কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন। আমার বাংলাব্লগ পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
রোজা প্রায় শেষের দিকে কিন্তু দিন বড় হচ্ছে।যখন রোজা শুরু করছিলাম তখন দিন পায় অনেক ছোট ছিল কিন্তু ধীরে ধীরে রোজা যত বাড়ছে দিন তত বাড়ছে সেই সাথে তো গরম বাড়ছেই। এই গরমে রোজা থাকা অনেক কষ্টকর তবুও থাকতে হবে। কিন্তু শেষ বেলায় যদি তৃপ্তিদায়ক ইফতার না করা যায় তাহলে আসলে ভালো লাগেনা। এই গরমে ইফতারের সময় আসলে ঠান্ডা কিছু থাকতে হবে। তাই ভাবলাম আজ ঠান্ডা কিছু করা যাক। আমাদের বাসায় ফালুদার সব উপকরণ সবসময় থাকে। আমার ছোট বোন খুব ফালুদা খেতে ভালোবাসে । তাই আজ মজাদার ফালুদা বানিয়ে ফেললাম।তবে ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ঈদের মার্কেট ততটাই যেন ব্যস্ততাময় হচ্ছে। আজ একটু মার্কেটে গেছিলাম এমন অবস্থা ঢুকতে পারছিলাম না এতটা ভীড় । আমাদের ইসলাম ধর্মের সব থেকে বেশি আনন্দ ও নতুন কাপড় নতুন পোশাক পরার ধুম পড়ে যায় এই। গরীব-ধনী সবাই এই ঈদে নতুন কাপড় পড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের সমাজে দিকে তাকালে অনেক গরীব অসহায় মানুষ আছে যারা ঈদের মার্কেট তো দূরের কথা ঈদের দিনে কি খাবে তাও যোগাড় করতে পারে না। অন্যদিকে উচ্চস্তরের মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকার ঈদ মার্কেট করে অথচ সামান্য টাকা দিয়ে গরীব অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানো যায় সেদিকে কোন খেয়াল রাখে না।
আপনাদের একটা ঘটনা বলি কিছুদিন আগে ঢাকা থাকতে আমার খুব কাছের একজন বন্ধু টিউশনি করাতো। সে প্রায় শেষ পর্যন্ত টিউশনি করিয়েছে এই ভেবে যে যাওয়ার আগে হয়তো তাকে টিউশন টাকাটা দিয়ে দেবে। কিন্তু এমন অবস্থা দেখেন শেষের দিনে স্টুডেন্টের আম্মু এসে বলল স্যার এবার প্রায় 2 লক্ষ টাকার মতো ঈদ মার্কেট করা হয়ে গেছে টাকা প্রায় শেষ। আপনাকে সামনে মাসে টাকা দেবো কিছু মনে করবেন না স্যার। আমার বন্ধু হতবাক নির্বাক হয়ে সেখান থেকে চলে আসলো। তার খুব ইচ্ছা করছিলো এবার টিউশন টাকা পেলে ছোট ভাই-বোনদের জন্য কিছু কেনাকাটা করে নিয়ে যাব।কিন্তু সমাজে উচ্চ স্তরের মানুষের কাছে আমার বন্ধুর চাওয়াটা খুবই তুচ্ছ হয়ে গেল । আমাদের সমাজের মানুষদের বিবেক দিন দিন এমনভাবে লোপ পাচ্ছে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। এই সমাজের মানুষের বিবেক জাগ্রত হোক।


প্রয়োজনীয় উপকরণ
- সাবু
- কাস্টার পাউডার
- গুড়া দুধ
- দুধ
- নুডুলস
- চেরীফল
- কলা
- আপেল
- আঙুর
- আইচক্রিম



- প্রথমে সাবু, দুধ, চিনি ও নুডুলস দিয়ে সাথে স্বাদ বেশি করার জন্য গুড়া দুধ দিয়ে আগে থেকে রেডি করে ফ্রিজে রাখা ছিল।


- এই পর্যায়ে কলা,আপেল, আঙুর চেরীফল ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি।


- এই পর্যায়ে পূর্বে রেডি করে নেওয়া নুডুলস ও সাবু গ্লাসে সামান্য পরিমান দিয়েছি।


- এই পর্যায়ে কেটে নেওয়া আপেল দিয়েছি।


- এই পর্যায়ে কেটে নেওয়া আঙুর দিয়েছি


- এই পর্যায়ে কেটে নেওয়া কলা দিয়েছি


- এই পর্যায়ে কেটে নেওয়া চেরীফল দিয়েছি।


- এই পর্যায়ে আইচক্রিম দিয়েছি। সেই সাথে সব উপকরণ দেওয়ার পর আমাদের সুস্বাদু ফালুদা তৈরী হয়ে গেলো।এখন আপনি নিজে মিক্সড করে সুস্বাদু ফালুদার স্বাদ নিতে পারবেন।




আপনি সুস্বাদু ফালুদা রেসিপিটা অসাধারন ভাবে তৈরি করেছেন। দেখে আমার লোভ লেগে গেল। আপনি চমৎকার ভাবে এটা উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভকামনা রইল।
অবশ্য বেশ কয়েকদিন ধরে রোদের সেই তাপ আগের মত নেই।এখন মোটামুটি আবহাওয়া একটু শীতল।আর ফালুদা বানানোর প্রক্রিয়াটি বেশ ভালো ছিল।আর আইস্ক্রিম দেওয়ার ব্যাপারটি দারুন ছিল।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই আপু আমাদের সমাজের উচ্চস্তরের মানুষের বিবেক জাগ্রত হওয়া দরকার। যাইহোক আপনার রেসিপিটি খুবই চমৎকার হয়েছে। ফালুদা খেয়েছি অনেক দিন হয়ে গেছে। আপনার ফালুদা রেসিপি টি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি অনেক গুলো ফলের মিশ্রণে খুব চমৎকার ভাবে দেখিয়েছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল
এখনই সময় বিকেক জাগ্রত হওয়ার।এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব খারাপ লাগছে আপনার বন্ধুর জন্য এবং সমাজের এমন নামিদামি মানুষদের জন্য। কি লাভ এত টাকা পয়সা দিয়ে যদি মানুষের মুখে হাসিই না ফোটাতে পারে। উনি 2 লক্ষ টাকার মার্কেট করতে পেরেছে অথচ স্যারের বেতনটা দিতে পারেনি। কি লাভ ওনাদের বাচ্চাদেরকে তো শিক্ষিত করার যেখানে উনারা নিজেরাই কিছু জানেন না
যাইহোক আপু ফালুদা রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। খুব খেতে ইচ্ছে করছিল আপনারারেসিপি টা দেখে। অনেকদিন ফালুদা খাওয়া হয়নি। খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করেছেন আপু। ফালুদা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এবং আপনার জন্য ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা রইল।
আমাদের চারপাশের মানুষ জনের বিবেক দেখে হতবাক হয়ে যাই আপু। যাইহোক এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে আমাদের সমাজে এমন মানুষ আছে যারা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া কিছুই বোঝে না। খুব খারাপ লাগলো আপনার বন্ধুর কথাটি শুনে। যাইহোক আপনার ফালুদার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই মজাদার হয়েছিল। সারাদিন রোজার পরে যদি এমন মজাদার একটি ফালুদা খাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই।
নিজেদের স্বার্থছাড়া আসলেই তারা কিছুই বোঝেনা এমন মানুষের সংখ্যা নিহাত কম না।আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগল।ধন্যবাদ আপনাকে।
ফালুদা আমি বাইরে থেকে অনেক কিনে খেয়েছি কিন্তু নিজে কখনো তৈরি করে খাইনি। আপনি প্রতিটা তার খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ফালুদা তৈরী করে খাবেন ভালো লাগবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
সুস্বাদু ফালুদা রেসিপি আগে কখনো খাওয়া হয়নি যেটা আমার প্রথম দেখা। আপু দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে ।অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে খুব সুন্দর করে তৈরি করেছেন ভালো লাগলো।
ফালুদা খেতে অনেক মজা খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে
ধন্যবাদ আপনাকে।
ফালুদা বরাবরই আমার খুব ফেভারিট তবে বেশ কিছুদিন হল খাওয়া হয়না আপনি লোভনীয় ভাবে প্রস্তুত করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল
আমারো ফেভোরিট ভাইয়া। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপু, ঘটনাটি পড়ে খুবই খারাপ লেগেছে। আসলে আমাদের সমাজের মানুষগুলো একটু তাদের বিবেক খরচ করে চললে সমাজের সব মানুষরাই ভালো থাকে। তারা 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত শপিং করতে পেরেছে অথচ টিউশনি ফি টা দিতে পারেনি।🥺
ফালুদা আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভ লেগে গেলো। অনেকদিন হলো এটি খাওয়া হয়না। এবার রমজানে বিভিন্ন কারণে তৈরিও করা হয়নি এটি। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমি যখন শুনেছি আমারো খুব খারাপ লেগেছে এবং ওর মুখের দিকে তাকানো যেত না।কি বলব আপু। এতটায় অসহায় লাগছিল ওকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বিভিন্ন ফলের সমন্বয়ে মজাদার ফালুদা রেসিপি শেয়ার করেছেন। ইফতারের সময় ফালুদা খেতে অনেক মজা লাগে , সারাদিন রোজা রাখার পরে এমন লোভনীয় রেসিপি থেকে নিজেকে দূরে রাখার জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে।
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।