শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ফটোগ্রাফি পর্ব-২) 10% beneficiaries for @shy-fox
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র এবং প্রতিষ্ঠাকালীন বিল্ডিং গুলোর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিচিত হচ্ছে কার্জন। কার্জন হলে নাম শুনলেই আমাদের ভেতরে এক ধরনের উচ্ছ্বাস ভালোবাসা আবেগ কাজ করে। প্রতিবছর অনেক অনেক দর্শনার্থী কার্জন দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছুটে আসে। প্রেমিক-প্রেমিকাদের কলকলিতে সবসময় মুখরিত থাকে কার্জনের প্রান্তর।
এই ছবিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে তোলা। ক্রিকেট বাংলাদেশের প্রাণের স্পন্দন। যখন বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ছিল তখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তাদের আনন্দ উচ্ছাস প্রকাশ করার জন্য আনন্দ র্যালী বের করেছিল সেই মূহুর্তে তোলা ছবি।
এই ছবিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা থেকে তোলা। চারুকলার শিক্ষার্থীরা তাদের আর্ট উৎসব উপলক্ষে এই ছবিগুলো অংকন করেছিল সেই অঙ্কন করা মুহূর্তগুলো এই ছবির মধ্যে ফুটে উঠেছে।
এই ছবিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে তোলা। এই ছবির মাধ্যমে একজন প্রেমিক প্রেমিকাদের বৃষ্টি বিলাস এর দৃশ্য ফুটে উঠেছে। ছবি নিয়ে আসলে বিস্তারিত কিছু বলার নেই আপনারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন।
এই ছবিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন চার বছরের স্নাতক শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ের বাঁশি বেজে ওঠে সেই মুহূর্তে তাদের প্রাণের উৎসব। আবার বিরহের দিন বলা যায যা র্যাগ ডে হিসাবে পরিচিত। সেখান থেকে এই দৃশ্যটি ক্যাপচার করা হয়েছে।
এই ছবিতে আমরা যে দৃশ্যটি দেখতে পাচ্ছি তা একজন শিক্ষার্থীর জীবনে সবথেকে বড় পাওয়া বড় আনন্দের বড় গর্বের। তার সারা শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি ঘটে এই দিনটার মধ্য দিয়ে। এই ছবিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ তম সমাবর্তনের সময় তোলা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে উড়ন্ত অবস্থায় একজন গ্রাজুয়েটের চিত্র ধারণ করা হয়েছে।
আপনারা যে ছবিটি দেখতেছেন এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি সাক্ষী। এটি হচ্ছে তিন নেতার মাজার। এখানে শায়িত আছেন খাজা নাজিমুদ্দিন, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেব। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বে এই দেশের কেউ মুখ্যমন্ত্রী, কেউ প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছেন।
এই ছবিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণকেন্দ্র টিএসসি প্রাঙ্গণ থেকে তোলা। ২০১৯ সালের বিজয় দিবসের রাতে তোলা। বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় এক উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়। কেননা বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
এই ছবিতে আপনারা যে পুকুরটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক হল এবং শহীদুল্লাহ হলের সম্মুখে অবস্থান করছে। এই পুকুরের সবুজ পানি সবাইকে মুগ্ধ করে। তবে এই পুকুরের কিছু খারাপ স্মৃতি রয়েছে। গত বছর এই পুকুরে সাঁতার কাটার সময় দু'জন শিক্ষার্থী অকাল মৃত্যু ঘটেছে তা সত্যি বেদনাদায়ক।
সর্বশেষ আপনাদের মাঝে আমি যে চিত্রটি পরিবেশনের মাধ্যমে আজকের ফটোগ্রাফি বিষয়ে আমার বক্তব্য শেষ করব তা হচ্ছে হাজার ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর যখন বাংলাদেশে আসলে তার পরেই তিনি সর্বপ্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আসেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে তার নেতাকর্মীদের নিয়ে এক জনসভায় অংশগ্রহণ করেন তখন এই ছবিটি তোলা হয়েছিল।
ফটোগ্রাফি | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
ছবি | @abidatasnimora |
Camera | Samsung galaxy S6 |
W3w location | এখানে |
অনেক সুন্দর হয়েছে ছবিগুলো আপু। সাথে আপনার বর্ণনা অসাধারণ। মনে হচ্ছে আপনার বর্ণনার মাঝেই ভার্সিটি ঘুরে আসলাম।শুভ কামনা।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইলো।
আপনার ভাল লেগেছে শুনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাংলাদেশ এর সব থেকে পুরাতন এবং সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালে এর স্থাপন ১০০ বছর কেটে গেলো বিশ্ববিদ্যালয় টি খুব ভালো লাগলো নিজের অনেক স্বপ্ন ছিল সেখানে পরার কিন্তু সব স্বপ্ন পুরন হতে নেই।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে আপু খুব গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
ভাইয়া স্বপ্ন যেকোনো জায়গায় থেকেই পূরণ করা সম্ভব। শুধুমাত্র একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কংক্রিটের দেয়াল কখনো স্বপ্নের পথে বাধা হতে পারে না ।আপনি যেখানে থাকেন সেখানে থেকে আপনি আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন ।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ফটোগ্রাফি পর্ব-২ এর প্রতিটি ফটোগ্রাফি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে।আপনার নিপুন হাতের ফটোগ্রাফি গুলো আমার মন ছুঁয়ে দিয়েছে।অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা আপনার জন্য ভালো থাকবেন সব সময়♥♥