# বৈষম্য আমাদের মনে নয় মস্তিষ্কে (10% beneficiaries for @shy-fox)
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন। কয়েকদিন হলো আমি অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি তাই আপনাদের সাথে আমার অভিব্যক্তি ভাগাভাগি করতে পারছিনা। তাই আজ আমি দাদা একটি পোস্টে বৈষম্য নিয়ে লেখা দেখতে পেলাম। সাথে সাথে ভেবে নিলাম আজ বৈষম্য নিয়ে লেখা যাক।
বর্ণবৈষম্য বর্তমান পৃথিবীতে একটি ব্যাধি হিসাবে দেখা হয়েছে। বহু পূর্ব থেকেই বর্ণ বৈষম্য চলে আসছে যদিও তথা কথিত উন্নত বিশ্বের নামধারী, উচ্চস্তরের লোকজন এইটাকে অপরাধ হিসাবে দেখলেও তারাই এই চর্চার সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে। আফ্রিকার মহান নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা তিনি বর্ণ বৈষম্যর চরম স্বীকারে পরিনত হয়েছিলেন। তিনি সহ গোটা কৃষ্ণাঙ্গদের সাথে এমন ভাবে আচারণ করা হতো তা ঐ দেশের পশুর সাথেও করা হতো না। মানুষ হিসাবে পরিচয়ের পূর্বে যখন গায়ের রং প্রধান্য পায় সেই জাতি যতই উন্নত হোক না কেন আমি বলব তারা নীচ। বর্তমান বিশ্বে এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেও থেমে নেই এই বৈষম্য
একটা বিষয় আমরা খেয়াল করলেই বুঝতে পারব যে কর্পোরেট কোম্পানিগুলো বর্তমানে সব থেকে বর্ণ বৈষম্যর জন্ম দেয়। তাদের প্রতিটি বিজ্ঞাপনে সুন্দরী, স্মার্ট, ফর্সা মেয়েদের প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এইযে ছোট বেলা থেকেই একটা শিশু এসব বিজ্ঞাপন দেখে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে এবং তাদের মাথায় একটি জিনিস গেঁথে যাচ্ছে যে সুন্দর বা ফর্সা মানেই সব। এইজন্য তারা বাজার থেকে ক্ষতিকর পণ্য ক্রয় করছে এবং পরবর্তীতে স্কীন ক্যান্সারের মতো সমস্যায় মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে এই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও কর্পোরেট বিশ্বের কাছে আমরা সবাই জিম্মি। শুধু বর্ণবৈষম্য না পৃথিবীতে এমন হাজারো বিষয়ে বোলিং এর শিকার হয়ে হাজার নতুন, উদ্যমি প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী সেই জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ড আমার প্রমাণ করে দেই যে পৃথিবীর বিভিন্ন কোনে এখনো বর্ণবাদের শিকার হচ্ছে। এমনকি ফুটবল খেলার বিশ্বআসরে আমরা জাতিগত,ধর্মগত, বর্ণবাদ সহ বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য দেখতে পাই৷ এটি আমাদের মানুষ হিসাবে একটি জাতিকে কতটা নীচে নামায় তা যারা এর শিকার হয় তারাই ভালো জানে।
যেখানে একজন মানুষে মেধা,সৃজনশীলতা,প্রজ্ঞা,তার ব্যাক্তিত্ব, তার যোগ্যতার ভিত্তিতে তার সমাজে অবস্থান হওয়ার কথা কিন্তু সেখানে তার গায়ের রঙকে প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে এটি মনুষ্য জাতি হিসাবে আমাদের জন্য লজ্জার। যতদিন পর্যন্ত আমাদের সমাজ থেকে এই ধরনের ব্যাধি দুর করতে না পারব ততদিন এই বিশ্ব যতই উন্নত হোক না কেন তার মন হবে সেই হিংস পশুর থেকেও নীচ।
আচ্ছা একটা কথা বলুন তো আপনি আমি তো অনেক সভ্য,শিক্ষিত কিন্তু যদি বলা হয় একটি কালো, খাটো,মোটা এই ধরনের মেয়েদের বিয়ে করার জন্য আপনি কি করবেন? তার হাজারো গুণ থাকালেও আপনি সাথে সাথে না করে দিবেন না? আপনি তার সম্পর্কে ভাবার জন্য একটু সময় কি নিবেন? আপনি আপনার মোটা বন্ধুকে বুলিং করেন না। যে কালো তাকে বুলিং করেন। আপনার এই বুলিং বৈষম্যের শিকার হয়ে বর্তমানে কত তরুন প্রাণ ঝরে যাচ্ছে আমরা কি কল্পনা করি। বা যাদের সাথে এমন করছি তাদের মন-মানসিকতার কথা একবারও চিন্তা করি? অথচ সে আপনার আমার মতোই একজন মানুষ। আমাদের সমাজ প্রতিবন্ধীদের কি সমান চোখে দেখে, তাদের জন্য আপনার সাহায্যের হাত কখনো কি প্রসারিত হয়? অথচ নিজেদের সভ্য জাতি হিসাবে সবার সামনে উপস্থাপন করছি। আপনার আমার এই ধরনের মন মানসিকতা অবচেতন ভাবেই মস্তিষ্কে গেঁথে গেছে আমরা চাইলেও এই স্বভাব সহজেই পরিবর্তন করতে পারছি না।
আমাদের পৃথিবীকে সবার বসবাসের উপযোগী করার জন্য, সবার জন্য সমান অধিকার রক্ষা করার জন্য, শ্রেণি বৈষম্য দূর করার জন্য একজন শিশু জন্মের পর থেকেই তার মানসিক বিকাশের এই দিক গুলোর প্রতি নজর দেওয়া উচিত। স্বাবতই পরিবারের সদস্যদের যদি এমন মনমানসিকতা থেকে থাকে তাহলে ঐ পরিবারের শিশুদের মাঝেও দেখা দিবে এটায় স্বাভাবিক নয় কি?
আমি @abidatasnimora একজন শিক্ষার্থী। স্বাধীনচেতা,মুক্তচিন্তা, বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী। বই পড়া, ব্লগিং করা ও ভ্রমণ করতে ভালবাসি। নিজের উপর বিশ্বাস রেখে অগ্রসর হই। @amarbanglablog কমিউনিটি আমার পরিবার এটি সম্পূর্ণভাবে মনে ধারণ করি।
আপু প্রতিটা কথা অনেক গোছালো ছিল। আসলে আমরা আমাদের সমাজে যারা প্রতিবন্ধী আছে তাদেরকে হ্যায় চোখে দেখি। এই কাজটি মোটেই উচিত না কারণ কেউ যদি নিজেকে সৃষ্টি করতে পারত তাহলে হয়তোবা চেষ্টা করতাম পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর সে তার নিজেকে বানাতে। আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো প্রিয় বোন।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
আপনি খুবই সুন্দর একটি কথা তুলে ধরেছেন বর্ণবৈষম্য এখনকার সময় প্রতিটি দেশের মানুষ শিকার হয়। কালো, ফর্সা মানুষ ভেদাভেদ করে একটা জিনিস খুবই খারাপ লাগে যে প্রতিবন্ধীদের সত্যিই আমরা সেভাবে দেখিনা তাদেরকে আমরা সাহায্য করি না বরং তাদের আমাদের কাছ থেকে আলাদা করে দিয়।এখন আমাদের সমাজের যা পরিস্থিতি কালো মানুষের কেউ দাম দেয় না। ফর্সা মানুষের মূল্য বেশি দেয় আসলে অনেক মূল্যবান কথা বলেছেন যে ফর্সা হওয়ার জন্য ক্রিম ইউজ করে ক্যান্সার, স্কিন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে যায় শুনছি অনেক বাস্তবমুখী তুলে ধরেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বর্তমানে বর্ণবাদ একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। বেশিরভাগ সময়ই আমরা তথাকথিত ভদ্র শিক্ষিত জাতিকেই বর্ণবাদী আচরণ করতে দেখি। খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন বৈষম্য নিয়ে। আপনার লেখার দক্ষতা ফুটে উঠেছে এই পোস্টের মধ্যে দিয়ে। অসাধারণ লিখেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে
খুব সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরেছেন আপু। বৈষম্য আমাদের মস্তিষ্ক খেয়ে ফেলছে মানবিকতা থেকে অনেক দূরে ঠেলেদিয়েছে যা কল্পনাতীত। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে
আপু আপনি খুব সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন।সত্যিই আধুনিক যুগে মানুষের মাথা থেকে বৈষম্য দূর হয় নি।তার জন্যই হিংসা ও হানাহানি।ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে
আপনার কথাগুলো বাস্তব। আসলে আমাদের উচিত সকলের গায়ের রং ভুলে গিয়ে একজন মানুষ আরেকজন মানুষ কে মানুষ হিসেবে দেখা। এটাই আমাদের আসল পরিচয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেখার জন্য। শুবেচ্চা নিবেন।
আসলে পরিবার হচ্ছে প্রথম শিক্ষালয় শিক্ষার ভিত্তি বলা যায় তাই পারিবারিক শিক্ষার মধ্য থেকেই শিশুরা ছোটবেলা থেকে যেগুলো দেখে আসে সেগুলো তার ভেতরে বিকশিত হয় তাই আমাদের পরিবার থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত বৈষম্যকে দূর করার জন্য যা যা করণীয়।
হা আপু। সামাজিকীকরণ এর প্রথম ও প্রধান প্রতিষ্ঠান হলো পরিবার