শৈশবের স্মৃতি নিয়ে লেখা , স্মৃতির পাতা থেকে বলছি!
[শৈশবের পাতা]
ছোট বেলার স্মৃতি কার না ভালো লাগে। শৈশবের সুখ দুঃখ মিশ্রিত জীবন ছিলো অসাধারণ। বড় হওয়ার সাথে সাথে যেন সকল হাসি হারিয়ে যায়। এ এক নীরব সত্য। এ সত্য সকলকেই হাসি মুখে বরণ করে নিতে হয়।
কোমলমতি শিশুরা যে কত সুখে আহ্লাদে দিন কাটায় তা পরিমেয় নয়। সারাদিনের ব্যস্ত শিশুর ঘুম থেকে জেগে উঠার সাথে সাথেই তার শিডিউল চালু হয়ে যায়। ভোর হওয়ার সাথে সাথেই পারার বাকি বন্ধুদের সাথে সাক্ষাৎ না হলে যেন সকালটাই মাটি। তাই সকল বন্ধুদের এক সাথে করে সকালের নাস্তার আগে এক পসরা আমোদে মেতে উঠে। বাড়ি ফিরে খাবার নিয়ে কেউ মায়ের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে আবার কেউবা যা আছে তা দিয়েই নাস্তা শেষ করে ফুল ফ্রি হয়ে আবার বেড়িয়ে পড়ে।
[পাড়ার দুরন্ত ছেলে]
মায়ের সেই ছেলে মায়ের সাথে রাগ বা গোস্বা করে আবার বন্ধুদের দলে ভিড় জমিয়ে কোনো আম গাছের নিচে বা লিচু গাছের নিচে বা যে কোনো গাছের নিচে নিজের পেটের ক্ষুধাকে পাত্তা না দিয়ে তার শিডিউলের দিকে এগোতে থাকে। নিশ্চিন্ত অবুঝ শিশু যেন তার নিজের গতিতে অবিরত। শিশুদের খেলাধুলার ধরন খুবই চমৎকার, আকর্ষণীয়। তবে সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো শিশুরা খেলাধুলা করার সাথী - সঙ্গী না পেলেও একাই খেলাধুলায় মেতে উঠে।
[শৈশবের স্মৃতি]
”যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে”, কথাটি শিশুদের ক্ষেত্রে শতভাগ কার্যকর। আমাদের সকলেরই উচিত অন্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেই নিজের মতো করে এগিয়ে চলা, পথিমধ্যে গুরুজনদের সাহায্য সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। যাইহোক, আমাদের সকলেরই শিশুকালে ফিরে যেতে মন চায়, কিন্তু সম্ভব নয়। শৈশবকে আকড়ে ধরেই প্রতিটি মানুষের আত্মা বেচে থাকে। শৈশবের কোনো স্মৃতি মনে পড়তেই চোখের সামনে ভেসে উঠে কতনা মধুর গল্প। লুকোচুরি খেলা থেকে শুরু করে গোল্লাছুট, ছোটবেলার মার্বেল খেলা, হাডুডু, বউছি খেলা সহ নানাবিধ খেলাধুলা।
[শৈশবের হাসি সুন্দর]
সত্যি বলতে শৈশব অনেক সুন্দর 🥰
আসলে ভাইয়া ছোটবেলার স্মৃতি সবারই অনেক ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে ছোটবেলার দুষ্টামির কথা অনেক বেশি মনে পড়ে। বিশেষ করে যখন দেখি ছোট ছেলে পেলে খেলাধুলা করছে দেখে ছোটবেলায় ফিরে যেতে ইচ্ছা করে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ ভাই