আবোল তাবোল গল্প ।( ১০ ভাগ লাজুক খ্যাঁকের জন্য বরাদ্দ🦊))
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন । আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। জীবনের জন্য থেমে যায় সামান্য কিছু ভুলের বিনিময়। সেই ভুলটি কে চর্মচক্ষে ভুল মনে না হলেও অন্তর চোখে আরেকটি ভুল । আমাদের যদি চর্মচক্ষু অন্ত চোখের মধ্যে সংযোগ না ঘটে তাহলে বুঝতে হবে আমরা সঠিক পথে নেই। আপনি মুখ দিয়ে কথা এক বলবেন মন দিয়ে আরেকটা ভাববেন তাহলে কিন্তু কখনোই আপনি সততার পরিচয় দিতে পারবেন না।
আমাদের ব্যক্তি জীবনে আমরা সবসময় অনুকরণ করতে পছন্দ করি। আমাদের সবার কেউ না কেউ না কেউ থাকে যাকে আমরা আইডল ভাবি। তার জীবন আদর্শকে অনুসরণ করার চেষ্টা করি। একজন ব্যক্তিকে যদি সবাই আইডল ভাবে তাহলে নিজের স্বাতন্ত্র্যবোধ, ব্যক্তিত্ববোধ বলতে কি থাকল? আমাদের নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করতে হবে নিজেকে এমন জায়গায় বসাতে হবে যেন আমাদের অন্যরাই আইডল ভাবে । আমাদের অবশ্যই নিজের আইডল নিজেকেই হতে হবে। আপনার আদর্শ আপনি। কাউকে অনুকরণ করার পরিবর্তে যদি আমরা নিজের মনের কথাগুলো শুনি এবং জ্ঞান চর্চার মধ্য দিয়ে চলতে পারে তাহলে অবশ্যই এমন একটা দিন আসবে যখন আপনাকে অন্যরা অনুসরণ করছে। আমাদের পূর্বগামীরা যে পথে গিয়েছে বা আমাদের সঙ্গী সাথীরা যে পথে যাচ্ছে আমাদেরও কি সেই পথে যেতে হবে? সেই পথেই হবে আমাদের একমাত্র পথ বা সেই পথেই আমাদের চলতে হবে বিষয়টা কি তা ?!না তা কখনই নয়। আমাদের সবার একটি নিজস্ব পথ আছে যে পথের রাজা শুধু আমরা নিজেরাই। এই কথা ঠিক যে আমাদের প্রত্যাহিক জীবনকে অনেক কিছুই প্রভাবিত করে। তবে আমাদের কোনকিছুই অন্ধ অনুকরণ ভালো না কারণ কেউ ভুলের উর্ধে নয়। এখন আমাদের কোন ব্যক্তিকে অন্ধ অনুকরণ করা উচিত নয় কেননা কেউই ভুলের উর্ধ্বে নয় আমরা যাকে অনুসরণ করছি সেই ভুল করতে পারে।তাই বলব অনুকরণ করতে গিয়ে তার ভুলগুলোকে আমাদের জীবনে স্থায়িত্ব করে যেন না তুলি।
যে পথে হাজারো মানুষ চলাচল করে একজন সফল মানুষ সেই পথে কখনো চলাচল করে না। যে পথে অন্যরা চলে সেই পথেই যদি আপনি চলেন তাহলে তাদের সাথে আপনার পার্থক্য কি। আমাদের সব সময় অন্যদের থেকে আলাদা হতে হবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে অন্যরকমভাবে। ধরুন একটি মাঠে ১০০০ মানুষ সাদা কাপড় পড়ে দাঁড়িয়ে আছে আপনিও সেখানে সাদা কাপড় পড়ে তাদের সাথে দাঁড়িয়ে আছেন এখন একজন কে বললাম আপনাকে খুঁজতে । কিন্তু এত লোকের ভিড়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সে আপনাকে চিহ্নিত করতে পারিনি। তার কাছে সবকিছুই এক লেগেছে। কিন্তু অন্যদিকে আপনাকে যদি এক হাজার মানুষের মাঝে একটি লাল কাপড় পরিয়ে রাখা হয় এবং বলা হয় আপনাকে খুঁজে বের করতে তখন চোখের পলক যে কেউ আপনাকে খুঁজে বের করতে পারবে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা যে বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারলাম যে সমাজে পথে যাই না কেন আমাদের অবশ্যই ব্যতিক্রম পন্থা অবলম্বন করতে হবে যাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে যে কোনো মুহূর্তে নিজের জাত চেনাতে পারি। আপনি যখনই ব্যতিক্রম পথ অবলম্বন করে সামনে এগোবেন তখন অবশ্যই আপনার ব্যক্তিসত্তা শক্তিশালী হবে। এটা ঠিক যে আপনি তখন একা থাকবেন সে পথে অনেক বিপদ আসবে। সেই বিপদকে মোকাবেলা করতে আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আমাদের নিজেদের জন্য একটি নিজস্ব পথ খুঁজতে হবে যে পথের পথিক শুধু আমি আপনি। আপনাকে আমাকে এমন একটি পথ আবিষ্কার করতে হবে যে পথে কেউ কখনো যায় না সেই পথেই আমাদের চলতে হবে নিজেকে আলাদা ভাবে উপস্থাপন করতে। সত্যের পথ অনুসন্ধান করতে হবে। সত্য জীবনের সাথে সংযোগ ঘটাতে হবে সত্য জীবনের সন্ধিস্থাপন এ আমাদের অবশ্যই অগ্রণী ভূমিকা পালন করা উচিত।
আপনি একটা মানুষকে খুব শ্রদ্ধা করেন তাকে সম্মান করেন কিন্তু সে আপনাকে এমনভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করলো তাতে আপনার মনে অনেক আঘাত লাগল। সেই সময়ের মুখোমুখি না হতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে আপনার জীবনের নির্মাতা হতে হবে। নিজের জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা আনা যাবে না। নিজের জীবনকে ঘৃণা করা যাবেনা। আপনি আর কাউকে ভালোবাসুন আর না বাসুন নিজের জীবনকে, নিজের শরীরকে নিজের মন কে ভালবাসতে হবে তাহলে দেখবেন আপনি খুব সহজেই একটি দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে পেরেছেন। আমাদের এই ছোট্ট জীবনে কারো প্রতি হিংসা বিদ্বেষ না জন্মানোটাই মনে হয় সব থেকে বেশি ভালো। আরেকটি বিষয় হচ্ছে আমরা সব সময় মিথ্যা সম্মানে পিছনে ছুটে এটিই আমাদের সমাজকে আজ চরম বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। সমাজে আপনার টাকা আছে , অর্থ-বিত্ত আছে সবাই আপনাকে সম্মান করবে শ্রদ্ধা করবে কিন্তু যেই আপনার কাছে কিছু থাকবে না আপনি দেউলিয়া হয়ে যাবেন তখনই দেখবেন আপনার কাছের মানুষ আপনজন গুলো আপনাকে কিভাবে দূরে সরে দিচ্ছে তখন একমাত্র আপনার জীবনে কাদের গুরুত্ব বেশি সেটি বুঝতে পারবেন। এক জীবনে চলার পথে আমাদের কত মানুষের সাথে চলতে হয় ফিরতে হয় এর মাঝে অনেকের সাথে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক হয়ে ওঠে আবার অনেকের সাথেই খারাপ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কেউ আপনাকে ঘৃণা করে আপনাকে কথায় কথায় অসম্মানিত করে কিন্তু আপনি কখনই তাদের বদলা নেওয়ার চেষ্টা করবেন না । আমাদের মন-মানসিকতা এমন ভাবে গড়ে তুলতে হবে যে ,আপনাকে কেউ কষ্ট দিয়েছে, আপনাকে অপমান করেছে তাকে আপনি আপনার সফলতা দিয়ে জবাব দিয়ে দিবেন , আপনার সফলতা দিয়ে প্রতিশোধ নেবেন। অর্থাৎ আপনার মনুষ্যত্ব, আপনার বিবেক যেনো অন্য কাউকে ঘৃণা করার সময় না পায়।
কিছুই ভালো লাগছে না আপনাদের সাথে কি আলোচনা করছি নিজেও জানিনা। মনে যা আসছে তাই শেয়ার করেছি। গোছালে ভাবি কিছুই বলিনি। তাইতো কথা বলব আবোল তাবোল। |
---|
ধন্যবাদ
এই কথাটার সাথে আমি সহমত প্রকাশ করছি। আরে কথাটিকে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। ধৈর্য আর সময় নিয়ে কোন কাজ করলে সেখানে সফলতা আসবেই ইনশাল্লাহ। অনেক সুন্দর ভাবে গল্পটি শেয়ার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই কথাটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে। এটা একটা অনেক সুন্দর পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। আপনার লেখার প্রশংসা করতে হয়। আপনার লেখা প্রতিটা লাইন ছিল অনুপ্রেরণা। অসাধারণ লিখেছেন আপু। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।।
আপনার আমার কথাটি ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগল।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার এই গল্পটি আমার খুবই ভালো লেগেছে।কথায় আছে সবুরকে নেওয়া হলে। ধৈর্য থাকলে সব সম্ভব। আগের মুনি ঋষি রা ধৈর্য ও সময় এর সৎ ব্যবহারেই সফলতা অর্জন করেছেন। আপনার এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এর জন্য অনেক ধন্যবাদ ও আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনার ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু খুবই সুন্দর এবং শিক্ষনীয় কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন।আমাদের সকলের উচিত কথার মাধ্যমে জবাব না দিয়ে বরং নিরবতা পালন করে কাজ করে সফলতা অর্জন এর মাধ্যমে জবাব দেয়া উচিত।জীবনে সফলতা অর্জন করার জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।ধন্যবাদ আপু।
আপনার মন্তব্য অনেক সুন্দর হয়েছে।আলনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া। আপনার কথাগুলো অনেক ভালো লেগেছে । জীবনে সফল হতে হলে একটু ব্যতিক্রম ভাবে চিন্তা ধারণা থাকতে হবে । আপনার লেখা গুলো খুবই বাস্তব ধর্মী। অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো। এরকম লেখা আরো চাই আপনার মাধ্যমে
আমি আসলে ভাইয়া না!! আপু। আপনার অনেক।সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।