আমার প্রবন্ধ-২ ( ঘুনে ধরা সম্পর্ক) [10% beneficiaries for @shy-fox
সত্যি কথা বলতে যে নামের আত্বীয়, তাকে আমি মানুষের কাছে আত্বীয় বলে কখনোই পরিচয় করে দিব না। আমি তার বাড়ির ত্রীসিমানায় যাইনা। আসলে তারা বিশ্বাসঘাতক। আমাদের সাথে চলনা করে সে আমাদের ঘরে ঢোকে তবে আমাদের সুখ-দুঃখের ভাগীদার নয় যে তার নাম কখনো মুখে আনব না। অথবা আমি তার ক্ষেত্রে আত্বীয় বা বান্ধব শব্দ অপব্যবহার করা পক্ষে নই। কেননা তাতে মানুষ ভ্রান্ত ধারণা পাবে। যার সাথে অন্তর, দরদের বা জীবন নীতির মিল নাই তাকে আত্বীয় না বলে নাম ধরে ডাকাই উচিত। আমাদের সমাজে যার অবস্থা ভালো সে কি তার প্রতিবেশির খবর নেয়?সে কি মনুষ্যের সাথে কথা বলে? যে আমার বিপদ-আপদে আপন জনের মতো সবার আগে পাশে এসে দ্বারায় সেই আমার পরম বন্ধু, পরম আত্বীয় রক্ত,জাতের সম্পর্ক থাক আর না থাক।
আমার যে সহোদরা দুঃখের সময় পরের মতো আচারন করে, বিগত জীবনের কথা মনে করে প্রতিশোধ নিতে ব্যস্ত সে আমার ভ্রাতা হলেও বেগানা। তার সাথে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক থাকতে পারেনা। যে অসাধু, অত্যাচারী, অন্যকে বিপদে ফেলে অসৎপথে অর্থ উপার্জন করে সে আমার পরম আত্বীয় হলেও কখনো তার সাহায্য গ্রহণ করব না। অর্থাৎ পাপী দুরাত্মা ভ্রাতা হলেও সে কখনোই আমার আত্বীয় নয়।
ক্রমশ...........
কখনো হতাশ হবেন না, খুব কাছের আত্মীয় কিংবা বন্ধু যদি আপনার সাথে
কখনো পরের মত আচরণ করে,পিছুটান নিয়ে কখনো ভাব্বেন না। দুনিয়াটা খুব কঠিন, সবকিছু নিজের মতো করে জাস্ট সাজিয়ে নিতে হবে তাহলেই সুন্দর। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর করে গঠনমূলক মন্তব্য করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে
আমার মনে হয় এসব খারাপ এদের কাছ থেকে সাহাক্স্য নিলে নিজের ই অপমান করা। কারণ সারাজীবন সৎ ভাবে চলে শেষে এসে অপমানিত হওয়ার মানে নেই। খুব সুন্দর কথা লিখেছেন আপু আপনি।
সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে
অসৎ মানুষের সাথে আমাদের মেশা উচিত না।দুর্জন মানুষ জ্ঞ্যানী হলেও পরিতেয্য।এখন যে যুগ এই যুগে ভালো সম্পর্ক অতি নগন্য।আপনি বিষয় টাকে খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। সুন্দর কথা বলেছেন।
একদম ঠিক বলেছেন আপু, আসলে সমাজের মানুষ এখন এতটাই স্বার্থপর হয়ে গেছে যে তারা রক্তের মানুষকে শুধু ক্ষতি করে।এইজন্য কথায় আছে আপনের থেকে পর ভালো।যারা বিপদে সাহায্য করে তারাই প্রকৃত বন্ধু।সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর মন্তব্যর জন্য।
একদমই না আপু। খুবই ভালো লাগলো যার অবস্থান ভালো সে কখনো একজন গরীব দুঃখী প্রতিবেশীর খোঁজখবর নেয়ার সময় থাকে না। একসময় সেও কিন্তু খোঁজখবর নিতো তার অবস্থানের পরিবর্তন হওয়ার কারণে আজ সে নিজের মনুষ্যত্ব হারিয়ে গেছে এবং মানুষকে চিনতে পারেনা এমন একটা ভাব হয়ে গেছে আমাদের এই সমাজে। এমন মানুষ অনেক দেখা যায়।
ধন্যবাদ ভাইয়া