কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন ।আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
আশা করছি ঈদের ছুটি আপনাদের ভালোই কাটছে। নিজের মনের আনন্দে খেয়ালখুশিমতো যেখানে ইচ্ছা যাচ্ছেন ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সেই অনুভূতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করছেন। তবে আমার দিকটা একটু ভিন্ন আমি এবার কোথাও ঘুরতে যাইনি তবে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করেছি। আমি দেখতাম ম্যাক্সিমাম সবাই পোস্ট করার সময় থাম্বনেল তৈরি করত ।অনেক ভাবছিলাম আসলে এগুলো কিভাবে তৈরি করে। সে বিষয়টি জানার জন্য আমি ইউটিউবে সার্চ করি তখন ক্যানভার কথা জানতে পারি ক্যানভা দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে ডিজাইন করা যায়। আমি আমার ফোনে ক্যানভা ডাউনলোড দিয়ে কয়েকদিন ধরে চেষ্টা করতে ছিলাম কিন্তু পারছিলাম না। অনেক চেষ্টার পর গতকাল আমি সফল হই। তারপর থেকে আমার থাম্বনেল বানানোর যাত্রা শুরু হলো। আজ আমি রেসিপি পোষ্ট করার জন্য একটি থাম্বনেল বানিয়েছি আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। যেকোনো কিছু সৌন্দর্য নির্ভর করে এর উপস্থাপনা উপর তাই সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য থাম্বনেল এর খুব প্রয়োজন ছিল। যা আমি অবশেষে করতে পেরেছি এজন্য আমি ভীষণ আনন্দিত ।আমার অনেক ভালো লাগছে। ধীরে ধীরে হয়তো আরো সুন্দর কিছু তৈরি করতে পারব। তবে চলুন আজ আমি আমার প্রিয় একটি রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। পাকা কুমড়া ভর্তা আমার অনেক ফেভারিট একটি ভর্তা । গরম ভাতের সাথে ভর্তা খেতে অনেক মজা লাগে। তবে চলুন আমার প্রিয় ভর্তা আপনাদের সাথে শেয়ার করি ।
উপকরণ
- কুমড়ো
- পেয়াজ
- কাচা মরিচ
- তেল
- লবণ
- শুকনো মরিচ
- প্রথমে কয়েক টুকরো মিষ্টি কুমড়ো স্লাইচ করে কেটে নিয়ে কড়াইয়ে ভেজে নিয়েছি।
- এই পর্যায়ে ৩-৪ টি কাঁচা মরিচ তেলে ভেজে নিয়েছি।
- এই পর্যায়ে দুই-তিনটা পেয়াজ কুচি করে কেটে নিয়েছি।
- এইদিকে কুমড়ো ভাজা শেষ। এখন মরিচ গুলো পাটায় পিষে নেওয়ার জন্য মরিচ ও লবণ।
- এই পর্যায়ে বাটাতে পেয়াজ কুচি নিয়েছি এর ভেজে নেওয়া কুমড়োর স্লাইচ পিষে নিয়েছি।
- এই পর্যায়ে কুমড়ো মিহি করে বেটে নিয়েছি ভর্তা করার জন্য।সেই সাথে আমাদের ভর্তা তৈরি সম্পন্ন হয়েছে।
এই পর্যায়ে মজাদার ভর্তা পরিবেশনের জন্য দিয়েছি।
ঠিকই বলেছেন যে কোন জিনিসের উপস্থাপনার উপরই তার সৌন্দর্য নির্ভর করে। আপনি শেষ পর্যন্ত করতে পেরেছেন এটা শুনে বা দেখে ভাল লাগছে। মিষ্টি কুমড়া দিয়ে যে ভর্তা করা যায় তা আমি কখনো শুনিনি ।আপনার কাছ থেকে মিষ্টি কুমড়া ভর্তা রেসিপি টা শিখে নিলাম।
খেয়ে দেখবেন আপু অনেক ভাল লাগবে আপনার। শুভকামনা রইল।
মিষ্টি কুমড়া ভর্তা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে বিশেষ করে গরম ভাতের সঙ্গে খেতে খুবই মজা লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে মিষ্টি কুমড়া ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মিষ্টি কুমড়ো রেসিপি আপনার কাছে ভাল লেগেছে শুনে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও দারুন একটি রেসিপি। মিষ্টি কুমড়া রান্না করে খেয়েছি। তবে ভর্তা ভাবে রান্না করে খাওয়া যায় আগে জানতাম না আপনার পোষ্টটি দেখে বুঝতে পেরেছি। যেকোনো নতুন আইটেমের ভর্তা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কারণ আমি ভর্তা প্রেমি একজন মানুষ। আপনি আজ খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা রেসিপি বানিয়ে দেখিয়েছেন। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
মিষ্টি কুমড়া রেসিপি আমার অনেক প্রিয় আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মত আমারও পাকা মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা অনেক প্রিয় আমি খেতে খুব পছন্দ করি। আপনার মাটির তৈরি বাটনার মধ্যে ভর্তা করা দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। আমার অঞ্চলে আগে এই বাটনাগুলো পাওয়া যেত না। ছাত্রজীবনে আমি যখন রংপুরে থাকতাম তখন লাল বাগের হাট থেকে আমার মায়ের জন্য বাটনা কিনে আনতাম। যাইহোক আপনি খুব চমৎকার করে মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি অনেক চমৎকার মন্তব্য করেছেন আপনার মন্তব্য নেই ভাল লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার তৈরি মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে আপু। মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা আমি এর আগে দু'বার খেয়েছি। আমার কাছে ভর্তা তার চেয়ে তরকারি খেতে অনেক ভালো লাগে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনি অনেক সুন্দর ভাবে মিষ্টি কুমড়া ভর্তা রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
মিষ্টি কুমড়ার মত অনেক সুস্বাদু আপু খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে
আপু আমি ক্যানভা দিয়ে কখনো চেষ্টা করিনি। আপনার থাম্বনেলটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আমিও চেষ্টা করে দেখবো।
আর আপু আমি আরেকটু আগেই কুমড়োর রেসিপি শেয়ার করেছি আপনিও করেছেন। যদিও টপিকস ভিন্ন। ভালে লাগলো আপনার রেসিপি টি। ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ও আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। 😍
আমি আগে কখন তৈরি করিনি কিন্তু কিছুদিন হলো তৈরি করেছে গেছি। আপনি করে দেখান পারবেন।
আপু আমরা সব সময় মিষ্টিকুমড়া সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে তারপর তেলে ভেজে ভর্তা করে খাই। কিন্তু আপনি এখানে তেলে ভেজে ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। তাই রেসিপিটি আমার কাছে একটু ভিন্ন রকমের মনে হল। আপনার মিষ্টি কুমড়া ভর্তা করার প্রতিটি ধাপ দেখে নিলাম আর দেখেই বুঝতে পারছি খেতে অনেক অনেক মজার হয়েছে। আর এই মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনার মন্তব্য অনেক ভালো হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে।
শুকনা মরিচের সাথে মিষ্টি কুমড়া ভর্তা উফ্ কি টেস্ট যে লাগে। মন চাইছে গরম ভাতের সাথে এখনই খাওয়া শুরু করে দিই। প্রিয় রেসিপি দেখতে পেরে সত্যিই আমি নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছি।
আসলে অনেক টেস্ট খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে।
মিষ্টি কুমড়া ভর্তা এই প্রথম শুনলাম এবং দেখলাম। তবে ভর্তাটি দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। বিশেষ করে ভর্তার রঙ অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ
খেয়ে দেখবেন অনেক ভালো লাগবে।
কুমড়ার ভর্তা কয়েকবার খেয়েছি। খুব ভালো লাগে খেতে। আপনি খুবই সুস্বাদু করে কুমড়ার ভর্তা করেছেন । দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। গরম ভাতের সঙ্গে খেতে খুবই ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এতো সুস্বাদু কুমড়ার ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। তাছাড়া আপনার থাম্বনেল তৈরি খুব ভালো হয়েছে।
আমার অনেক ভালো লাগে আপু খেতে। আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।