আলু, বেগুন,সজিনা দিয়ে রুই মাছের ঝোল (১০ ভাগ 🦊🦊🦊🦊)
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন ।আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যকে সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। দিন দিন যে গরম পড়ছে টেকায় বড় মুশকিল। এই গরমে বাইরে বের হলে জীবনটা শেষ হয়ে যায়। আবহাওয়া দিনদিন যেন আমাদের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি করেছে।আর করবেই বা না কেন আমরা কি প্রকৃতিকে বন্ধু মনে করি?আমরা প্রকৃতির সাথে যে আচরণ করি , ঠিক একই আচরণ করছে আমাদের সাথে। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের দূষণ করে যাচ্ছি। বায়ু দূষণ ,পানি দূষণ, মাটি দূষণ থেকে শুরু করে সবকিছু যা প্রকৃতিকে স্বাভাবিক ভাবে চলতে দিচ্ছে না। অথচ আমরা যদি প্রকৃতিকে বন্ধু ভাবতাম প্রকৃতি ও আমাদেরকে বন্ধু ভাব তো।উন্নত দেশগুলো দিন দিন যেভাবে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করছে এইভাবে চলতে থাকলে প্রকৃতি তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করবে ।যার ফলাফল হবে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে। আমাদের উচিত প্রচুর গাছ লাগানো, কিন্তু যে পরিমাণ গাছ লাগানো উচিত তার থেকে বেশি পরিমাণ আমরা গাছ নিধন করছি, কল কারখানা নির্মাণ করছি । জলবায়ু যত দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এইভাবে চলতে থাকলে পৃথিবীতে বসবাস করে বেশ মুশকিল হয়ে যাবে সবার জন্য। আসলে আমরা মানুষ হলেও শুধু নিজেদের সুবিধার কথা ভেবে নিজেরই ক্ষতি করে যাচ্ছি পরোক্ষভাবে। মানুষের বিবেকের জাগ্রত হোক !পরিবেশের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি হোক। পরিবেশ বাঁচলে আমরা বাঁচবো। গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান স্লোগানে মুখরিত হোক সারা বিশ্ব।
আজ আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট করব। আমার রেসিপিটি হচ্ছে আলু ,বেগুন ,সজিনা দিয়ে রুই মাছের ঝোল।আমি এই প্রথম এমন একটি রেসিপি দিলাম।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে । তবে চলুন দেখা যাক কিভাবে রেসিপিটি আমি করলাম ।আর হা আগেই বলে নেই রেসিপিটি করার সময় আমি তাড়াহুড়ার মাঝে ছিলাম ।এক জায়গায় যাওয়ার জন্য ।
উপকরণ |
---|
- আলু
- রুই মাচ
- সজিনা
- বেগুন
- ঢেঁড়স
- তেল
- লবণ
- মরিচ
- পেয়াজ
- ধোনের গুড়া
- হলুদ
ধাপ-১ |
---|
- প্রথমে আলু ও সজিনা কেটে নিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিয়েছি।
ধাপ-২ |
---|
- এই পর্যায়ে দুইটি বেগুন কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৩ |
---|
- এই পর্যায়ে দুইটি ঢেঁড়স কুচি করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৪ |
---|
- এই পর্যায়ে আলু,সজিনার সাথে বেগুন,ঢেঁড়স, হলুদ,ধনের পাতা গুড়া, মরিচ ও লবণ দিয়েছি।
ধাপ-৫ |
---|
- এই পর্যায়ে পূর্বে কুচি করে রাখা পেয়াজ তেলে ভেজে নিব।
ধাপ-৬ |
---|
- পেয়াজের রঙ বাদামি কালার না হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৭ |
---|
- এই পর্যায়ে সব উপাদান দেওয়ার পর সুন্দর করে মাখিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৮ |
---|
- এই পর্যায়ে ফ্রিজে রাখা কয়েকটি রুই মাছের পিচ নিয়েছি।
ধাপ-৯ |
---|
- রুই মাছের পিচ গুলোতে লবণ, হলুদ ও ঝাল দিয়েছি।
ধাপ-১০ |
---|
- এই পর্যায়ে মাছগুলো ভালো ভাবে মেখে নিয়েছি।
ধাপ-১১ |
---|
- এই পর্যায়ে মাছ গুলো ভেজে নেওয়ার জন্য তেল মাঝে ছেড়ে দিয়েছি।
ধাপ-১২ |
---|
- এই মাছ ভাজা প্রায় শেষ।এখন মাছ নেমে রাখব।
ধাপ-১৩ |
---|
- এখন আবার ভেজে নেওয়া মাছ গুলো পূর্বে মেখে রাখা আলু বেগুনের মাঝে ছেড়ে দিয়েছি।
ধাপ-১৪ |
---|
- এই পর্যায়ে আর একটু পানি দিয়ে রান্না শুরু করে দিয়েছি।
ধাপ-১৫ |
---|
*এই পর্যায়ে রান্না হইছে কি দেখছিলাম।
ধাপ-১৬ |
---|
- এর কয়েক মিনিট পরেই আমাদের রেসিপি সম্পন্ন হয়েছে।
ফাইনাল ধাপ |
---|
- এর পর পরিবেশনের জন্য নিয়েছি।
ধন্যবাদ সবাইকে
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
আসলেই যেভাবে গরম পরছেন,তাতে বসবাস করা খুব কঠিন হয়ে পরছে।এভাবে গরম বাড়তে থাকলে,বসবাস করা অযোগ্য হয়ে পরবে।যাই হোক আপনার আপনার রেসিপি রুই মাছ দিয়ে সবজির রেসিপি মনে হচ্ছে খেতে বেশ দারুন হয়েছে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
একদম আপু, আপনি ঠিক বলেছেন ঢাকায় আরো সে গরম ।বসবাস করা খুব কঠিন ।
আলু বেগুন সজিনা দিয়ে দারুন একটি রুই মাছের রেসিপি করেছেন আপু খুবই সুন্দর হয়েছে দেখেই লোভ লেগে গেল।ধন্যবাদ দারুন রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ ভাইয়া শুভকামনা রইল।
রুই মাছ সপ্তাহে প্রায় ৩ দিন খাওয়া হয়। খেতে অনেক মজা এই মাছ। এত খাই তবুও অতৃপ্তি আসে না। আপনার রান্না অনেক ভাল হয়েছে। সুন্দর করে ধাপে ধাপে গুছিয়ে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
আলু বেগুন সাজনা দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি। আপনার পোষ্টটি দেখে আমার জিব্বায় পানি চলে আসছে। আপনার আলু বেগুন সাজনা রুই মাছে রেসিপির ধাপগুলো সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ওয়াও আপু সজিনা দিয়ে খুব সুন্দর করে রুই মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। যেটা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। এই ধরনের রেসিপি আমার খুবই ফেভারিট। আপনার রেসিপি তৈরি অনেক ভালো লাগলো দারুন উপস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এত সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি রুই মাছ অনেক পছন্দ করি। এটি অনেক মজার একটি মাছ। আপনি আলু, বেগুন,সজিনা দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে খুব খেতে মন চাচ্ছে। শুভকামনা রইলো আপু। রেসিপি অনেক আকর্ষনীয় হইছে।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
সজনা দিয়ে তরকারি খেতে অনেক পছন্দ করি আমি। তাছাড়া এই সবজির মধ্যে অনেক পুষ্টি রয়েছে। রুই মাছ আলু বেগুন সজনা দিয়ে বেশ জমিয়ে রেধেছেন আপু। খেতে পারলে বেশি ভাল লাগতো। ধন্যবাদ আপনাকে
সজিনা দিয়ে তরকারি আপনি পছন্দ করেন শুনে ভালো লাগলো।
আলাদাভাবে সজনা ও রুই মাছ দুটোই আমার কাছে খুব প্রিয়। দুটোই আমি খেতে অনেক পছন্দ করি। আপনি খুব চমৎকার করে আলু সজনা ও মাছের ঝোল রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখে মনে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। তাছাড়া আপনি রেসিপি তৈরি এর প্রত্যেকটি ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
সজিনা ও রুই মাছ দুটোই আপনার কাছে প্রিয় শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
সজিনা আমার বেশ ভালো লাগে।আপনি খুব সুন্দর করে রুই মাছের ঝোল এর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে বেশ ভালো লাগছে। এরকম রেসিপিগুলো খেতে অনেক সুস্বাধু লাগে।খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন আমার অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু আমরা প্রকৃতির সাথে যে আচরণ করি প্রকৃতি যেন তার ফিডব্যাক দিচ্ছে। দিন দিন গরমের মাএা টা আসলেই বাড়ছে। যাইহোক সজনে ডাটা আলু বেগুন দিয়ে রুই মাছের রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন। দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে।।
আপনি অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।