ভালো থাকতে হলে মানতে হবে পর্ব-১(১০ ভাগ লাজুক খ্যাঁকের জন্য বরাদ্দ)
কেমন আছেন সবাই?আশা করি ভাল আছেন। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমি আপনাদের সাথে ভালো থাকার বিভিন্ন কারণে নিয়ে আলোচনা করব। আসলে আমরা সব সময় বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে জীবন পার করে থাকি। শত সমস্যার মধ্যেও আমরা সবসময় চাই কিভাবে নিজেকে ভালো রাখা যায়। ভালো রাখার জন্য আমরা অনেক কিছু করে থাকি কিন্তু তবুও ভালো থাকতে পারিনা। ভুল কিছু সিদ্ধান্ত বা ভুল ভাবে চলার কারণে হয়তো আমাদের ভালো থাকা কঠিন হয়ে পরে। কিন্তু দিনশেষে আমাদের ভালো থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আমরা কিভাবে ভালো থাকব তা অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে। চলুন সেই বিষয়গুলো আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করা যাক
আমাদের ভালো থাকতে গেলে প্রথমেই একটা জিনিস মাথায় সেট করে নিতে হবে যে আমাদের কখনো অন্যের বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত না।আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা সব সময় অন্যকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে, অন্যকে নিয়ে মাথা ঘামায়। আশেপাশের লোকজনকে কি করলো সেগুলো দেখার সময় আপনার নেই। শুধু নিজেকে ফোকাস করতে হবে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। আপনার আশেপাশের লোকজন কি করল না করল সেটা যখন আপনি ভাব্বেন তখন আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বেন। যখনই লক্ষ্য অর্জনে পিছিয়ে পড়বেন তখন আপনার দুশ্চিন্তা শুরু হবে আপনি খারাপ থাকবেন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের যা দিয়েছেন তা নিয়েই আমাদের খুশি থাকতে হবে। সন্তুষ্টি অর্জন করা জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখনই ভাবব অন্যের কি আছে ?আর আমার কি নেই তখনই দুশ্চিন্তা বাড়বে।তাই বলবো ভালো থাকার জন্য কখনোই অন্যের বিষয়গুলো নিয়ে মাথা ঘামানোর উচিত নয়।
আপনি যতটুকু পারেন, আপনি যতটুকু করতে সক্ষম ততটুকুই করা উচিত। আমাদের এমন কিছু করা উচিত নয় যা আমাদের সাধ্যের বাহিরে।আমাদের মাঝে অনেকেই দেখা যায় তার যা সক্ষমতা আছে তার থেকেও অধিক পরিমাণে বেশি করতে চাই। ধরুন আপনি সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন লিটার পানি খেতে পারবেন কিন্তু আপনি যদি 5 লিটার পানি খেতে চান তাহলে আপনার পেট থেকে কিন্তু দুই লিটার পানির বের হবে অথবা বমন হবে। আপনি কখনোই অতিরিক্ত কিছু করতে পারবেন না যা আপনার সাধ্যের বাইরে। আপনার সাধ্যের বাইরে যখন কিছু করতে যাবেন তখন আপনার হতাশা বাড়বে। আর হতাশা পারলে আপনি খারাপ থাকবেন। আপনার যতটুকু দায়িত্ব বা কর্তব্য আছে ঠিক ততটুকুই আন্তরিকতার সহিত পালন করে দেখুন আপনি অনেক ভাল থাকবেন। তাই আমি বলবো ভালো থাকার জন্য অবশ্যই অতিরিক্ত কিছু পাওয়া প্রত্যাশা বাদ দিতে হবে।আপনি যোগ্য থাকলে আপনি সবই পাবেন।
মানুষের সব থেকে বড় শত্রু হচ্ছে লোভ। আমাদের আশেপাশে খুব কম লোকই পাওয়া যাবে যাদের লোভ নেই। লোভ এতটাই বিধ্বংসী আপনাকে নিমিষেই তছনছ করে দেবে। লোভ হতে পারে ক্ষমতার লোভ ,টাকার বা আরও অনেক কিছুর। আমরা মাঝে মাঝে একটা কথা শুনি যে অমুক লোভের বশবর্তী হয়ে এটা করেছে। লোভ আপনার ধ্বংসের মূল কারণ। লোভী ব্যক্তিরা জীবনে কখনো ক্ষতি করতে পারে না। সাময়িক লাভ হলেও তাদের ধ্বংস অতি নিকটে থাকে। তাই অল্পে তুষ্টি মানসিক প্রশান্তির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যা পাবেন, যা পাওয়ার যোগ্য ততটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকুন । আপনি অনেক ভাল থাকবেন।
ভালো থাকার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে নিজেকে সময় দেওয়া। প্রতিটি দিন এমন ভাবে উপভোগ করুন যা আপনার জন্য খুব উপকারী হয়। দিন শেষে আপনি যেন বলতে পারেন আলহামদুলিল্লাহ দিনটা অনেক ভালো গেল। আপনারা আশপাশে খেয়াল করলে দেখবেন অনেকেই বলে আজকের দিনটা আমার বাজে গেল ,খুব ফালতু একটি দিন, পুরো দিনটাই নষ্ট এসব কথা বলে। এসব কথা বলার কারণ হচ্ছে তা দিনটি নিজের জন্য ব্যায় করে নি বা নিজের মতো করে ব্যয় করেনি। আমি বলব নিজেকে সময় দিন দিন কে নিজের মতো উপভোগ করুন। আগামীকাল কি হবে সেসব না ভেবে আজকে আপনি কিভাবে কাটাবেন সেটাই ভাবা উচিত। আগামীকালকে আপনি সৃষ্টিকর্তার হাতে ছেড়ে দিন। নিজেকে ভালো রাখার জন্য আমাদের প্রতিদিন একান্তে কিছু সময় কাটানো উচিত। যে সময় হবে শুধুমাত্র আপনার। এই সময়টুকু আপনি আপনাকে নিয়ে ভাববেন, আপনার ভবিষ্যৎ, আপনার বর্তমান এবং অতীতে কি করেছেন সেসব নিয়ে ভাববেন। এখন দেখবেন আপনি আপনার ভেতরে এক ধরনের পরিবর্তন দেখতে পাবেন। এছাড়াও আমরা যদি কোনো কাজে যাই তার পূর্বেই যদি আমরা একান্ত নিজের মতো করে ওইসব বিষয়গুলো নিয়ে ভাবেন দেখবেন সে কাজটি আপনি খুব সুন্দরভাবে সমাধান করতে পেরেছেন। ভালো থাকার জন্য আমাদের এসব বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আজ এইতুকুই আলোচনা করলাম আগামীকাল চেষ্টা করব আরও বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য।
ধন্যবাদ







যতার্থ বলেছেন আপু।।
অবশ্যই দিন শেষে হিসাব মিলিয়ে দেখতে হবে আমি কত টা সুখি।।।।
হ্যা অবশ্যই মেলাতে হবে।আপনি খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসম্ভব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। সত্যিই আমাদের বেঁচে থাকতে হলে স্বাভাবিক নিয়ম মেনেই বেঁচে থাকতে হবে। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। তাই আমাদের সাধ্যের বাইরে কোন কিছুই করা যাবে না। পোস্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। আশা করি নতুন নতুন এমন পোস্ট পাব। সেই অপেক্ষায় রইলাম
আপনার গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।