আমার স্মৃতির এলবাম থেকে আহসান মঞ্জিলের ফটোগ্রাফি-২ ( ১০ ভাগ লাজুক খ্যাঁকের জন্য)
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও একটু ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি এবং সেই সাথে অনুরোধ করছি কারণ করোনার সেই ভয়াল থাবা থেকে যেন আমাদের নিজেদের এবং পরিবারের সবাইকে সুস্থ রাখে ।
সবাই সচেতন থাকবো যেন করোনার মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আমাদের জীবনে না আসে। যাই হোক আমরা মানুষ হিসেবে সবাই ভ্রমণপিপাসু বিভিন্ন জায়গায় আমরা সাধারণত গ্রহণ করতে পছন্দ করি। সারা পৃথিবীতে কোটি কোটি লোক পৃথিবীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়াচ্ছে নানান দৃশ্য। ঠিক তেমনি বিভিন্ন ছুটিতে বিশেষ করে শীতকালে সময় বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, ঐতিহাসিক স্থানে ঘুরতে যায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে দূরে কোথাও কখনো ঘুরতে যাইনি। তবে আশেপাশের যতটুকু সম্ভব ঘুরে দেখার চেষ্টা করেছি সেই প্রত্যাশায় আমি যখন করোনার ছুটি শেষে প্রথম ক্যাম্পাসে আসলাম তখন বেশ কয়েকদিন বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ঘুরে বেরিয়েছি। গতকাল আমি আহসান মঞ্জিলে বেশ কিছু ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি আজ আমি আহসান মঞ্জিলে সংগ্রহে থাকা বিভিন্ন ঐতিহাসিক জিনিসের ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। তবে আগেই বলে নেই যেহেতু এসব জিনিসের ছবি তোলা নিষিদ্ধ ছিল । সেই সময় আমরা বেশ কয়েকজন ফ্রেন্ড মিলে অনুমতি সাপেক্ষে কিছু ছবি তোলার পারমিশন পেয়েছিলাম। সেখান থেকে আমি কিছু ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
এখানে ছবিতে আপনারা যে যন্ত্রপাতিগুলো দেখছেন এগুলো সেই সময় ডাক্তারি কাজে ব্যবহৃত হতো। অর্থাৎ নবাবদের চিকিৎসার কাজে এইসব ব্যবহৃত হতো। এখান থেকে ধারণা পাওয়া যায় তখনও চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ উন্নত ও আধুনিক ছিল।
এই ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি সিঁড়ি এবং দেয়ালে কিছু ঢাল এবং বল্লম এর ছবি ।এই সিঁড়ি দিয়ে দ্বিতীয় তলায় উঠা যায় । সেই সময় যুদ্ধের যে অস্ত্রগুলো সবথেকে বেশি ব্যবহৃত তা।হচ্ছে বল্লম ও ঢাল ।
চিত্রে যেগুলো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এগুলো হচ্ছে কাঁচের ফানুস । সে সময় নবাবরা এগুলো ব্যবহার করত। যদিও আমি বিষয়টি নিয়ে ক্লিয়ার না যে এগুলো কিভাবে ব্যবহৃত হতো।
এই পর্যায়ে আপনারা যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন হয়তো আপনাদের মনে হচ্ছে এটি কোন কামান বা তেজস্ক্রিয় জাতীয় কোন পদার্থ। আসলে এটি একটি সীমানা পিলার অর্থাৎ সেই সময় সীমানা নির্ধারণের জন্য এই পিলারগুলো ব্যবহার হতো।
এই পর্যায়ে আপনারা যে চিত্রটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে তামার তৈরি আহসান মঞ্জিলের ক্ষুদ্র ভার্সন বলা চলে।
এই পর্যায়ে আপনারা বঙ্গবন্ধুর ছবি পাশে একটি লেখা বইয়ের কপি দেখতে পাচ্ছেন আসলে এটি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আহসান মঞ্জিল কে জাতীয় সম্পদ হিসেবে যখন ঘোষণা করে তারই প্রমাণস্বরূপ দলিল।
চিত্রে আপনাদের ছবি দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে সেই সময়ের যুদ্ধে ব্যবহৃত বড় দার্শনিকরা বা নবাবরা আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহার করত। এই ছবির মাধ্যমে আমরা এক ধরনের ধারণা পাই যে অতীতে কেমন যুদ্ধ হতো এবং কি ধরনের পোশাক বা বর্ম ব্যবহার করা হতো আত্মরক্ষার জন্য।
এই ছবিতে আপনারা কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন যেখানে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ সহ তার পরিবারের কিছু বিশেষ ব্যক্তির ছবি দেখানো হয়েছে।
এই পর্যায়ে চিত্র দুটি আহসান মঞ্জিলের সংগ্রহশালা ঢোকার গেট এবং এখানে আহসান মঞ্জিল এর বিভিন্ন নিয়ম নীতি সকল বিষয়ে সুন্দরভাবে বলে দেওয়া হয়েছে।
আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের পছন্দ হবে এবং পরবর্তী পর্বে আহসান মঞ্জিলের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। |
---|
ফটোগ্রাফি | আহসান মঞ্জিল |
---|---|
Camera | Samsung Galaxy wide |
Photo | @abidatasnimora |
Date | ৩১ অক্টোবর ২০২১ |
ছবির লোকেশন | W3W location |
![banner-abb23.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmb8iudwDiWcPoEeCL9ghCV5egjvdDiK7MicfoDPjaNLg4/banner-abb23.png)
![break.png](https://steemitimages.com/640x0/https://images.hive.blog/DQma7eDsaUxzt7EVhxxHm2ePVexWhgcEsgXRUqWRygQYFjW/break.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
খুব দারুন দারুন কিছু দেখতে পেলাম।এসব বিষয়ে আসলে আমার অনেক কৌতুহল,মনে হচ্ছে আরও যদি দেখতেই থাকতাম কিন্ত পোস্ট তো শেষ। যাই হোক,যাদুঘরে না গিয়েও দারুন কিছু দেখতে পারলাম আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু আপনার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভীষণ তথ্য বহুল এবং চমৎকার একটি পোস্ট ♥️
ভীষণ ভালো লাগলো প্রতিটি ছবি।
আহসান মঞ্জিল সম্পর্কে জেনেছি অনেক আগে কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি আজ আপনার মাধ্যমে মনে হয় ঘুরে এলাম পুরোটা। তাই অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে ✨
শুভ কামনা এবং দোয়া সবসময়ই রয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। একদিন যাবেন খুব ভালো লাগবে।
সুন্দর একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন। আহসান মঞ্জিল। যাওয়া হয়নি।। তবে আপনার চিত্র গুলো দেখে একটু অনুধাবন করতে পারলাম তৎকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য বিষয় । ধন্যবাদ আপনাকে ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আহসান মঞ্জিল যাবেন ভালো লাগবে আপনার এবং তৎকালীন নবাবদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
আহসান মঞ্জিল এর বাইরের ভিউ টা খুবই সুন্দর। আমি ভিতরে কখনোই ঢুকেনি তবে আপনার এই পোস্ট থেকে আজকের ভিতরে কিছু ফটোগ্রাফি দেখে নিলাম। খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন বন্ধুদের সাথে মিলে। আপনাকে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভিতরে যাবেন অনেক কিছু জানতে পারবেন দেখতে পারবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সত্যি কথা বলতে আপু আসান মঞ্জিলে কখনো যাওয়া হয়নি, তাই এগুলো দেখার সুযোগ হয়নি। তবে আপনার আজকেরে ফটোগ্রাফি পোষ্টের মাধ্যমে খুব সহজেই আহসান মঞ্জিল এর বিভিন্ন জিনিস বা তখনকার সময়ে ঐতিহ্যের অনেক কিছু দেখতে পেলাম, যা দেখে আমি খুবই মুগ্ধ। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আহসান মঞ্জিল যাবেন ভাইয়া অনেক কিছু দেখতে পারবেন এবং নবাবদের সম্পর্কে জানতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সিঁড়িটা দেখলেই কেমনে যেনো লাগে।
দেখলেই মনে হয় রাজকীয় একটা ভাব আছে।ফটোগ্রাফী গুলো ভালো লেগেছে খুব।
আপু এখানে তো নবাবরা থাকতো নবাবদের বাসস্থান ছিল। সবকিছু আসলে রাজকীয় ছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার স্মৃতির অ্যালবাম থেকে আহসান মঞ্জিলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে, আহসান মঞ্জিল চেনা ও খুবই পরিচিত একটি জায়গা, আহসান মঞ্জিলে আমার অনেকবার যাওয়া হয়েছে খুবই সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। ধন্যবাদ আপু আপনাকে শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আহসান মঞ্জিল এর বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমার কাছে সবচাইতে বেশি ভালো লাগলো বঙ্গবন্ধুর ফটোগ্রাফি এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বঙ্গবন্ধু বলেছিল আহসান মঞ্জিল আমাদের দেশের জাতীয় সম্পদ। আহসান মঞ্জিল ভ্রমণ করে খুবই সুন্দর একটি পোষ্ট উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।