অমর একুশে বই মেলা থেকে আমার সংগ্রহ ( ১০ ভাগ লাজুক খ্যাঁকের জন্য)
অমর একুশে বইমেলা আমাদের ঐতিহ্যের সাথে সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত এই বইমেলা বাংলা ভাষাভাষী বইপ্রেমীদের এক মিলনমেলার সৃষ্টি করে। অমর একুশে বইমেলায় আমি প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ বই কিনি কিন্তু এবার পূর্বের মত বই কেনা হয়নি ।তবে সাধ্যমত বেশ কিছু বই কিনেছি। আমি কি কি বই কিনেছি তা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। অমর একুশে বইমেলা সাধারণত দুই জায়গায় হয় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। আসলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জায়গা স্বল্পতার কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলা হয়ে থাকে। এছাড়াও এবার বইমেলার স্থান আরেকটু পরিবর্তন করেছে মেট্রোরেলের কাজ চলার কারণে বাংলা একাডেমির সম্যক অংশ থেকে মেলা সরিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে নিয়ে আসা হয়েছে। অর্থাৎ আগে মেলা ঢোকার প্রবেশ পথ ছিল রমনা কালী মন্দির গেইট। কিন্তু এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি গেট কে মেলায় ঢোকার প্রবেশ পথ করা হয়েছে। মেলায় মোট স্টল সংখ্যা ৭৭৬ । যার মধ্যে ১২৬ টি বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে।বাকি ৬৫০ স্টল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
তবে একটা কথা না বললেই নয় আমাদের বইমেলায় পাঠকের সংখ্যার থেকে দর্শনার্থীর সংখ্যা এত এত বেশি তা কল্পনার বাইরে। আসলে দর্শনার্থী বললে ভুল হবে কেননা দর্শনার্থী বইমেলার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। কিন্তু যারা আসে তাদের কেউ দেখবেন টিকটক ভিডিও বানাচ্ছে, মেয়েদের সাথে অশোভন আচরণ করছে। । কিন্তু খুব কম লোকই আছে যারা দিনশেষে বই হাতে নিয়ে ফেরে । তাদের জন্য বিশেষ করে আমাদের মেয়েদের ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি হয়। এত ভিড়ের মধ্যে আমাদের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে থাকে যা কখনোই কাম্য না।
অমর একুশে বইমেলা সাধারণত পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় কিন্তু শত অনিশ্চয়তার মাঝে এবার একটু দেরিতে শুরু হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি তে। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি মাস। আমরা এই মাসে অর্জন করেছিলাম আমাদের মাতৃভাষা। এই একুশে বইমেলা বাঙালি জাতিসত্তার সাথে জড়িত। এই বইমেলার একটি সুদূর প্রসারী প্রেক্ষাপট আছে। ইতিহাস হতে জানা যায় বাংলা একাডেমি বর্ধমান হাউসের সামনে শ্রী রঞ্জন সাহা নামের একজন কলকাতা থেকে ৩২ টি বই কিনে নিয়ে এসে বর্ধমান হাউজের সামনে চটিতে বসে বইমেলা শুরু করেন। আর এরপর থেকে ধীরে ধীরে ডানা মেলতে থাকে বইমেলা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই বইমেলাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বাঙালির প্রাণের জাগরণ। এদেশের কবি-সাহিত্যিকরা তাদের নিজের ভাষায় বই লেখা শুরু।
তাহলে চলুন দেখি এবারের বইমেলা থেকে আমার সংগ্রহ।
আমার বই পড়তে ভালো লাগে তবে এবার কিছু ভিন্ন ধরনের বই কিনেছি। রাজনীতি সম্পর্কে জানা উচিত। সেই সাথে সাবজেক্ট এর কারনে বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে জানা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আগামীকাল বই মেলার শেষ দিন। ভাবছি আরো কিছু বই কিনব। তবে এত বই কেনার একটি সমস্যা আছে ।হলে বই রাখলে দেখবেন কেউ পড়ার জন্য নিয়ে যায় ।কে নিয়ে গেল আমিও ভুলে যাই তারাও নিজ দায়িত্বে দিয়ে যায় না ।এইভাবে আমার অনেক বই হেরে গেছে ।যাইহোক বই পড়ার অভ্যাস করে তুলি সুন্দর জীবন গড়ি।
বইমেলা আমার নিজেরও ভীষণ প্রিয় একটি জায়গা। সব সময় চেষ্টা করি নিজের পছন্দমত বই কেনার এবং সেগুলো পড়ে ফেলার। কয়েকদিন আগে আমিও কলকাতায় বই মেলাতে গিয়েছিলাম এবং পছন্দমত বই নিয়েছি বেশ কিছু। কিন্তু এত ব্যস্ততার ভেতর দিয়ে সময় চলে যাচ্ছে যে বইগুলো পড়ে ওঠার সময় হয়ে উঠছে না আর। দিদি আপনার বইয়ের কালেকশন গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। সাদাত হোসেনের লেখা এর আগে আমি পড়েছি। বেশ ভালো লেগেছে আমার। সব কিছু মিলিয়ে খুব চমৎকার ছিল পোস্টটি। বই মেলা শুরুর পেছনের গল্পটা জেনে খুব ভালো লেগেছে।
আপনার মন্তব্য পড়ে আমারো অনেক ভালো লাগল। ছোট বেলা থেকেই আমার প্রচন্ড বই পড়ার নেশা। ধন্যবাদ আপু।
বই মেলায় গেলে সত্যি অসাধারণ লাগে আপনি বইমেলায় অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং আমাদের মাঝে দারুন সব বই উপস্থাপন করেছেন। আমি এইসব বইগুলোর মধ্যে চাঁদের পাহাড় এই বইটা একবার পড়েছিলাম এ বইটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছিল। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য । আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। বইমেলা এমনিতেই আমার খুব ভালো লাগে। বইগুলো যদি পড়তে পারতাম তাহলে আমার আরও ভালো লাগতো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এবারের বইমেলা থেকে অনেকগুলো বই সংগ্রহ করেছেন আপনি। অবসর সময় পেলেই বইগুলো পড়বেন তা জানি। আমরাও অপেক্ষায় থাকবো আপনার থেকে বইগুলোর রিভিও পোস্ট পাওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন ভাই। দোয়া রইলো আপনার জন্য ।
অমর একুশে বইমেলা থেকে অনেক বই সংগ্রহ করেছেন। এগুলোর মধ্যে আমার একটি বই খুবই পছন্দ হয়েছে যেটি হল শার্লক হোমসের রচনা সমগ্র। যদি পড়তে পারতাম তাহলে অনেক ভালো লাগতো। শার্লক হোমসের কাহিনীগুলো সত্যিই অনেক মজার হয়ে থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
আমি শুনেছি শার্লক হোমসের গল্পের কথা এখন পড়ব। দেখি কেমন লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যর জন্য।
আপনার কাছ থেকে আজ বইমেলা উৎপত্তির ইতিহাস জানতে পারলাম। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনি। মেলায় গিয়ে অনেকগুলো বইও কিনেছেন। আপনার কেনা বইগুলোর মধ্যে তিনটি বই আমি পড়েছি হোটেল গ্রেভার ইন, চাঁদের পাহাড় আর শার্লক হোমস সমগ্র। এরমধ্যে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাঁদের পাহাড় কে আমার মনে হয় বাংলা সাহিত্যের সেরা একটি কিশোর ক্লাসিক উপন্যাস। পড়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। যদিও কাহিনী সেই ব্রিটিশ আমলের। শুভকামনা রইল
অবশ্যই পড়ে দেখব ভাইয়া। আপনি এর মধ্যে তিনটি বই পড়েছেন শুনে খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।