সম্পূর্ণ যত্ন সহকারে ফুটিয়ে তুলেছেন।সত্যিই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং জ্বলন ও জীবন্ত ছবি বলে মনে হয়েছে।আপনি খুব সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
কি অসাধারণ এক একটি আর্ট আপু!
মানুষের হাতে মনে হয় জাদু থাকে।
জাদু ছাড়া এও সম্ভব!
জাস্ট অসাধারণ!!
এমদম ঠিক বলেছেন আপু৷
আমার খুব ইচ্ছা ঢাকা ইউনিভার্সিটির চারুকলা ইনস্টিটিউটের যেয়ে ছবি দেখা, আপনি দিয়েছেন যাই হোক অনেক ভালো লাগলো ওরা আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে । শুভকামনা শুভকামনা রইল আপনার জন্য।