আমার প্রবন্ধ -কি সে হয় জীবনের মর্যাদা (10% beneficiaries for @shy-fox
কেমন আছেন আমার পরিবারের সদস্যরা। আশা করি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। ছুটির দিন সবার ভালো কেটেছে আশা করি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার লেখা প্রবন্ধ শেয়ার করব। প্রবন্ধের নাম কিসে হয় জীবনের মর্যাদা
কীসে হয় মর্যাদা যদি দামি কাপড় পড়ি,দামি গাড়িতে চড়ি, উচ্চ বংশীও নাকি অট্টালিকায় থাকি বলে । কিন্তু আমি মনে করি এসব জিনিসে কখনো জীবনের মর্যাদা নাই। আমার কাছে যেসব গুরুত্বপূর্ণ তা হলো আমি চরিত্রবান কি না! আমি সত্যের উপাসক কিনা! আমি জ্ঞানের চর্চা করি কিনা! আমার অনেক টাকা থাকতে পারে কিন্তু মানুষ আমার সংস্পর্শে আসলে তার মনুষ্যত্ব হারিয়ে তাহলে আমার মর্যাদা কোথায়?
আমাদের সমাজে একশ্রেণির লোক থাকে যারা বাপ-দাদার এটা আছে, ঐটা ছিল তা দেখিয়ে শার্টের কলার উঁচিয়ে ঘুড়ে বেড়ায়। মনুষ্যত্ব তাদের মনে জায়গা পায়না, মানুষকে মানুষ মনে করেনা, বয়োঃবৃদ্ধদের শ্রদ্ধার চোখে দেখেনা। আমিও এসব ফটকাবাজির যত সম্মানিত ব্যক্তি হোকনা কেন সম্মান করিনা। তাতে আমার মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। আপনি প্রতিদিন পোলাও মাংস খান আমি সেসব শুনতে চাইনা , আপনার বাবা জজ,মা ডাক্তার, আপনার বহু লোকের সাথে পরিচয় আছে আমি সেসব শুনতে চাইনা। সেসব শুনে আমার কঠিন মন কখনো সুখ পাবেনা।
আমি দেখতে চাই আপনার মনুষ্যত্ব, জ্ঞান, বিনয়। আমার মাথা মনুষ্যত্ব, জ্ঞান ও বিনয়ের কাছেই নত হবে। আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা কথায় কথায় বলে আমার বাসায় সবাই চাকুরী করে, আমার বাবার শত বিঘা জমিজমা, দশ তালা বিল্ডিং। কিন্তু খুঁজে দেখুন তারা দিনের আলোর কিভাবে অন্যের টাকা চুরি করে আনছে। তবে সমাজে কিন্তু চোররা অনেক সম্মান পায়। এসব চোরের সাথে মেয়ের বিয়ে দিতেও দ্বিধা নাই। একটা জিনিস দেখবেন আমাদের সমাজে অসৎপথকে কতটা সম্মানের চোখে দেখে। ধরুন আপনি সামান্য সরকারি চাকুরী করে কিন্তু মাস শেষে আপনার পকেটে লক্ষ টাকা ডুকছে তারপরেও আপনার মা আপনাকে আশির্বাদ করছে, বাবা বলে বেড়াচ্ছে আমার ছেলে লক্ষটাকা কামায় করে। তারা কিন্তু একবারও জিজ্ঞাস করেনা এই চাকুরীতে তো এতো বেতন হওয়ার কথা না। আপনার আত্বীয় স্বজন পরম স্নেহ ভালবাসায় আপনাকে বুকে তুলে নিচ্ছে কারণ আপনি অনেক টাকার মালিক। তারা ভাবতেও চায় না যে আপনি কিভাবে দিনের আলোর অন্যের টাকা চুরি করে এনেছেন।
যারা মিথ্যাবাদী তাদের হৃদয় সংকীর্ণ, তাদের ভিতরর আত্বা আছে কিনা জানা যায়না , তারা প্রাণহীন পদার্থের মতো সময়ের উপর চড়ে যাচ্ছে, তারা তাদের কথার ছলনায় প্রতিনিয়ত অন্যকে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে। আবার আমাদের সমানে এমন লোক আছে যারা অন্যায় ভাবে পরের টাকা গ্রহনে সামান্য লজ্জাবোধ করেনা।আসলে আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কি?
আবার আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা দিন-রাত কষ্ট করে পড়াশোনা করেছে, অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেনা, আমি তাদের সম্মান করি। কারণ সে চরিত্রবান, সত্যবাদী, জ্ঞানের সেবক।
আমি মনে করি তার মর্যাদা কখনো অল্প না।
আমাদের উচিত আত্বার শুভ্রতাকে রক্ষা করা। আমাদের চিত্তকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার করে রাখায় আমাদের ধর্ম। আপনার হাতে ঘড়ি নাই, পায়ে বিলাতি জুতা নাই, গায়ে দামি জামা নাই তাতে কি ক্ষতি আপনার মনুষ্যত্ব আছে আমি আপনাকে সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। আপনার সম্মুকে ঐসব মুখোশধারী, বিচিত্র পোশাকধারী, কাপুরুষ, চটকদারী যারা আপনার এই রুক্ষ-কোমল দৃষ্টির সামনে মাথা নত করতে বাধ্য।
আমি @abidatasnimora একজন শিক্ষার্থী। স্বাধীনচেতা,মুক্তচিন্তা, বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী। বই পড়া, ব্লগিং করা ও ভ্রমণ করতে ভালবাসি। নিজের উপর বিশ্বাস রেখে অগ্রসর হই। @amarbanglablog কমিউনিটি আমার পরিবার এটি সম্পূর্ণভাবে মনে ধারণ করি।
খুব ভালো একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন আপু।মানুষের আচার ব্যাবহার, নৈতিকতা,ইত্যাদি মিলেই মানুষ মর্যাদা লাভ করেন।দারুন গুছিয়ে লিখেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া
মানুষ হিসেবে সকলকে মর্যাদা এবং সম্মান দেওয়া উচিত। কেউ যদি ছোট হয়ে থাকে তাহলে তাকে বেশি সম্মান দেওয়া উচিত, আমি মনে করি। সুন্দর ভাবে এই প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছেন। আমার অনেক ভালো লেগেছে, আপনার জন্য শুভ কামনা।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে
আমিও মিথ্যাবাদীদের একবারে দেখতে পারিনা। আপনার কথাগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ভালো কিছু কথা লিখেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে