কেমন আছেন সবাই ??আশা করি ভাল আছেন। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আমি আপনাদের আহসান মঞ্জিল দর্শনের দুই পর্বে বিভিন্ন ছবি শেয়ার করেছি আজ আমি শেষ পর্বে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

এই ছবিটি একটি হাতির মাথার। হাতির মাথা এবং বিশাল দাতে সংগ্রহ রয়েছে এখানে। আহসান মঞ্জিলের সংগ্রহশালার গেট দিয়ে ঢুকতেই প্রথমে দেখা যাবে হাতির এই বিশাল মাথা এবং দাঁতের সংগ্রহটি।

চিত্রে আপনারা যে দুটি পাতা দেখতে পাচ্ছেন এই পাত্র দুটি নবাবরা সেই সময় পানির ট্যাপ হিসেবে ব্যবহার করতো। এগুলি তা আমার তৈরি পাত্র ছিল। এর মাধ্যমে আমরা ধারণা পাই শেষ সময় নবাবরা উন্নত ও আধুনিক জীবনযাপন করত ।

এখানে একটি হাড়ি ছবি দেখতে পাচ্ছেন এটি দিয়ে সে সময় পানি ফুটানো হত এবং পাশের পাত্রটি পানির ট্যাপ হিসেবে ব্যবহার করা হতো ।

এই ছবিতে আপনারা যে গুলো দেখতে পাচ্ছেন এই গুলো নবাবদের খাবারের বিভিন্ন জিনিসপত্র। প্লেট গ্লাস থেকে শুরু করে খাবারের সব ধরনের তামার ,রূপার এবং সোনার তৈরি জিনিস আছে।

এটি লোহার তৈরি একটি সিঁড়ি এইটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ,বেশ বাঁকানো এবং মনমুগ্ধকর। এই সিঁড়ির মাধ্যমে নিচতলা থেকে উপর তলায় সহজে যাতায়াত কর যেত।

এই ছবিতে আপনারা কাঁচি, চাকু, পাখা এবং একটি লাঠি দেখতে পাচ্ছেন এই সবগুলি হাড় দিয়ে তৈরি। এই প্রথম আমি হাড় দিয়ে তৈরি জিনিসপত্র দেখতে পেলাম যা আমি বইতে পড়েছিলাম। সেই প্রাচীনকালের লোক ব্যবহার করত হাড়ের তৈরি জিনিসপত্র।

উপরে আপনার যে বোর্ড দেখতে পাচ্ছেন এখানে নবাব বংশের সবার বিশ্লেষণ দেওয়া আছে অর্থাৎ নবাব বংশের সবার নাম ধারাবাহিকভাবে একের পর এক লেখা আছে এখানে। আমরা খুব সহজেই নবাব পরিবার সম্পর্কে ধারণা পেতে পারি এই বোর্ডের মাধ্যমে।

এটা দেখে আমি অবাক হয়েছি সে সময় নবাবরা তাদের সম্পত্তি দলিলপত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাগজপত্র,সোনা গহনা সিন্দুকে রাখত। সিন্দুকটি পুরোটাই লোহার তৈরি এবং এখানে অনেক গুলো লকার দেখতে পাওয়া যায়।

এই ছবিটির মাধ্যমে নবাবরা কতটা সৌখিন ছিল তার ধারণা পাওয়া যায় এবং আধুনিক সব খেলায় তারা খেলত তার প্রমান এটি ।

সব মিলে আমি খুব উপভোগ করেছিলাম সেই দিনগুলি এবং একজন গাইড এর থেকে মোটামুটি ভাবে নবাবদের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছিলাম।
আমার মনে হয়েছে আহসান মঞ্জিল বিনোদন এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য অন্যতম একটি জায়গা।