# ইতিহাসের সাক্ষী ঢাকা গেট ( 10% beneficiaries for @shy-fox)
কেমন আছেন সবাই? আমি @abidatasnimora বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে বিবিএ পড়ছি। যদিও সবার মতোই আমিও করোনার দুষ্ট চক্রে আটকে গেছি। গত দেড় বছর প্রায় ফ্রি সময় কেটেছে।নিজের জীবনে কোনো ভ্যালু এড করতে পারিনি। তবে এখন আর আমার আফসোস নাই কারণ @amarbanglablog এর মাধ্যমে আমি একাকিত্ম ঘোচাতে পারছি। প্রতিদিন শিখছি। নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে নিজেকে সমৃদ্ধ করছি প্রতিনিয়ত। সত্যি কথা বলতে এই ১৫ দিনে আমি যত কিছু শিখেছি জেনেছি নিজের ভিতরের কথাগুলো যে ভাবে শেয়ার করতে পেরেছি গত ৫ বছরেও আমি পারিনি। এই জন্য আমি ধন্যবাদ জানাবো @rme ভাইকে যার অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে, অদম্য ইচ্ছা শক্তির কারণে এই প্লাটফর্ম আজ পরিনত। নিজ মাতৃভাষায় আমরা আমাদের জ্ঞান,সৃজনশীলতাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পাচ্ছি। আমি বরাবর বিভিন্ন বিষয়ে মতামত তুলে ধরতেই পছন্দ করি। যাইহোক আজ আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি আমাদের এক ইতিহাসে নিদর্শ, ইতিহাসের সাক্ষী ঢাকা গেট বা মীর জুমলার গেট নিয়ে
এই ছবিটি ঢাকা গেটের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশের ছবি ।
এই ছবিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইন্স লাইব্রেরীর ভিতরের ছবি।
এই দুই ছবির মাঝ দিয়েই চলেছে ঢাকার রাজপথ শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুক চিরে দোয়েল চত্ত্বর হয়ে।
আজ আমরাই এই ঢাকা গেট নিয়ে আমার সামান্য জ্ঞান আপনার মাঝে তুলে ধরব। ঢাকা গেট ইতিহাসের সাক্ষী হিসাবে ঢাকার গেট ভেঙে চুরমার হওয়ার পরো দাঁড়িয়ে আছে ঢাকার বুকে অতদ্র প্রহরীর মতো ইতিসার সৃতি হয়ে। আমি ঢাকা গেট সম্পর্কে প্রথম জেনেছিলাম যখন এডমিশন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতাম। পরবর্তীতে সচক্ষে দেখার সুযোগ হয়েছে।
ঢাকা গেটের ইতিহাস
আমরা জানি ঢাকা বরাবর পূর্ববঙ্গের প্রাণ কেন্দ্র ছিল।এবং ব্যবসা-বাণিজ্য প্রাণ কেন্দ্র ছিল যার ফলে ঢাকার গুরুত্ব প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন রাজা,সম্রাট ও ইংরেজিদের কাছে এক বিন্দু ও কমেনি। যার ফলস্বরূপ দেশ স্বাধীনের পূর্বে ঢাকাকে ৪ বার রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ১৬১০ সালে প্রথম সুবেদার ইসলাম খাঁ ঢাকাকে রাজধানী ঘোষণা করে এরপর ধারাবাহিকভাবে ১৬৬০,১৯০৫ এবং সর্বশেষ ১৯৪৭ সালে ঢাকাকে রাজধানী করা হয়।
ঢাকা গেট নির্মাণ
তৎকালীন মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের প্রতিনিধি হিসাবে বাংলাকে শাসন করতে আসেন মীর জুমলা। তিনিই ঢাকা গেট নির্মাণ করে বলে আমরা ইতিহাস থেকে জানতে পারি আবার অনেকে সুবেদার ইসলাম খাঁ করেছেন বলেও দাবি করে।
ঢাকা গেটের অবস্থান
ঢাকা গেট ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থান করছে। এটি বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে টিএসসি থেকে বাংলা একাডেমি পার হয়ে সাইন্স লাইব্রেরী ও দোয়েল চত্ত্বরের উত্তর দিকে অবস্থি।
ইতিহাসের সাক্ষী
বিভিন্ন সময়ে এই গেটকে ঢাকা গেট,মীরজুমলা গেট,রমনা গেট ও ময়মনসিংহ গেট নামে ডাকা হতো। বর্তমানে ঢাকা গেট নামেই অধিক পরিচিত। এটি মূলত ঢাকার প্রবেশদ্বার হিসবেই মনে করা হতো। বুড়িগঙ্গা থেকে এই গেট দিয়েই মূল ঢাকা প্রবেশ করত।বর্তমানে দেশে মোঘল আমলের যে কয়টি নিদর্শন আছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। আমরা জানি একটি দেশের কৃষ্টি,উৎপত্তি, বিস্তৃত, গঠন কিভাবে হয় বা কেমন ছিল সব কিছু জানা জানা ইতিহাসের মাধ্যমে আর বিভিন্ন স্থপনার মাধ্যমে।তাই একটি দেশের স্থাপনা ঐ দেশের ইতিহাসের গুরুত্ব বহন করে।
ইতিহাস সংরক্ষণ
ইতিহাস সংরক্ষণ এর মাধ্যমে আমরা একটি জাতির মূল ভিত্তিকে রক্ষা করতে পারি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক জ্ঞানের আলো দেখাতে পারি। সচক্ষে ইতিহাস চর্চা করাতে পারি৷ আর এই জন্য ইতিহাসের স্থাপনা সংরক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রীয় ভাবে ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হবে। একটি রাষ্ট্রের নাগরিককে তার দেশের সঠিক ইতিহাস চর্চার সুযোগ দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তবে অযত্ন,অবহেলার কারণে আমাদের দেশের অনেক স্থপনা আজ মৃত প্রায়।
আপু অসাধারণ লিখেছেন। ঢাকায় যাওয়া হনি অনেক দিন যাবৎ। লিখা গুলো পড়ে মনে হইছিলো ঢাকায় আছি।
ধন্যবাদ আপনাকে
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বেশ কিছু পরিচিত ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, কিন্তু এটা সত্য ইতিহাস সত্যেই সাক্ষী ঢাকা গেট। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকবার গিয়েছি যখন আমার বন্ধুরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত এমনকি শহীদুল্লাহ হলে অনেক রাত কাটিয়েছি। বর্তমানে বুয়েটে পরীক্ষা নেই তাই আর ঢাকার মধ্যে ঢোকা হয়না।
ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য। করোনা না হলে আমরাও চলে যেতাম। ক্যাম্পাসের মায়া কাটানো খুব কষ্টের।
আমি অনেকবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই জায়গাটি গিয়েছিলাম এবং আমাদের সকলের উচিত ঢাকা গেটটি সংরক্ষণ করা। সত্যি বলতে আপনি নতুন ইউজার হিসেবে অনেক সুন্দর ভাবে এটি গুছিয়ে লিখেছেন এবং আপনি অনেক সুন্দর হবে মার্কডাউন ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা।।
ধন্যবাদ আপনাকে
নতুন কিছু জানতে পারলাম।পোস্টটি আসাধারণ হয়েছে।