আমার বোনের আবদার ও তাকে নিয়ে কিছু কথা (10% beneficiaries for @shy-fox)
তবে করোনাকালীন সময়ে একটা জিনিস পুরো পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে গেছে তা হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক কেনাবেচা। আমাদের জীবনটা এখন প্রায় অনলাইন ভিত্তিক হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে হাতের নাগালে সবকিছু পাওয়া যাচ্ছে। আগের মত কষ্ট করে মার্কেটে বা রেস্টুরেন্টে যাইতে হয় না। আজ আমি আপনাদের সাথে তেমনই একটি অনলাইন ভিত্তিক বিষয়ে আলোচনা করব। আমার ছোট বোন নাম হচ্ছে অর্থি। করোনাকালীন সময় থেকে আমরা বিভিন্ন সময় অনলাইনে ফুডপান্ডার মাধ্যমে খাবার অর্ডার করতাম। যার মাধ্যমে ঘরে বসে খাবার খেতাম আমরা দুই বোন। সেই অনলাইনে খাবার অর্ডার দেওয়ার অভ্যাস আমাদের হয়ে গেছে। তাতে একটা সুবিধা হয়েছে যখন তখন খাইতে ইচ্ছা করলে বাইরে আর যেতে হয় না বা কোন ভালো রেস্টুরেন্টে অনেক দূরে তাও যাওয়া লাগেনা । হঠাৎ রাত দশটায় খেতে ইচ্ছা করলো চাইলেও তখন বাইরে যাওয়া সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে অনলাইনে আমাদের একমাত্র ভরসা। গত কিছুদিন আগে আমি আমার বোর্ড বৃত্তির টাকা পাই।
সেই টাকা পাওয়ার পর আমার ছোটবোন লেগেছে আপু খাওয়া কিছু। অনেকদিন ধরে জিদ করতেছে আপু খাওয়া না রে । আমি ওকে বললাম কি খাবি বল। অর্থির আইচক্রিম কেক খুব পছন্দ। তাই ওর পছন্দের একটি কেক অর্ডার করলাম। কেক আমারও খেতে বেশ ভালোই লাগে। কেক অর্ডার করলাম কেক আসলো। মজার ব্যাপার হলো অর্থি জানত না যে আমি কেক অর্ডার করেছি। তাই যখন ডেলিভারি ম্যান অর্ডার নিয়ে এসেছে সেই রিসিভ করেছে করে যখন দেখতে কেক তখনই সে দরজা থেকে খাওয়া শুরু করেছে।
ওর বাচ্চামি দেখে আমার খুব ভাল লাগছে। কত সহজ-সরল ও ।আমার আদরের বোন । আমার বোনের সম্পর্কে হয়তো এর আগে কখনো আপনাদের সাথে আলোচনা করা হয়নি।ও আমার ছোট একমাত্র আদরের বোন ।আমার কলিজার টুকরা বলতে পারেন ।ছোট বেলা থেকেই মায়ের মত করে ওর পাশে থেকেছি ।আমার বাসায় যাওয়া মূলত ওর কারণেই ।আমাকে বেশিদিন না দেখে থাকতে পারেনা ।ওর সাথে কাটানো সময় গুলো আমার ভালো যায়। আমার জীবনে মাঝে মাঝে অনেক খারাপ সময় আসে আর তখন ও ছোট হয়েও আমাকে সাপোর্ট দেয় আপু ভয় পাস না ।আমি তোর পাশে আছি ।তখন ওর দিকে তাকিয়ে এত প্রশান্তি লাগে আপনাদের বুঝাতে পারবনা হয়তো । আমার থেকে অর্থি বেশি চঞ্চল ।সবার সাথে ভালো মিশতে পারে আবার আমার থেকে পড়াশুনাও ভালো ।
অর্থিকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন।আমি যদি আমার লক্ষ্যে নাও পৌছাতে পারি তবে ওকে পৌঁছানোর জন্য যত সাহায্য করা লাগে আমি করব। ওর মাধ্যমে আমি আমার স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখবো। নিজের স্বপ্নে অন্যের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখার মাঝেও এক ধরনের সার্থকতা আছে। অর্থি কেক খেয়ে আমার গলা ধরে বললো আপু তুই খুব ভালো। আমাকে এত ভালবাসিস কেন। তোর কাছে যখন যে আবদার করছি তুই কখনো অপূর্ণ রাখিস নি। আমিও তোর স্বপ্ন পূরণ করব। আমাকে সারা জীবন এভাবে ভালোবেসে যাবি প্লিজ। আমার তখন খুব খারাপ লাগছিল ওর এইভাবে বলা দেখে । আমি বললাম আরে পাগলি তোকে সব সময় আগলে রাখব, বট গাছ হয়ে থাকবো তোর মাথার উপর । তুই শুধু তোর কাজ করে তোর লক্ষ্যে অগ্রসর হ এই আমার কামনা। ও আমাকে শক্ত করে ধরে বলল আপু তুই চিন্তা করিস না তুই পাশে থাকলে আমি সবকিছু করতে পারব। কথাটা শুনে আমি এক ধরনের প্রশান্তি পেলাম। জানিনা আমি একজন সত্যিকার বড় বোন হতে পারছে কিনা ওর কাছে। তবে আমি সবসময় চেষ্টা করে গেছি একজন মা হওয়ার।বড় বোন তো মায়ের মতই ।অর্থি এইবার এইচএসসি এক্সাম দিবে ।বিভিন্ন কথা বলতে বলতে ও আমার কোলে ঘুমিয়ে পড়ল ।তখন আমি ভাবলাম তোর জন্য আমি নিরাপদ কোল হতে পেরেছি এটায় আমার জীবনের স্বার্থকতা।
ধন্যবাদ
![banner-abb23.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmb8iudwDiWcPoEeCL9ghCV5egjvdDiK7MicfoDPjaNLg4/banner-abb23.png)
![break.png](https://steemitimages.com/640x0/https://images.hive.blog/DQma7eDsaUxzt7EVhxxHm2ePVexWhgcEsgXRUqWRygQYFjW/break.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
আপনাদের দুই বোনের এই মধুর সম্পর্ক আজীবন টিকে থাকুক সেই দোয়াই করি। আসলে ছোট বন অথবা ছোট ভাই থাকলে অনেক ভালো লাগে। তাদের ছোট ছোট আবদার এগুলো অনেক ভালো লাগার কাজ করে। আপনার ছোট বোনের কেক খাওয়ার ঘটনা টা ভালো লাগলো বুঝায় যাচ্ছে অনেক কেক প্রিয় এই জন্য হাতে পেয়েই খাওয়া শুরু করে দিয়েছিলো। যাক ভালো লাগলো অনেক, আশা করি আপনি আপনার বোনের স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হবেন। শুভকামনা রইলো আপনাদের দুই বোনের জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বড় বোন কিন্তু মায়ের মত হয়। এমনকি বড় বোনদের অনেক দায়িত্ব থাকে ছোট বোনের প্রতি। আপনার ছোট বোনের কথা শুনে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে আপনার ওর আবদারের ফলে আইসক্রিম কেক অর্ডার দেওয়া এবং খুব মজা করে দরজা থেকেই খেতে শুরু করা সবকিছুই খুবই ভালো লাগলো। আপনার ছোট বোনের প্রতি এত সুন্দর অনুভূতি গুলো জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
খুব দারুন মন্তব্য করেছেন আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। আসলে রক্তের সম্পর্ক গুলো এমনই হওয়া উচিত। হ্যাঁ বর্তমানে অনলাইনে কেনাকাটার পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনার অর্ডার করা কেকটি অনেক লোভনীয় ছিল। এমনিতেই কেক গুলো একটু আকর্ষণীয় হয়। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার কোন বোন নেই তাই বোনের প্রতি ভালোবাসা বা আবেগও আমার জানা নেই। তবে মাঝে মাঝে মনে হয় যদি সত্যিই এমন একটি আদরের বোন থাকতো তাহলে খারাপ হত না। ভালো লাগলো আপনাদের দুই বোনের ভালবাসা দেখে। স্বপ্নপূরণে আপনারা দুজনেই সফল হন এই প্রত্যাশা রইল।
আমরা তো আপনার বোন ভাইয়া।আপনি দারুন মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ
বড় বোন আসলেই মায়ের মত। আর আপনি যে তার বড় বোন হতে পেরেছেন সেটা আপনার পোস্ট থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। দুই বোনের ভেতর সম্পর্ক তো এমনই হওয়া উচিত। আমার একটি মামাতো বোন আছে যার নাম ও অর্থি। আপনার বোনের নামের সাথে মিলে গেল। আমি অবশ্য উঁকিঝুঁকি দিয়ে চেষ্টা করছিলাম আইসক্রিমের ভিতরের লেয়ার গুলি দেখার। কিন্তু এমন ভাবে ছবি তুলেছেন যে কিছুই দেখতে পারলাম না। এটা কি ঈগুলুর রিপল কেক এর মত নাকি?
হ্যা ভাইয়া এইটা ঈগলুর। আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্থি কে নিয়ে আপনার স্বপ্নগুলো পূরণ হোক হৃদয় থেকে দোয়া রইল । আপনি খুব চমৎকার লেখেন । সত্যি বনে বনে সম্পর্ক কতটা যে মজবুত হয় সেটা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম ।
বিশেষ দ্রব্যষ্ট° আইসক্রিম কেকের ছবি না দিলেও পারতেন । প্রচন্ড লোভ হচ্ছে 😋🥰 ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি।
আপু আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনার মনের অগোচরে লুকানো কথা গুলো আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার ছোট বোনকে নিয়ে দেখা স্বপ্ন যেন সার্থক হয় এবং দুজনের চলার পথ যেন অনেক সুন্দর হয় এই কামনাই করি আপু। সেই সাথে আপনাদের দুজনের জন্যই শুভকামনা রইল।
আপু আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
মায়ের মত করে ভালোবাসতে পারে একজন সে হল বড় বোন। খুব ভালো লাগলো খুব সুন্দর ভাবে দুই বোনের ভালোবাসা শেয়ার করেছেন। আমার বড় বোন আমাকে অনেক ভালোবাসতো সেই ভালোবাসা আজ ১৬বছর পাই না।