শীতকালীন প্রাকৃতিক দৃশ (আমার বাংলাব্লগ প্রতিযোগিতা -১১)
কেমন আছেন সবাই? আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমি শুরু করছি শীতকালীন প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি। বাংলাদেশ বিচিত্র একটি দেশ যে দেশের ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায়। কখনো শীত, কখনো প্রচন্ড গরম, কখনো বর্ষার বাদল দিন । কখনো সূর্যের আলো দেখা যায় না কুহেলিকার চাদরে ঢেকে পরে দেশ আবার কখনো সূর্যের উত্তপ্ত তাপে বাহিরে বের হওয়া যায়না। আবার কখনো টানা বৃষ্টির মেঘের গোলাবর্ষণ কত বিচিত্র এ দেশের আবহাওয়া কতই বিচিত্র এদেশের ঋতু গুলো। এদেশে যেমন গ্রীষ্মকালে হাজার রকমের ফল পাওয়া যায় ঠিক বর্ষাকালে মাঠ ঘাট প্রান্তরে পানিতে ভরে যায়। আবার অন্যদিকে শীতকালে কুয়াশার চাদরে ফুলে ফুলে ভরে যায় প্রকৃতি নতুন রূপে সেজেছে এই ভুবন। সেই বৈচিত্র্যময় ঋতুগুলো থেকে আজ আমি আপনাদের সাথে শীতকালের কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। শীতের সকালে শিশির ভেজা ঘাস, সকালে ফোটে মিষ্টি ফুল আপনাকে মুগ্ধ করবে শুদ্ধতা ছড়াবে। কুয়াশার চাদরে ঢাকা প্রকৃতি মেঘের আড়াল থেকে উঁকি দেওয়া সূর্য আপনার ভালো লাগা কে ছড়িয়ে দেবে।
শীতকালে আমরা আমাদের চারিপাশে হাজারো রংবেরঙের ফুল দেখতে পাই। শীতকাল মানেই ফুলের মেলা। ফুলের সৌন্দর্যে ভরে যায় আমাদের মন। সেই ফুল থেকে আবার মধু আহরণ করে মৌমাছি। ফুলের মধ্যে এক ধরনের পবিত্রতা থাকে এই জন্য আমরা সবাই বলি আমাদের মন যদি হতো ফুলের মত পবিত্র। শীতকাল আসলেই এক ধরনের শুভ্রতা দেখা যায় । প্রকৃতি সাঝে নতুন রূপে ফুলের বাহারে।
এ সময় আমরা দেখতে পাই ভালোবাসার প্রতীক রূপে গোলাপ হলুদে রাজা হিসেবে গাধা ,সরিষাফুল আরো রয়েছে চন্দ্রমল্লিকা,ডালিয়া ,পাতাবাহার আরো কত কি তার নাম ।
এই সময় নদীর ভরা যৌবন শেষ হয়ে যায় শূন্যতায়। চারিদিকে ধুধু বালিকণা ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ে না। শীতকালে প্রকৃতি হয়ে যায় রুক্ষ। সেই রুক্ষতার মাঝে প্রকৃতি হয়ে যায় করুণ। যে নদী থাকে নব যৌবনে ভরপুর শীতকাল আসলেই তার বুকে হাটু জলে নেমে আসে কোথাও আবার শূন্যতা। তৃষ্ণার্ত হয়ে পরে সাথে এক ফোঁটা পানির জন্য নদী করে হাহাকার। তবুও নদী তার শুভ্রতা হারিয়ে যায়না, যায়না সৌন্দর্য।
ছবিটি আত্রাই নদী শাখা নদী নাথ নদী থেকে তোলা। কান্তজীর মন্দিরের উত্তর পাশেই এই নদীর অবস্থান। সেদিন যখন বিকালবেলা ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন এই নদীর নির্মল বাতাস মনকে করেছিল শান্ত। চারপাশে কৃষকেরা ফসল ফলাতে ব্যস্ত । হাঁটু জলপানি প্রচণ্ড ঠান্ডায় বয়ে যায় এপার ওপার।
বর্ষাকালে এই বালুর চরে অথৈ পানি খেলা করে অথচ শীতকালে এসে হাহাকার করে। যতদূর চোখ যায় শুধু ধুধু বালুচর দেখা যায় শীতকালে কেননা এই সময়টাতে প্রকৃতি রুক্ষতা ধারণ করে। সমস্ত পানি ফুরিয়ে যায় আমরা সহজেই বুঝতে পারি শীতকাল এসেছে ধরায়।
চারপাশে ফসলের মাঠে ব্যস্ত কৃষকরা। এ সময় বিভিন্ন ধরনের ফসল এর মধ্যে অন্যতম আলু । আলু আমাদের যেকোন তরকারির জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান। এই জমিতে কৃষক একই সাথে দুই ফসলী চাষ করছে ।আলুর সাথে তার ফাঁকে ফাঁকে ভুট্টার চাষ করেছে। অর্থাৎ কৃষকের আলু যখন উত্তোলনের সময় হবে ঠিক ভুট্টার চারাগুলো বড় হয়ে যাবে।এই সময় প্রচন্ড ঠান্ডা লেগেছিল বিকেল বেলায় যখন দিনাজপুরে তাপমাত্রা ছিল মাত্র 9 ডিগ্রি।
শীতকালে প্রকৃতি আকাশের এইরূপ দেখলেই সহজে বোঝা যায়। মেঘের আড়াল থেকে উঁকি দেয় সূর্যের সামান্য আলোর ছটা। সামান্য এই আলোতে মনের অজান্তেই ভালোলাগা কাজ করে। শীতকালে যেখানে সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না সেখানে মেঘের আড়াল থেকে সামান্য উকি যেন বয়ে আনে এক স্নিগ্ধতা।
শীতকাল আসলেই শিমুল গাছে ফুল ফোটে। এই ফুল যেন আর এক মাত্রা বহন করে। প্রকৃতিকে নতুন করে সাঝায়। সবকিছু মিলে প্রকৃতি এক নবরুপে সাজে। তার ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে থাকে স্নিগ্ধতা মুগ্ধতা লুকায়িত থাকে শুভ্রতা। যা আপনার মনের অজান্তেই ভালোলাগা কাজ করাবে । তবে শীতকালের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আপনাকে কখনোই ভোরে ঘুম থেকে উঠতে দেবে না। ভোরে এত আরাম আয়েশের ঘুম ছেড়ে আপনি কখন উঠতে যাবেন না, ঠিক তখনি বুঝবেন আপনি শীতকাল অতিবাহিত করছেন।
আমার ছবিগুলোর W3Wlocation
ধন্যবাদ
শীতকালীন ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেছেন জেনে খুব ভালো লাগছে আপু।শীতের দৃশ্যের ছবি গুলো বেশ ভালো হয়েছে।আপনার লেখা গুলো পড়ে আমার খুব ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
কি দারুন দারুন ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে ভাগ করে নিলেন। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি গুলোই আমার কাছে জাস্ট অসাধারণ লাগলো। আমার কাছে তো প্রথম ফুলের ছবি দুটো অসাধারণ লেগেছে। এমনিতেই সব ফটোগ্রাফি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তুলেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ভালো ফটোগ্রাফি করেছেন, বিশেষ করে প্রথম দৃশ্যটা বেশ দারুণ ছিলো। কিন্তু নদীর বুকটা দেখে নিজের বুকটা কেমন আতকে উঠেছে। আহারে! ভালোবাসার অভাবে নদীর বুকে চর হয়ে গেছে, হা হা হা মজা করলাম একটু। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।
ফটোগ্রাফির সাথে আপনি খুব সুন্দর করে লিখেছেন । আমার কাছে আপনার লেখাগুলো খুবই পড়তে ভালো লেগেছে আপু । শীতকাল আসলেই যেন প্রকৃতি ফিরে পায় অন্যরকম স্নিগ্ধতা । ধন্যবাদ আপু আপনাকে
ধন্যবাদ শুভকামনা রইল।
দারুন হয়েছে ফটোগ্রাফী । প্রতিটি ছবি শীতকালের একটা ছাপ দিয়ে গেল। লিখেছেন অনবদ্য । আপনার জন্য শুভ কামনা রইল। ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল।
শীত কালীন সময়ে প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি চমৎকারভাবে আপনি ক্যাপচার করেছেন এবং ফটোগ্রাফি সম্পর্কে সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন ।যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ।প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু শীতকালীন প্রকৃতি ফটোগ্রাফি দেখতে আসলে অনেক ভালো লাগে।কুয়াশা থাকলোও তারপরও অনেক ভালো লাগে। পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ফটোগ্রফি গুলো ভাল হয়েছে।শুভকামনা আপনার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি অনেক সুন্দর করে শীতকালে সম্পর্কে অনেক কিছু বলছেন। আপু আপনি যা বলছেন সত্যি বলেছেন। আমার পড়ে খুবেই ভালো লাগলো। আপু আপনি শীতকালের বেশ সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন, এই জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে শুভকামনা রইল।
শীতকালীন দৃশ্য দেখতে দেখতে খুবই ভালো লাগে। জি আপু আপনার কথায় আমি একমত।শীতকালীন দৃশ্য গুলো দেখতে আমাদের সবারি ভালো লাগে।শীতকালীন ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অসাধারণ লাগছে। মনে হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলের কিছু দৃশ্য। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে এতো সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন ।শুভকামনা রইল।
আপনার নিজের হাতে তোলা শীতকালীন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আর দেখে খুব ভালো লাগলো আমার। আর যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে আর তাই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।