DIY -ঈদ উপলক্ষে অসাধারণ একটি মেহেদী ডিজাইন (১০%🦊🦊)
প্রথমেই সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক আজ আর কাউকে কেমন আছে জিজ্ঞেস করলাম না কারণ আমি বিশ্বাস করি সবাই অনেক ভাল আছে😊😊। আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। আমাদের বছরে দুইটি ধর্মীয় উৎসব বৃহৎ আকারে পালন হয়। দুইটি উৎসব আলাদা আলাদা মহত্ত্ব নিয়ে আমাদের জীবনে আসে। যেমন ঈদুল ফিতরে রমজান ও ঈদের দিনে নতুন জামা কাপড় পরার একটি উৎসব চলে। অন্যটি হচ্ছে ঈদ-উল-আযহা ওই দিনটিতে গরু কুরবানী মধ্যে দিয়ে দিনটি দারুণভাবে উদযাপন করা হয়। যাইহোক আগামীকালের জন্য আমাদের সবার মধ্যে এক উত্তেজনা কাজ করছে তবে ছোটবেলার মতো এখন আর আর উৎসাহ উদ্দীপনা তেমন কাজ করেনা। আমার মনে আছে ছোটবেলা থাকতে চাঁদ দেখার জন্য আমরা সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। তখন অবশ্য এত ফেসবুক টিভি ছিলনা যে খবরের দেখব। তখন সবাই চাঁদ দেখার অপেক্ষায় ছিল। যখন আমরা চাঁদ দেখতে পেতাম এত চিল্লাচিল্লি করতাম এবং রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ গান টি আমরা সবাই মিলে বলতাম। তখন সবার মাঝে একে অপরের একাকার হয়ে যেতাম। এছাড়াও ঈদ মার্কেট এর জন্য বাবা-মায়ের কাছে ধরনা দিতাম। কিন্তু এখন ঈদ মার্কেট বা নতুন জামাকাপড় পড়া নিয়ে অত উৎসাহ কাজ করে না। ছোটবেলায় অনেক সালামি পেতাম কিন্তু এখন সালামির জন্য কাউকে বলতে হয় না তবে ছোটবেলার দিনগুলো ফিরে পাওয়ার জন্য কয়েকদিন ধরে একটু মজা করছি আপনাদের সাথে Discod এ। ছোটবেলার দিনগুলো ফিরে পাওয়ার জন্য সেই উৎসাহ উদ্দিপনা কেমন ছিল সে অনুভূতিগুলো পাওয়ার জন্য। তবে এই ঈদের আনন্দ কারো জন্য উৎসবের কারো জন্য কষ্টের আমি কষ্টের এই জন্যই বলবো আমাদের সমাজের সমাজপতিরা তাদের নিজেদের জন্য যতটা আনন্দ করবে বলে ঠিক করেছে ঠিক তার বিপরীতে গরীব অসহায় মানুষগুলো ঈদের দিনে কি খাবে সেইটুকু চিন্তা করতে হয় অথচ ইসলামের যাকাত ফরজ। সমাজপতিরা ধনীরা যদি সঠিকভাবে যাকাত প্রদান করত তাহলে সমাজের এই বৈষম্য থাকত না। গরিবদের অন্যের মুখ চেয়ে বসে থাকতে হতো না। তারা তাদের পরিবারের জন্য ঈদ মার্কেট করতে পারত নতুন জামা কাপড় পরতে পারতো। ঈদ মানেই ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলেই উৎসবে মেতে উঠবে সত্যি কথা বলতে বর্তমানে ইদ বড়লোকের হয়ে গেছে। কি আর করার আমাদের সমাজে বড়লোকরা দিন দিন বড় হচ্ছে গরিবরা দিন দিন অসহায় হয়ে পড়ছে অথচ ইদের প্রধান মহত্ত্বই ছিল ধনী-গরিব নির্বিশেষে এক কাতারে আসবে। একে অপরে উৎসব আনন্দ ভাগ করে নেবে। রোজার প্রধান তাৎপর্য গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ধনীরা গরিবের দুঃখ বুঝবে একজন গরীব না খেয়ে থাকলে কেমন কষ্ট পায় সে বিষয়গুলো রোজা রাখার মাধ্যমে উপলব্ধি করতে পার। এই বিষয়গুলো কিন্তু রোজার প্রধান উদ্দেশ্য। অথচ আমরা সেই উদ্দেশ্যকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করছি।
যাই হোক ঈদ উল ফিতর সকল দুঃখ-কষ্ট ভুলে সবাই পরিবারের সাথে আত্মীয় স্বজনের সাথে ও প্রিয় মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবো। আমরা যেন আমাদের দিনটিকে নিজেদের মতো করে কাটাতে পারি পরিবারের সাথে সুন্দর সময় উপভোগ করতে পারি। প্রত্যেকের জন্য সে কামনা রইল। আশা করছি আপনারা পরিবারের সাথে দারুন একটি সময় উপভোগ করতে যাচ্ছেন। আবারো আপনাদের জন্য ঈদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
পবিত্র ইদে আমরা সবাই বিশেষ করে মেয়েরা হাতে মেহেদী পড়। তাই ইদের প্রাসঙ্গিকতার কথা বিবেচনা করে আমি একটি মেহেদী ডিজাইন আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তবে চলুন দেখি মেহেদি ডিজাইন
উপকরণ
- পেন্সিল
- আর্ট পেপার
- রাবার
ধাপ-১ |
---|
- প্রথমে পেন্সিল দিয়ে গাঢ় দাগ টেনে নিয়েছি বলতে পারেন এটা হাতের বর্ডার।
ধাপ-২ |
---|
- এই পর্যায়ে দাগের উপর একটি ছোট ফুল আর্ট করেছি।
ধাপ-৩ |
---|
- এই পর্যায়ে ছোট ফুলের উপর আবার সুন্দর কসমস ফুলের মতো এঁকে নিয়েছি।
ধাপ-৪ |
---|
- এই পর্যায়ে আবার ফুলের উপর নতুন একটি ডিজাইন করে নিয়েছি। গোল করে ছোট ছোট দাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে।
ধাপ-৫ |
---|
- এই পর্যায়ে ফুলের উপর পাতার মতো করে ডিজাইন করে নিয়েছি ।
ধাপ-৬ |
---|
- এই পর্যায়ে আবার পাতার উপর ছোট গোল দাগ করে নিয়েছি
ধাপ-৭ |
---|
- এই পর্যায়ে ছোট ঘর গুলোর উপর পর পর কয়েকটি ফুল ডিজাইন করে নিয়েছি।
ধাপ-৮ |
---|
- এই পর্যায়ে ফুলের মাঝে পেন্সিল দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে গাঢ় দাগ করে নিয়েছি।
ধাপ-৯ |
---|
- এই পর্যায়ে ফুলগুলো পেন্সিল দিয়ে গাঢ় করে নিয়েছি যাতে ডিজাইন সুন্দর দেখায়।
ফাইনাল ধাপ |
---|
- এই পর্যায়ে পুরো ডিজাইন পেন্সিল দিয়ে গাঢ় করে নিয়েছি। যাতে একটি দারুন মেহেদি ডিজাইন উপস্থাপনা করতে পারি এবং সাইট দিয়ে ছোট ছোট ফোটার মতো বাঁকা করে নিয়েছি।
ধন্যবাদ

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




সময়ের সাথে সাথে আগেকার দিনগুলো আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এখন আর চাঁদ দেখাও হয় না, এখন আর সেলামি চাওয়া হয় না। তবে আমরা যদি নিজেদের মতো করে নিজেদের ভালো থাকার মুহূর্তগুলোকে উপভোগকরতে চাই তাহলে নিজেদেরকেই সেই কাজগুলো করতে হবে। অনেক সুন্দর ভাবে মেহেদির ডিজাইন অঙ্কন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ।
আসলেই আমরা সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছি। আপনি দারুন মন্তব্য করেছেন।এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন আপু আগে রোজা শেষ হওয়ার সাথে সাথে সন্ধ্যার পরে বের হয়ে যেতাম আকাশের চাঁদ দেখার জন্য। আর চাঁদ দেখার সাথে সাথে সবাই অনেক চিল্লাপাল্লা করতাম আর সাথে আমরা বাজি ফোটাতাম। এখন সেই দিনগুলোকে অনেক মিস করি। আপনার ঈদ উপলক্ষে করা মেহেদি ডিজাইন সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে। এরকম ডিজাইন হাতে নিলে দেখতে খুবই ভালো লাগে। খুব সুন্দর করে এঁকেছেন আপনি ডিজাইনটি।
আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপু।এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঈদ উপলক্ষে আপনি অনেক চমৎকার একটি মেহেদি ডিজাইন এর অংকন আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।আপনার এই মেহেদি ডিজাইন এর অংক আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে। আপনার এই মেহেদি ডিজাইন অংকন অবলম্বন করে অনেকেই হাতের মেহেদি দিতে পারবে বলে আশা রাখি। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটাই আসলে এরকম হয়ে গিয়েছে। ধনীরা তো আরো ধনী হচ্ছেই কিন্তু তারা যদি ধনী বিধান অনুযায়ী ঠিকমতো যাকাত দিত তাহলে ধনী-গরিবের বৈষম্য কিছুটা হলেও কমত। যাইহোক আপনি খুব সুন্দর করে মেহেদির ডিজাইনটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। মেহেদির ডিজাইন টি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনার উপস্থাপনাও বেশ ভালো ছিল। আর আপনার মত আমারও চাঁদ দেখার এরকম মজার অতীত আছে। লেখা গুলো পড়তে খুব ভালো ছিল। ধন্যবাদ।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্য পড়ে ভালো লাগল।এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কি দিন পার করে ফেললাম আপু! 🙂 আপনার মতো আমিও ছোটবেলায় চাদঁ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকতাম। মাঝে মাঝে আকাশ ঘনকালো মেঘে ঢাকা থাকতল তখন বিটিভিতে নিউজে দেখে নিতাম। আর বিটিভিতে রোয়ার পরে ঈদ আসলেই ওমা রমযানে মোর রোযার শেষে এলো খুশির ঈদ গানটা শুনতাম। আহা!! কি যে ভালো লাগতো। তবে ঈদ মানেই খুশিআর আনন্দ। ধনী গরিব সবাই এক হয়ে ঈদ পালন করবে এটাই কামনা করি। মেহেদী হাতে দেয়না প্রায় পাচঁ বছর ধরে। ছোটবেলায় আপু হাতে দিয়ে দিত। আপনার মেহেদী ডিজাইনটা হাতে দিলে কিন্তু সুন্দরই লাগতো।
আপনিও অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন।ছোট বেলায় অনেক মজা করতাম।এখন আর করা হয়না।
সময় বহমান সময়ের খর স্রোতে ইচ্ছেও গুলোও একটা নিদ্রিষ্ট সময় পর ভেসে যায়।তবে মনে রাখতে হবে আমরাও এই সময় পার করে এসেছি 😍।তবে সব কিছু নিজের মনের ব্যাপার।
যাইহোক ঈদের শুভেচ্ছা নিয়েন।আর আর্ট টা কিন্তু সুন্দর ছিল 🤟
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যর জন্য। শুভ কামনা রইল।
প্রথমে আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই। ঈদ উপলক্ষে আপনি খুবই সুন্দর মেহেদী ডিজাইন অঙ্কন করেছেন। মেহেদী ডিজাইন দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল।
আপনার কাছে মেহেদী ডিজাইন ভাল লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
ঠিক বলেছেন আপু আমরা ছোটবেলায় ঈদের চাঁদ দেখার জন্য অনেক ভাবে অপেক্ষা করতাম এখন এভাবে আরো কিছু করা হয় না সময় টাকে অনেক মিস করি। আপনার মেহেদির ডিজাইন টি আমার কাছে দারুণ লেগেছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আমার মেহেদী ডিজাইন আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
যদি আমি হাতে কোন মেহেদী ডিজাইন করি না তবে আপনার ডিজাইনটি অসাধারণ হয়েছে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন ধাপগুলো শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার পোষ্টটি একেবারেই সময় উপযোগী। যারা মনে করবে তারা এখনো এটা ব্যবহার করতে পারবে। তাছাড়াও কিছু সময় তো হাতে রয়ে গেছে। ভাবনা টা অনেক ভাল ছিল।
আপনার মন্তব্যর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
🌹