আমার করা ৭টি রেনডম ফটোগ্রাফি (১০% 🦊🦊🦊🦊)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। পৃথিবীর মানুষজন কেমন যেন দিন দিন স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে। স্বার্থের কারণে নিজের সম্পর্কগুলো রক্তের সম্পর্ক গুলো এখন পর হয়ে যাচ্ছে। তবে এ স্বার্থ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে টাকা পয়সা, জমি জমার, কারণে স্বার্থ বা যোগ্যতার দ্বিতীয় সার্থক। তবে দিনশেষে দুই ধরনের মানুষের কাছ থেকে আমি নিজেকে দূরে রাখি এক স্বার্থপর মানুষ দুই মিথ্যাবাদী মানুষ । এই দুই শ্রেনীর মানুষ আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়াও আমি আমার বন্ধু মহলের মাঝে যারা স্বার্থপর তাদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখি যে বন্ধুগুলো বা আত্মীয়-স্বজন গুলো প্রয়োজন ছাড়া একটা বার আমাদের খোঁজ নেয় না সেই সব বন্ধু আত্বিয় থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। আমি প্রয়োজন একা চলব তবু কোন স্বার্থপর মিথ্যাবাদীদের সাথে চলবো না। সব সময় এই ধরনের চিন্তাভাবনা নিয়ে চলাচল করি। কারণ যারা মিথ্যাবাদী তারা সব সময় আপনার জন্য ভয়ঙ্কর। মনে রাখবেন তারা সবসময় আপনার সাথে মিথ্যা কথা বলে আসছে সে ব্যক্তি সম্পর্কে আপনি জানবেন না আর ভুলেও যদি তার সাথে বন্ধুত্ব করতে চান তাহলে আপনার কপালে দুঃখ আছে। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করব।
20220318_172407.jpg

siam,.png

গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমি যখন কুমিল্লা যাই। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই সূর্য অস্তের ছবিটা আমি তুলেছিলাম।বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে রাস্তা ধরে শহীদ মিনারের দিকে যখন আমরা যাচ্ছিলাম। তখন সূর্য প্রায় ডুবুডুবু অবস্থা। মাঠে অনেক ছেলেরা খেলা করছিল সেই মাঠের পাশে গাছপালার ওপর দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে সূর্যিমামা উঁকি দিচ্ছিল। আমিও হাতে থাকা ফোন বের করে ছবিটি আমার ফোনে তুলে নিলাম।

20220318_170703.jpg

siam,.png

এই রাস্তাটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আমার ভীষণ ভালো লেগেছে কারণ এ রাস্তার দুই পাশে সারি সারি কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানো। আমরা যে সময় গেছি ওই সময় অবশ্য কৃষ্ণচূড়া ফোটে না কিন্তু এখন যদি ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় অসাধারণ এক দৃশ্য চোখে পড়বে। তারে পাড় থেকে ওই পাড় পর্যন্ত পুরো রাস্তা লাল টকটকে আকার ধারণ করেছে। এই রাস্তাটি মূলত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড এর ধারণা থেকেই তৈরি করা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড এ দুই পাশে সুউচ্চ প্যারিস গাছগুলো রাস্তার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে ঠিক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই রাস্তার দুই পাশে কৃষ্ণচূড়া গাছ গুলো সুন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে।

20220318_134323.jpg

siam,.png

w3w

এই কাঁঠালের ছবিটি আমার প্রায় একই সময়ে তোলা। এটি তুলেছিলাম মূলত কুমিল্লার বার্ড থেকে । তবে এই কাঁঠাল দুটি হয়তোবা এখন সেখানে নেই কারণ পেকে গিয়েছে হয়তো।
আমি সাধারণত এই ধরনের ফটোগ্রাফি করি না কিন্তু সেদিন হঠাৎ করে কেন যেন আমার খুব ইচ্ছা হল একটি ফলের ফটোগ্রাফি করি কারণ আমাদের জাতীয় ফল এটি। কোন একদিন কাজে লাগতে পারে হঠাৎ আজ আমার ইচ্ছা হলো আজকে একটু ফটোগ্রাফি পোস্ট করা যায় তাই গ্যালারি খুঁজে খুঁজে ছবিগুলো বের করছিলাম। কাঁঠালের ছবি দুটি আমার অনেক ভালো লেগেছিল।

20220501_155008.jpg

siam,.png

এটি একটি একুরিয়াম। আমার বাসায় এই একুরিয়াম আছে। তবে এটি অনেকদিন ধরে নষ্ট অবস্থায় পড়েছিল আমি এবার বাসায় যাওয়ার পর ঠিক করে নিয়েছি। সেই সাথে সুন্দর সুন্দর ফিস দিয়েছি। অ্যাকুয়েরিয়াম আমার ভীষণ প্রিয় বলতে পারেন। আমার খুব ভালোলাগে একুরিয়াম ফিস দেখতে। এছাড়াও এটি বাসায় সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কাজে লাগে। আপনি কতটা রুচিশীল ,সৌন্দর্য প্রিয় ,তা যদি আপনার বাসায় কেউ আসে সহজেই বুঝতে পারবে।

20220503_172835.jpg

siam,.png

এটি একটি গ্রামের ফসলের মাঠের ছবি। সাধারণত এরকম প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্যে খুব কম দিয়েছি কারণ শহরে থাকার কারণে এরকম পরিবেশের সাথে আমি তেমন অভ্যস্ত নাই। কিন্তু আমি যখন তাদের বাসা বানানো বাসায় যাই তখন এই ধরনের ফসলের জমি আমার মনটা ভরে দেয়। এইবার ঈদের পর আমি যখন আমার খালা বাড়িতে গিয়েছিলাম দিনাজপুরে সেখানে সুন্দর সবুজ ফসলের মাঠ দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে মূলত আমি সেখানে এইজন্যই যায় প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে। ছবিটি বিকেল বেলায় তোলা।

20220516_154541.jpg

siam,.png

বর্ষাকাল আসলেই কৃষ্ণচূড়া আমাদের মাঝে রক্তিম দৃশ্য হাজির হয়। আমার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রচুর পরিমাণ কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। কৃষ্ণচূড়া ফুল আমার প্রিয় ফুল গুলোর মধ্যে অন্যতম আমি মনে করি অনেকেই আছে যারা কৃষ্ণচূড়া ফুল খুবই পছন্দ করে বিশেষ করে যখন কৃষ্ণচূড়া মাটিতে পড়ে থাকে তখন এক রক্তবর্ণ ধারণ করে। তবে কিছুদিন পর আমি আপনাদের সাথে একটি ছবি শেয়ার করব আমার ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং থেকে সেখান থেকে দেখতে পাবেন পুরো এক বাংলাদেশের মানচিত্র। চতুর্পাশে সবুজ গাছ মাঝে শুধু কৃষ্ণচূড়া এক বাংলাদেশের পতাকা তৈরি করে ফেলে।

20220516_154913.jpg

siam,.png

এই ছবিটি কয়েকদিন আগে তোলা প্রচন্ড গরমে আমি যখন ক্লাস করে হলে যাচ্ছিলাম তখন দেখছিলাম কয়েকজন তাদের ডাবের পানি খাচ্ছে। ডাবের পানি গরমের সময় বেশ উপকারী তা আমরা সবাই জানি। তো আমি যখন ছবি তুলছিলাম আমার দোকানদার বলে আপা ছবি তুলে কি করবেন। আমি বললাম তেমন কিছু করবোনা তুললাম ইচ্ছা হল। তখন উনি একটু মুচকি হেসে দিল।

20220521_182213.jpg

siam,.png

w3w

এ ভাস্কর্যের নাম আমি জানতাম তবে এখন তাৎক্ষণিকভাবে ভুলে গিয়েছি এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তোলা একটি ভাস্কর্য যেখানে দেখা যাচ্ছে মা তার শিশুকে কোলে নিয়ে আছে পাশে তার বাবা মনোযোগ দিয়ে মায়ের কথা শুনছে। এই ভাস্কর্যের একটি স্বতন্ত্র অর্থ আছে যা এখন আমি বলতে না পারলেও পরবর্তীতে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারব।

প্রজেক্টফটোগ্রাফি
DeviceSamsung Galaxy A20
Photo by@abidatasnimora

Sort:  
 2 years ago 

আপনার ফোটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। কিন্তু আপনি ডিভাইসের নাম ও সব লোকেশন ব্যবহার করেন নি। ফোটোগ্রাফি করার সময় লোকেশন ও ডিভাইসের নাম মেনশন করা আবস্বক।

 2 years ago 

ভাইয়া এখানে দুই জায়গার ফটো আছে তাই দুই যায়গার লোকেশন দিয়েছি।
আমি দেখতাম সবাই এক জায়গার পিক হলে একটা লোকেশন দেয় তাই।এইভাবে দিয়েছি।
আর ডিভাইস এর নাম দিতে ভুলে গেছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপনার ফটোগ্রাফি কুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। যেকোনো ধরনের ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখলে আমার হৃদয়ে লাগে। আপনার প্রথম ছবিটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য

 2 years ago 

আপনার মন্তব্য পড়ে আমারও ভীষণ ভালো লেগেছে ভাইয়া শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

বাহ আপু আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। প্রতিটি ছবি বেশ মনমুগ্ধকর ছিল। দ্বিতীয় ছবিটা বেশ ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য

 2 years ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আপনার ফটোকপি গুলো দেখে এই কথাটি নির্দ্বিধায় বলতে পারি আপনার ফটোগ্রাফির হাত অনেক ভালো। আর এই কারণে আপনার শেয়ার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রফিই আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। বিশেষ করে সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফিটা এবং কৃষ্ণচূড়ার ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুব বেশি ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

এক কথায় অসাধারণ আপু। আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বিশেষ করে শেষ বিকালের সূর্যাস্তের ছবিটা অসাধারণ হয়েছে। সেইসাথে কৃষ্ণচূড়া ছবির ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। আসলে সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে আপু। অসাধারণ ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। সেই সাথে বর্ণনাগুলো মাশাল্লাহ অনেক ভাল ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

আমার ফটোগ্রাফী গুলো আপনার ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ওয়াও ভাইয়া অসাধারণ অসাধারণ আপনার করা প্রতিটি ছবি অনেক ভালো লেগেছে ৷আমার কাছে ভালো লেগেছে প্রথম সূর্যাস্তের ও ভাস্কযের ছবি বেশি ভালো লেগেছে ৷যাই সব মিলেই অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন ৷
ধন্যবাদ এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের শেয়ার করার জন্য

 2 years ago 

আমি কিন্তু ভাইয়া না

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আসলে লিখতে হয়তো ভুল হয়েছে ৷মনে কিছু নিয়েন না

 2 years ago 

আপু আপনি চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। নিখুঁত ভাবে সব গুলো ফটোগ্রাফি করেছেন। এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।

 2 years ago 

আপনি মুগ্ধ হয়েছেন শুনে খুশি হলাম অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

 2 years ago 

আপনার ফটোকপি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। সত্যি খুবই অসাধারণ হয়েছে। আপনি ফটোগ্রাফি খুবই দক্ষতার সাথে ক্যামেরাবন্দি করেছেন। বিশেষ করে কৃষ্ণচূড়া গাছের ফটোগ্রাফি দেখে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো এত অসাধারণ ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

 2 years ago 

আমার ফটোগ্রাফী দেখে আপনার ভাল লেগেছে শুনে আমার নিজের ভালো লাগছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপু আমরা মানুষরাই অনেক স্বার্থপর। আপু জানেন খুব কাছের মানুষগুলো স্বার্থপর,বেশ খারাপ লাগে।চাইলেও তাদেরকে বাধ দেওয়া যায় না।যাই হোক ছবিগুলো বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ

 2 years ago 

আমাদের চারপাশে স্বার্থপর মানুষদের করা নিজেকে সতর্ক থাকতে হবে।

 2 years ago 

আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তাছাড়া ফটোগ্রাফির সাথে লেখাগুলো আপনি অনেক ভালো লিখেন। আপনার প্রতিটি পোস্টে এর উপরের লেখাগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ থাকে। আমি তো যখনই আপনার পোস্ট সামনে পাই লেখাগুলো পড়ি। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আপনি মুগ্ধ হয়েছেন শুনে খুশি হলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.35
TRX 0.12
JST 0.040
BTC 70753.86
ETH 3589.34
USDT 1.00
SBD 4.75