আমরা সবাই বিশ্বাস করি ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে উৎসব এই দিনগুলোতে আমরা সব সময় চাই নিজের মতো করে কাটাতে । ঈদের সময় আসলে একটি পরিবারে প্রাণ ফিরে পায় কেননা যে পরিবারগুলোতে সন্তানেরা বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পড়াশোনা বা চাকরি কারণে বিভিন্ন জায়গায় থাকে কিন্তু কথায় আছে নারীর টানে বাড়ি ফেরা। আসলেই সবাই বাড়িতে চলে আসে দুই সদস্যের পরিবার ও যেন রাতারাতি কানায় কানায় ভর্তি হয়ে যায়। সেই সময়ের যে অনুভূতি আবেগ তা হয়তো বা সহজে বোঝানো সম্ভব নয়। অনেকদিন পর পরিবারের সবার সাথে মিলিত হলে অসম্ভব সুন্দর সময় কেটে যায়। মনের অজান্তে সুখ দুঃখ কষ্ট গুলো দূর হয়ে যায়। কিন্তু যে পরিবারগুলোতে একাকী ঈদ কাটাতে হয় তাদের অবস্থা ইদ আসলেও কোনো পরিবর্তন হয় না। মাঝে মাঝে নিজেকে খুব একা লাগে মনে হয় আমার চারপাশে কেউ নেই পায়ের নিচে মাটি নেই। স্বপ্নগুলো যেন মলিন হয়ে যাচ্ছে। বাস্তবতার কাছে যেন হারিয়ে যাচ্ছি। একটা ঈদ গেলো নিজের ইচ্ছা মত কিছু করতে পারলাম না। কোথায় ঘুরতে যেতে পারলাম না। সারাটা দিন ঘরে বন্দি ছিলাম। এক তে বৃষ্টি অন্যদিকে মনের অজান্তে মন খারাপ হয়ে যাওয়া। মাঝে মাঝেই হুটহাট কারণ ছাড়া মন খারাপ হয়ে যায় । তখন কিছু করতে ভাল লাগেনা। নিজেকে এত বোঝানোর চেষ্টা করি কেন জানি আজকাল নিজেকে বুঝতে পারছিনা। আমাদের প্রত্যেককে কিছু স্বপ্ন থাকে ,কিছু আশা থাকে ,সেই স্বপ্নের পেছনে আমাদের ছুটে চলা। কিন্তু লক্ষ্য যখন অনেক দূরে তখন আপনি চাইলেও সহজভাবে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন না। স্বপ্ন পূরণ করতে হলে আমাদের অবশ্যই অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে ধৈর্য ধরতে হবে কিন্তু আমরা মানুষ রক্তে মাংসে গড়া মানুষ আমাদেরও ক্লান্ত আসে। কিন্তু আমদের এই ক্লান্ত মন প্রশান্তি চায়, আমাদের পাশে এমন কাউকে চাই যে আমাকে প্রশান্তি দেবে আপনাকে প্রশান্তি দেবে মনের ভালোলাগা খারাপ লাগা গুলো তার সাথে আলোচনা করতে পারব। দুইজন দুইজনার কাছে সবথেকে কমফোর্ট ফিল হবে। জীবনে চলার পথে একজন সত্যিকারের বন্ধু পাশে দরকার যে আপনাকে জ্বালানির মতো করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা দিবে। আপনার খারাপ লাগার সময় গুলোতে সঙ্গ দেবে।
Image Source
আমাদের আশেপাশে মানের জন্য কেন জানি ভীষণ নিষ্ঠূর সহজেই দেখে তাদের বোঝা যায়না মুখোশের আড়ালে তাদের অন্য এক রূপ যেরূপ আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না যদি না তাদের সাথে ভালোভাবে মেশান বা নিজে বিপদে পারেন। আপনার আসল শুভাকাঙ্ক্ষীকে বিপদে পড়লে অবশ্যই বুঝতে পারবেন সেই রক্তের সম্পর্ক হোক বা রক্তের ছাড়া। মাঝে মাঝে একদিনের চেনার মানুষ আপনার জীবনে রক্তের সম্পর্কের থেকেও বেশি কাজে দেয় বেশি উপকার করে। |
স্বপ্নের পথে চলতে হলে কাটার ওপর দিয়ে চলতে হয় বিশেষ করে আপনি যখন মেয়ে হবেন।আপনি উচ্চ শিক্ষা অর্জন করছেন ,আপনার বয়স হয়েছে ।আপনার আশেপাশের মানুষ যদি আপনাকে সহযোগিতা না করে আপনার চলার পথকে মসৃণ করে না দেয় তাহলে বুঝবেন।চলতে ফিরতে প্রতিনিয়ত আপনার বাবা মাকে কথা শুনতে হবে মেয়ের বয়স হয়েছে বিয়ে দেন না কেনচেহারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ,ভালো বর পাবেন না পরে।মেয়েদের এত লেখা পড়া দিয়ে কি হবে ।অল্প বয়সে বিয়ে দিবেন বাচ্চাকাচ্চা হবে চিন্তা মুক্ত হবেন। বাহিরে পড়ে কিনা কি করে বেড়ায় ঠিক নাই । কিছুদিন পর দেখবেন কাউকে ধরে নিয়ে এসে বলবে আব্বা আমি বিয়ে করেছি তখন মুখ দেখাবেন কিভাবে? বাসায় আছে ধরে বিয়ে পড়ায় দেন। পিতামাতাকে যখন এসব কথা শুনতে হয় শত চেষ্টা করলেও তারা মনের অজান্তে কিছু কষ্ট পায়। আমি চাইলেও তাদের বোঝাতে পারিনা আমার মনের কষ্টগুলো মনের ব্যথাগুলো কত? আমি বাবা মা কতজনের মুখ থামাবো কথাগুলো যখন আপনার প্রতিবেশী আপনার আত্মীয়-স্বজনের মাঝে থেকেই আসবে ।তাহলে আমি মেয়ে ,আমি নারী হয়ে আমার জন্মানো দোষ। আমি নারী আমাকে ষোল তে বিয়ে করতে হবে? নারীদের কি স্বপ্ন থাকতে নেই? তারা কি স্বপ্ন দেখতে পারে না? তারা কি সব সময় সমাজের অবহেলিত প্রাণী হয়ে বেঁচে থাকবে? তাদের পায়ের নিচে কি মাটি থাকতে নেই। তাদের বুকের অজান্তে তো একটি স্বপ্ন থাকতে পারে না ।
Image Source
যার পরিবারে ভাই নেই সেতো চাইতে পারে তার পরিবারে ছেলের অভাব পূরণ করতে। আমি আপনাদের বলছি যারা আমার বাবা মাকে বলে আপনার মেয়েকে বিয়ে দিন বুড়ি হয়ে যাচ্ছে আমি তাদের বলি আপনারা যত আমাকে নিয়ে ভাববেন বলবেন আমি ততো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হব ।আমিতো তো আমার স্বপ্নের পথে অগ্রসর হব ।আপনারা কখনো আমার পথ আটকাতে পারবেন না। এতদিন চেষ্টা করেছেন আটকাতে পারেননি আজ ও পারবেন না ইনশাল্লাহ। যে স্বপ্ন দেখতে জানে যে লড়াই করতে জানে ,সে স্বপ্ন কিভাবে পূরণ করতে হয় সেটাও জানে। আপনাদের মত কিট কখনোই তার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবেনা। আমি আমার বাবা মাকে বলেছি আমি এগিয়ে যাব দুর্বার গতিতে কোন বাধাই আমাকে থামাতে পারবে না ।আমার বয়স আমার চেহারা নিয়ে যদি আপনার কোন কথা বলেন অন্য কারো কথা শুনে তাহলে আমি আর কখনো বাসায় আসবো না। যেদিন নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারব যেদিন সবার মুখের উপর জবাব দিতে পারবেন সেদিন আপনার আমার মুখ দেখবেন। আশেপাশের লোকজন কখনোই আপনার ভাল চায় না ।আপনার সন্তানের ভালো চায়না। তারা চাই আপনার মেয়ে কিভাবে অন্যের ঘরে গিয়ে দাসী হয়ে থাকবে। কিভাবে আপনার মেয়েকে ঘরে বন্দি করে রাখবে কিন্তু আমি ঘরবন্দি হতে আসিনি বাবা ,আমি কারো দাসী হতে আসিনি আমি একজন সচেতন নারী হিসেবে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই ।এতে আমাকে কে কি ভাবল যায় আসে না তোমরা বাবা-মা যদি আমাকে সহযোগিতা না করা দরকার নেই আপনাদের সহযোগিতা এতদিন যাবৎ বুকে লালন করে এসেছি । কষ্ট করে এতদূর এসেছি আর মাত্র সামান্য পথ বাকি সেখানে এসে আমি থেমে যাব আপনার ভাবলেন কি করে। আমি এই পথে এক অভিযাত্রী যার পথে কখনোই কোনো মৃত কঙ্কাল ভয় দেখাতে পারবে না। আপনারা যদি আমাকে দুর্বল ভাবেন তাহলে ভুল করবেন ।আমি আমার স্বপ্নকে কখনোই অন্যের হাতে তুলে দেবো না ।আমার নিয়ন্ত্রণ শুধু আমার হাতেই থাকবে। আমাকে যারা আটকাতে চায় তাদের বলে দিবেন আপনার মেয়ে থামতে চায় না। আমাকে নিয়ে যারা কথা বলে তাদের কথা আমি কানে কখনোই তুলি না। তারা আমার প্রতি যতই নোংরা মন-মানসিকতার পোষণ করুক না কেন আমি কেয়ার করি না। আমি আমার আমিত্ব কে চিনি।*
এ কথাটি একদম ঠিক বলেছেন আপু, প্রথমে বলতে চাই নারী হয়ে জন্ম নেওয়া কোনো পাপ নয়। নারী আছে বলেই পৃথিবীটা এমন সুন্দর এবং পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ভালোবাসার মধ্য উল্লেখ্য হচ্ছেন মা এবং ছেলের ভালোবাসা যেটা অকাট্য সত্য। আপনার পোস্ট করার টপিকটা আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে ধন্যবাদ আপু আপনার উক্তি গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দারুণ বিষয় নিয়ে উপস্থাপনা করেছেন আপু।নারী যদি নাই থাকতো তাহলে পুরুষ মানুষের জন্ম হতো কীভাবে!তবে কিছু কিছু জায়গায় এটা মানতেই চান না ,নারীরা পবিত্র ও কল্যাণকর আমি মনে করি।ধন্যবাদ আপু,সুন্দর লিখেছেন।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু বাস্তবতার কাছে আমাদের স্বপ্ন যেন বারবার পরাজিত হয় ।সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সব ঠিক আছে, শুধু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং জীবন চালনার নিয়মকানুন বদলানো দরকার।
লেখাটা যখন পড়ছিলাম তখন ভাবছিলাম যে কতটা মন থেকে থেকে লিখলে এত সুন্দর গুছিয়ে এমন একটি ব্যাপার উপস্থাপন করা যায়। আপু আমাদের সমাজ ব্যাবস্থার ওপর মাঝে মাঝে খুব রাগ হয়। ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে, মেয়ে হয়েছে বলে তার যেন কোন স্বপ্ন থাকতে পারে না। আমি ব্যাক্তিগতভাবে চাই সমাজের সব মেয়ে নিজের পায়ে দাড়াক। মাথা উঁচু করে বাঁচুক। তবে হ্যাঁ এই ক্ষেত্রে মেয়েটারও তীব্র ইচ্ছে নিয়ে এগোতে হবে। বর্তমান সময় আর আগের মত নেই। নারীরা অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করি মনের সেই জেদ টা থাকলে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছুতে কেউ আটকাতে পারবে না।