আমার এলোমেলো ভাবনা (১০%🦊🦊🦊)
তবে কেউ সেখানে নিজের মতো করে চলতে পারে আবার কেউ পারেনা। কেউ সহযোগিতা নিয়ে বা কেউ নিজেই চলে যাই দূর দিগন্তের পথে। কিন্তু মাঝে মাঝে তাদের জীবনে নেমে আসে কালো অন্ধকার ছায়া। যে ছায়া থেকে তাদের পরিত্রাণ পেতে কাউকে অনেক বেগ পেতে হয় কেউ বা সহজেই নিজেকে মানিয়ে নেয়। যারা নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে না তারা ডুবেছি অতল সাগরে । আমরা জীবনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিস্থিতির শিকার হই। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। আমাদের কত রক্ত চক্ষুর সম্মুখীন হতে হয় দানবদের খাবারে পরিণত হতে হয়। কিন্তু প্রতিবাদ করতে গেলেই সেই দানবদের কাছে আমাদের লজ্জিত হতে হয়। আরো ছোটো হতে হয় কারণ তারা সংখ্যায় অনেক। যারা সংখ্যায় অনেক এবং আপনি নগণ্য সেখানে আপনার প্রতিবাদ করলেও আপনার পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ থাকবে না।
পৃথিবীটা এখন মানবতাহীন। মনুষ্য দিনদিন পশুত্বের রুপ নিচ্ছে। একটা সময় আসবে মানুষকে দেখার জন্য চিড়িয়াখানা যেতে হবে।সেদিন বেশি দূরে নয়। তখন আমরা মানুষ কাকে বলে সেটা পড়তে হলে লাইব্রেরীতে যেতে হবে ।চোখের সামনে বাস্তব অভিজ্ঞতায় মানুষকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে। আমি এইসব বলছি কারন আমাদের আশেপাশে এমন কিছু মানুষের জন্ম হয়েছে যারা আপনাকে সবসময় ছোট করতে ব্যস্ত, আপনার আশেপাশে গরীব অসহায় মানুষদের আরো কিভাবে চুষে খাওয়া যায় সেই নিয়ে ব্যস্ত, কিভাবে নারীদের নিজের ভোগ্যপণ্যে পরিণত করা যাবে সেই কাজে ব্যস্ত। আমরা এইসব দেখে দেখে ক্লান্ত বড়ই ক্লান্ত।
আমরা কোথায় নিরাপদ? আমরা যখন বাস, ট্রেন, লঞ্চ লেগুনায় যাতায়াত করি তখন আমাদের কিছু অস্বাভাবিক মুহূর্তের মুখোমুখি হতে হয়।এইতো সেদিন সারা দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠলো একটা মেয়ের প্রতিবাদ কে কেন্দ্র করে। কিন্তু কয়জন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে? এ বাসের মধ্যে বরং অনেকেই মেয়েদেরই দোষ দিয়েছে অনেকে বলেছে কি বেহায়া মেয়ে, বাসে উঠলেই এসব একটু হবেই কি এক আশ্চর্য ধরনের কথা। এসব নাকি সামান্য।
মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই আমাদের আশেপাশে কাদের সাথে বসবাস করছি যারা আপনাকে গোপনে দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। এবার বাসায় আসার পরে আমাদের এলাকায় একটি ঘটনা ঘটেছে একটি ছোট মেয়েকে হায়েনারা এমনভাবে পাশবিক নির্যাতন করেছে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। একটি পরিবারকে যে যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় এর জন্য এবং একটি মেয়েকে ছাড়া জীবন নিজের কাছে আমাদের কাছে ছোট থাকতে হয়। আমাদের সমাজ এখনও অন্যায়কে অন্যায় বলে বলতে পারে না। তারা সব সময় ভুক্তভোগীর দিকে আঙ্গুল তুলতে ব্যস্ত। তারা কখনোই অপরাধীকে ঘৃণা করে না। আমাদের সমাজে এমন অনেক পশু আছে যারা অপরাধীকে বাহবা দেয়, তাদেরকে প্রশ্রয় দেয়। কিন্তু অপরাধী একদিন না একদিন তার কৃতকর্মের ফল পাবে এটাই বাস্তবিক এবং এটায় প্রকৃতির নিয়ম। আমরা যাই করি না কেন প্রকৃতিগতভাবে আমাদের সেই ফল ভোগ করতে হবেই একদিন না একদিন। আপনি একজনের সাথে অন্যায় করবেন কিন্তু আপনার সাথে একদিন ঠিক একই রকম অন্যায় হবে। আমাদের চলার পথে যে কোন বাধা আসুক না কেন তা মোকাবেলা করার জন্য শক্তি সাহস অর্জন করা আবশ্যক। আপনাকে এটাই ভাবতে হবে যে আপনি সবসময় একা চলবেন আপনার পাশে কেউ দাড়াবে না। যে কোন বিপদের পরিস্থিতি হলেও তারা শুধু আপনাকে নিয়ে পিছনে কথা বলতে পারবে কিন্তু আপনার সাথে এসে আপনার হাত ধরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে না। এখনও এই পৃথিবীতে একটি মেয়ে একজন নারী বড়ই অসহায়। তারা মনে করে নারী এসেছে শুধু সেবা করার জন্য আনন্দ দেওয়ার জন্য ঘরে বসে থাকার জন্য। সারাদিন কাজ শেষে বাসায় আসব স্ত্রী আনন্দ দেবে তার কাজ শুধু আনন্দ দেওয়া এবং সন্তান উৎপাদন করা। এই দিন থেকে এই ধরনের আদিম যুগের চিন্তাভাবনা থেকে এই সমাজ কিছুটা হল বের হয়ে আসছে কিন্তু গ্রামেগঞ্জে এখনো এর চিত্র দেখা যায়।
ধন্যবাদ
আপনার এলোমেলো ভাবনাগুলো পড়ে ভালো লাগলো আপু।নারীরা সত্যিই অসহায়, তাদের জীবন এখনো কোথাও কোথাও অন্ধকারময় হয়ে রয়েছে।অন্ধকার কেটে গিয়ে আলো আসুক সকল নারীদের জীবনে এটাই কাম্য।ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আপু ঠিক বলেছেন পশু দেখতে আর চিড়িয়াখানায় যাওয়া লাগবে না,মানুষই পশুত্বের রুপ নিচ্ছে। সব চেয়ে বড় কথা কি জানেন আমরা মেয়েরা মেয়েদের ক্ষতি করার জন্য বেশি দায়ী।আর ছেলেরা তো নারীকে ভোগ্যপন্যই মনে করে,তবে সবাই তো আর এক না।ভালো লাগলো কথাগুলো।ধন্যবাদ
আপনি অনেক সুন্দর কমেন্ট করেছেন আপনি। বাস্তবতার কাছে আমরা বরাবর পরাজিত । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।