অমর একুশে গ্রন্থ মেলা -প্রথম পর্ব-সিসিমপুর (১০ ভাগ লাজুক খ্যাঁকের জন্য)
- টুকটুকি
- হালুম
- ইকরি
- শিকুর কথা মনে পড়ছে। এরা ছিল সিমিমপুরের প্রাণ।এছাড়া মনে পড়ছে সেই গান -চলছে গাড়ি সিসিমপুরে.......
বাংলাদেশের শিশু শিক্ষা কে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য সিসিমপুর ছিল অবিস্মরণীয় একটি আবিষ্কার। এটি বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের শিশুশ্রম থেকে শুরু করে শিশুদের ঝরে পড়া মাত্রা অত্যাধিক হারে বেড়েই চলছিল তখন শিশুদের পড়াশোনা প্রতি আগ্রহ করে তোলার জন্য এবং বিভিন্ন দিকে সচেতন করে গড়ে তোলা ও পড়াশুনাকে আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য করার জন্য ২০০৫ সালে থেকে নিয়মিত প্রচারিত হয়ে আসছে সিসিমপুর।
প্রায় 17 বছর ধরে এই শিশুতোষ অনুষ্ঠান টি বাংলাদেশের শিশু শিক্ষা চাহিদাকে সম্পূর্ণ করতে পেরেছে। এই অনুষ্ঠানটি প্রচারনা করার মাধ্যমে আমাদের সমাজে যে ভূমিকা রেখেছে তার মধ্যে পিতা মাতা ও শিক্ষকরা তাদের সন্তানের প্রতি আগের থেকে বেশি যত্নশীল হওয়া শুরু করেছে। আনন্দ আর খেলার মাধ্যমে সিসিমপুর সামগ্রিকভাবে শিশুদের মানসিক বিকাশে ভূমিকা রেখে চলেছে। সিসিমপুরের মাধ্যমে শিশুরা ভাষা, বর্ণ ,গণিত ,পরিবেশ জেন্ডার সমতা ,সামাজিক মূল্যবোধ, আচার -পরিবেশ ,সুষম ও পুষ্টিকর খাবার ,স্বাস্থ্যকর অভ্যাস চর্চা ,ভূমিকম্প ,রাস্তা পারাপার সহ বিভিন্ন বিষয় সমূহ দারুণভাবে উপস্থাপন করেছে।যা শিশুদের মানসিক বিকাশে দারুণভাবে অবদান রেখেছে।
- এখন আসি সিসিমপুরে যারা অভিনয় করত তাদের সম্পর্কে।
সিসিমপুর অনুষ্ঠানটিতে আমাদের সব থেকে প্রিয় অভিনয় শিল্পী টুকটুকি। যাকে আমাদের সবার ভীষণ ভালো লাগে। টুকটুকি অভিনয় আমার খুব ভালো লেগেছে শুরু থেকেই। বলতে গেলে টুকটুকি আর হালুমের অভিনয় দেখে আমি সিসিমপুর দেখা শুরু করেছিলাম। টুকটুকি একটি মেয়ে পুতুল ছিল যে খুব পড়াশোনা করত অর্থাৎ বই পড়তে খুব ভালোবাসতা টুকটুকি। টুকটুকি খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ছিল সেই সাথে চুল দুই বেনী করে থাকত সবসময়। টুকটুকির অভিনয়ের মাধ্যমে শিশুদের যে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে তা হলো বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
- আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র যে কিনা সব সময় মাছ খেতো। আমি বলছি হালুমের কথা যে মাছ খেতে খুব ভালোবাসতো। হালুম একটি ছোট টাইগার।
- এরপরে আমরা যার কথা জানব সে হচ্ছে ইরকি। ইরকি ছিল অনেকটাই দানব আকৃতির একটি পুতুল। যে সব সময় নিজের নাম ধরে ডাকতে পছন্দ করে। সে যেকোন বিষয় নিয়ে গভীর ভাবনায় ডুবে যেত।
- শিকু চরিত্রটি শিশুদের বিজ্ঞানমনস্ক ও যুক্তিবাদী করে গড়ে তোলার জন্য অনেক অবদান রেখেছে। শিশুরা যাতে ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি আগ্রহ থাকে এবং আবিষ্কারের নেশায় ডুবে যায় সেজন্য শিকু চরিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ শিকু ছিল বিজ্ঞানমনস্ক, চিন্তাশীল ও যুক্তিবাদী।
যাই হোক আপনারা যারা বই মেলায় যান যদি পারেন সাথে করে ছোট ভাই বোন বা শিশুদের নিয়ে যাবেন এবং সিসিমপুরে অনুষ্ঠান উপভোগ করার সুযোগ করে দেবেন দেখবেন সে অনেকটা আগ্রহ হবে সিসিমপুর সম্পর্কে যা ভবিষ্যতে তার মানসিক বিকাশে দারুণভাবে অবদান রাখবে।
প্রথম পর্ব | অমর একুশে বই মেলা ২০২২ |
---|---|
Camera | Samsung A20 |
Photo | @abidatasnimora |
Location | W3W |
অমর একুশে গ্রন্থ মেলায় ভালো ঘুরে বেড়িয়েছেন।
আপনার উপস্থাপনা সত্যি অনেক ভাল লেগেছে আমার কাছে।
একসময় আমিও ভিশন দেখতাম এটি।
পূর্ণ মাত্রায় সহমত পোষণ করছি আপনার অনুভূতির সাথে, এটা একদমই সত্য। বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলো এই সিসিমপুর। একটা সময় আমি নিজেও উপভোগ করতাম। একুশে বই মেলার এবার এখনো যাওয়ার সুযোগ হয় নাই, দেখা যাক যেতে পারি কিনা!
অবশ্যই আসবেন এবং সোনামণিদের সাথে নিয়ে আসবেন। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে সিসিমপুর শিশুদের মনে বেশ আনন্দ দিয়ে থাকে আমার মেয়ে তো এই কার্টুন অনুষ্ঠানটি সবসময়ই দেখে এবং আনন্দ পায়।
এটাতে শিক্ষনীয় অনেকগুলো জিনিস রয়েছে। আপনি বইমেলায় গিয়ে সিসিমপুরের পুরো বিষয়টি আমাদের সামনে উপস্থাপন করলেন যা সত্যিই আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি মামনীদের নিয়ে আসিয়েন ভাইয়া। ওরা অনেক খুশি হবে।আপনার জন্যেও শুভকামনা রইল।