আত্মবিশ্বাসের গুরুত্ব (১০ ভাগ লাজুক খ্যাঁকের জন্য বরাদ্দ)
আসলে আমরা যে কাজই করতে যায় না কেন সেই কাজেই আত্মবিশ্বাস থাকাটা ভীষন জরুরী। জীবনের প্রতিটি ধাপে প্রতিটি ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসের ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আত্মবিশ্বাস যত বেশি থাকবে আমাদের সফলতার মাত্রা তত বেশি হবে। আমাদের জীবনে যখন কোন ধরনের বাধা বিপত্তি আসে আসে তখন যাদের আত্মবিশ্বাস বেশি তারা কখনও সে বাধাই ভেঙে পড়ে না। যতই বাধা আসুক না কেন তারা সাহসের সহিত তা মোকাবিলা করে। তাদের এই আত্মবিশ্বাস একদিনে হয়নি বা আত্মবিশ্বাস এমনি এমনি অর্জন হয় না। আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে গেলে আমাদের কিছু নিয়মিত কাজের মধ্য দিয়ে চলতে হয়। আত্মবিশ্বাস এর পিছনে রয়েছে মেহনত ও পরিশ্রম। আপনি কোন একটি কাজের পেছনে যত পরিশ্রম দিবেন যত সময় দিবেন আপনি সে বিষয়ে যতই পারদর্শী হবেন। এটাই স্বাভাবিক আপনি যখন একটি বিষয় বেশি পারদর্শী হবেন তখনি আপনার ভেতরে আত্মবিশ্বাস দানা বাঁধবে। আসলে আত্মবিশ্বাসের মূলসূত্র হচ্ছে নিজের ওপর বিশ্বাস বাড়ানো। এই আত্মবিশ্বাস আমরা বিভিন্ন ভাবে পারি।
- পৃথিবীতে কোন মানুষ পরিপূর্ণতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন না।আমাদের সবার কিছু ঘাটতি রয়েছে। কিছু অক্ষমতা রয়েছে।
আর এই অক্ষমতার কারণে আমরা সবসময় নিজেকে দোষ দেই কিন্তু কখনোই নিজের উপর দোষ দেওয়া ঠিক না। আমাদের নিজের উপর যে খারাপ ধারণা গুলো আছে তা অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হলে আমাদের অবশ্যই ভুল ধারনাগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা কি পারি না সেটা নিয়ে যদি সবসময় চিন্তা করতে যাই, তাহলে যা পারি সেটিও আর পারবোনা। আমাদের উচিত যত কঠিন কাজই হোক না কেন ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করা এবং বলা আমিও পারি,আমি পারব ।আমাকে দিয়েই একমাত্র সম্ভব হবে। তখন দেখবেন সেই কাজটি করার জন্য আপনার ভিতর মনোবল সৃষ্টি হবে আর এই মনোবল হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের প্রথম সিঁড়ি। এখন আপনাকে সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে উপরে উঠতে হবে।
- আমাদের আত্মবিশ্বাস অর্জন এর সব থেকে বড় বাধা হচ্ছে নিজের অসুস্থতা। আমরা যদি ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ি তাহলে পরিশ্রম করার মন-মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায়, আর আমরা যখন পরিমাণ পরিশ্রম করতে পারিনা তখন আমাদের ভেতরে অলসতা বাসা বাঁধে, আরে অলসতায় আমাদের আত্মবিশ্বাসকে কমিয়ে দেয়। কারণ আমরা যত অলসতা আমাদের প্রশ্ন করার মন-মানসিকতা তত কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এই জন্য আমাদের সুস্থ থাকাটা খুবই জরুরী। আমরা যত বেশি সুস্থ থাকব আমাদের কাজ করার মনোবল ততো সুদৃঢ় হবে। যত বেশি কাজ করব পরিশ্রম করব আমাদের সক্ষমতার হার তত বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদের শরীরচর্চার প্রয়োজন। সেই সাথে খাদ্যাভ্যাসের ও। অনিয়ন্ত্রিত জীবন ব্যবস্থায় আমাদের অসুস্থতার জন্য প্রধান কারণ বলে আমি মনে করি। তাই আমাদের উচিত নিয়ন্ত্রিত ও পরিপাটি জীবন যাপন করা।
- আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনে একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকা উচিত। আপনি যখন সেই লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন তখন আপনার পরিশ্রম করার মানসিকতা বহুগুণ বেড়ে যাবে। আমাদের পরিশ্রম করার মন-মানসিকতা যত দৃঢ় হবে আমরা তত দ্রুত আত্মবিশ্বাস অর্জন করব। আমাদের আত্মবিশ্বাস ও পরিশ্রম দিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। আত্মবিশ্বাস আর পরিশ্রম কে বলা হয় জমজ ভাইয়ের মতো। একটি যে হারে বাড়বে অপরটি ঠিক তেমনই বাড়বে। এদের আলাদা কোনো সত্তা নেই। লক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত যাতে বিশাল বড় লক্ষ্য নির্ধারণ না করি। আমাদের মনে অবশ্যই বড় কিছু থাকবে কিন্তু সামনে এগোতে হলে ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে যাতে আপনি সহজেই অর্জন করতে পারেন। আপনি যখন ছোট ছোট লক্ষ্য অর্জন করবেন আপনার ঝুলিতে সফলতার হার বেশি থাকবে। একটা মানুষ যখন অনেকগুলো ক্ষেত্র সফলতা পায় তখন তার আত্মবিশ্বাস অটোমেটিক বেড়ে যায় ।তখন তার সামনে যদি অনেক বড় বাধাও আসে হয় তখন মনোবল ঠিক রেখে সামনে এগুতে পারবেন।
- আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ মানসিকভাবে সুস্থ থাকা। আমরা যখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি আমাদের আত্মবিশ্বাস তখন অটোমেটিক কমে যাবে। আর তখন আমাদের মনে হবে আমরা হয়তো পারবোনা, আমাকে দিয়ে হবে না। আমাদের মনে যদি একবার না-বোধক শব্দটি গেঁথে যায় তাহলে সত্যিই আমাদের দিয়ে আর কখনোই সম্ভব নয়।কখনোই নিজের প্রতি বিশ্বাস হারানোর ঠিক নয় সেই সাথে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে দূরে থাকতে হবে। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে হবে সেক্ষেত্রে আমরা মনকে প্রফুল্ল রাখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে পারি, গল্প করতে পারি, গান শুনতে পারি। নিজের কাজের উন্নতির জন্য নিজেকে পুরস্কৃত করা যেতে পারে আর অবশ্যই ভালো উদ্যোগ হতে পারে। আমাদের সব সময় চেষ্টা করতে হবে যাতে অন্যদের সাহায্য করতে পারি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী। আমাদের ভেতরে যখন অন্যকে সাহায্য করার মনমানসিকতার জন্মলাভ করবে তখন আমাদের আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাবে। আমরা যখন দেখি ক্লাসের কোন পড়া কোন ফ্রেন্ডকে বুঝায় তখন বুঝাতে যদি সামান্য সমস্যা হয়ে যায় তাহলে আপনি কিন্তু সেই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠে আপনার বন্ধুকে ভালোভাবে বুঝাতে পারবেন। আর এইভাবে যখন একটি বিষয় আপনি বারবার বিভিন্নজনের সাথে শেয়ার করবেন তখন অটোমেটিক আপনার সেই কাজের প্রতি পারদর্শিতা অর্জন হবে। কোন কাজের প্রতি পারদর্শিতায় হল আমাদের আত্মবিশ্বাস।
আমাদের উচিত আত্মবিশ্বাস অর্জন করা। আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য সবরকম চেষ্টাই আমাদের করতে হবে তাছাড়া আর কখনোই জীবনের সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়।
ধন্যবাদ



আসলে সফলতার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আত্মবিশ্বাস। নিজের ভিতরে যদি আত্মবিশ্বাস থাকে সে কাজে সফল হওয়া যায় না। আসলে আমরা আগেই হেরে যায় যে আমরা এটা পারব না। আমাদের আত্মবিশ্বাস কম থাকে কিন্তু একটা মানুষ যদি ভাল আত্মবিশ্বাস নিয়ে সে কাজে একটু লেগে থাকে পরিশ্রম করে সে সেখানে জয়ী হয়। এই কথাটির সাথে একমত। আসলে পৃথিবীতে কোন মানুষই পরিপূর্ণতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে না। প্রতিটা মানুষ কোন না কোন দিক থেকে ছোট থাকে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলের মাঝে দক্ষতা দিতে। আমাদের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে। নিজের মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে। আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে মন সুস্থ থাকা। এটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ঠিক বলেছেন। বেশ ভাল লাগল। আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে শুভকামনা রইল
আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন ভাইয়া । আত্মবিশ্বাসটা আমাদের মনের মধ্যে না থাকলে আমরা কখনো কোন কাজে বা কোন কিছুতে সফলতা অর্জন করতে পারব না। তাই আমাদের সবসময় আত্মবিশ্বাসটা মনে রাখতে হবে ।
এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
প্রথমেই বলি আমি ভাইয়া না । আমি আপু। আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আত্ববিশ্বাস এর অভাবে আমরা অনেক কাজেই পিছিয়ে যাই। এর অভাবে অনেক সময় সফলতার অনেক কাছ দিয়ে গেলেও সফলতার ছোয়া পাওয়া যায়না। আমাদের সকলের উচিৎ আত্ববিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যাওয়া। অনেক ভালো লিখেছেন। শুভেচ্ছা রইলো আপু।
আপনি ঠিক বলেছেন আমাকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে দেখতে হবে। এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এটা ঠিক আত্মবিশ্বাস এই আমাদের সফলতার অন্যতম উপদেয়। কিন্তু আত্মবিশ্বাস তো আর এমনি এমনি আসে না। এবং আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি আমাদের নিজের পরিশ্রম দক্ষতার মাধ্যমেই কেবল আত্মবিশ্বাস অর্জন করা যায়। খুব ভালো লিখেছেন আপু অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি খুবই চমৎকার কিছু কথা বলেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আসলেই কোনোকিছুতে সফলতা পেতে হলে আত্নবিশ্বাস থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার কথাগুলো আপনার ভাল লেগেছে শুনে খুশি হলাম ।শুভকামনা আপনার জন্য।
আপু অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। যে কোন কাজে সফল হওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাস সবচেয়ে জরুরি। আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য মানসিকভাবে সুস্থ থাকা অনেক বেশি দরকার। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
আপনি পোস্ট পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো। এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই ভাই যদি জীবনে সফল হতে চাই তাহলে আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস না থাকে তাহলে তো আমরা কোন কাজ সঠিক ভাবে করতে পারবোনা। আপনি একটি ঠিক কথা বলেছেন যে আত্মবিশ্বাসের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় অসুস্থতা। অসুস্থতা যে আমাদের জীবনে কতটা ব্যর্থতা বয়ানে সেটা আমরা যারা অসুস্থ হয়ে তারাই বুঝি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল।
সফলতার আরেক ধাপ হলো আত্মবিশ্বাস। জীবনে কোন কিছুতে অর্জন করতে হলে ধৈর্য্য আর আত্মবিশ্বাস ছাড়া সে কাজে কখনোই জয়ী'হওয়া যায় না। পৃথিবীতে বড় বড় মানুষেরা তাদের গভীর আত্মবিশ্বাসের কারণেই তারা এত দূর পৌছে গেছে। ধন্যবাদ আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকলে যেকোনো কাজ খুব ভালো ভাবেই করা যায়। খুব সুন্দর লিখেছেন আর্টিকেল টি। ভালো লিখেন আপনি। ভালোবাসা রইল
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা রইল।