আমার বাংলা ব্লগ কবিতা উদ্যোগ || অণু কবিতার আসর - ৫৪
আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- অনু কবিতায় সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ সৃজনশীল একটি উদ্যোগ, যেখানে সবাই নিজের ভেতরের প্রতিভাবে একটু ভিন্নভাবে ফুটিয়ে তোলার সুযোগ পাবে। নিজের মনের ভাবকে একটু ছন্দময় কিংবা সহজভাবে কাব্যিক রূপে প্রকাশ করতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা নিয়ম মেনে অংশগ্রহণ করবে পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের দুই দিন যথাক্রমে শুক্রবার ও রবিবার দুটি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে লেখকের পছন্দ অনুযায়ী ৪/৬ লাইনের অনু কবিতা সংযুক্ত থাকবে। তার সাথে কবিতা সম্পর্কে লেখকের অনুভূতি থাকবে, যাতে ইউজাররা কিছুটা আইডিয়া নিতে পারে কবিতার বিষয়বস্তু সম্পর্কে। তারপর ইউজারদের কাজ হবে অনু কবিতার লাইনগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে আরো ৪/৬ লাইনের অনু কবিতা লেখা।
এখানে একটা বিষয় অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে, শব্দের জটিলতা কিংবা অর্থের গভীরতা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করতে হবে না বরং সহজভাবে আপনার মনের ভাবটাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে এবং কবিতার বিষয়বস্তুর প্রতি লক্ষ্য রেখে কবিতাটিকে পূর্ণতা দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। আমরা কঠিন কিংবা দুর্বোধ্য শব্দ দেখবো না বরং আপনি কবিতাটিকে কতটা সুন্দরভাবে পূর্ণতা দেয়ার চেষ্টা করেছেন, সেটা দেখার চেষ্টা করবো। আশা করছি সবাই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আমার বাংলা ব্লগের কবিতা উদ্যোগে সকলের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।
আজকের অনু কবিতা
পড়িলে জ্যামের ফাঁদে,
হাঁটি হাঁটি যাইতে হবে।
নইলে বিলিয়ে যাবে,
জীবনের মূল্যবান বেলাখানি।
লেখক
লেখক এর অনুভূতি:
সময় খুবই মূল্যবান আর সেটা যদি জ্যামেই কাটে তার থেকে হেঁটে যাওয়া ঢের ভালো।
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
- অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
- উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই উপরের কবিতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে।
- এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
জ্যামের মধ্যে থাকতে থাকতে
ঘামছি আমি খুব।
ইচ্ছে করে উড়ে গিয়ে,
সমুদ্রে দেই ডুব।
জ্যামের মধ্যে চলা কঠিন তাই,
হাঁটতে হয় চিপায়।
কিভাবে যে বেঁচে আছি,
উপর ওয়ালার কৃপায়।
সমুদ্রের ডুব দিতে এমনিতেই খুব ইচ্ছে করে। জীবনের জ্যাম কিন্তু সহজে ছাড়ে না।
হাঃ হাঃ। দারুন ছিলো
জ্যামে গিয়ে আটকে,
সময় গেল হাত থেকে ফসকে।
পাগুলি হলো সচল,
বিরক্তিরা সব দূর অচল।
শরীর হলো চঞ্চল,
জীবনটা এখন অনেক মূল্যবান।
জ্যাম থেকে দূরে যেতে হবে
একদম তাই,নিজের পায়ে চাকা লাগাতে হবে।☺️☺️
জ্যামের মধ্যে আটকে থেকে
সময়ের অপচয়,
তার চেয়ে ভালো হেঁটে যাওয়া
নয়তো মন্দ নয়।
জ্যাম বড় প্যারা দায়ক
বড়ই অস্বস্তি,
এর চেয়েও ভাল হয়
হেঁটেই করি মস্তি।
♥♥
হাঁটাতেই তো আসল মজা
রঙিন স্বপ্নের এই শহরে
ঝুলে আছে কত শত স্বপ্ন,
জ্যামের ফাঁদে ধূসর হচ্ছে
আকাংখার বিপরীতে দুঃস্বপ্ন।
আটকে যাচ্ছে জীবনের অনুভূতি
সময়ের দুর্বোধ্য বালুচরে,
নির্জীব হয়ে যাচ্ছে বিবেক
ক্ষয়ে ক্ষয়ে বিলীন হচ্ছে আবেগ।
এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ হয়েছে ভাই।
জ্যাম অজান্তেই কতো কিছু কেড়ে নেয়।
শহরের সব বড় সড়কে,
নতুন কিংবা পুরনো মোড়কে,
ছুটিয়ে দিতে শরীরের ঘাম,
আছে কুখ্যাত ট্রাফিক জ্যাম।
সময়ের সাথে আছে দ্বন্দ্ব,
জ্যামে পড়লে কপাল মন্দ,
ঘন্টাখানেকের পেরেশানি,
সারাদিন তারই রেশ টানি।
নেমে হেঁটে যাওয়া তাই হয়েছে খুব জরুরি।
এখন আর হাঁটতে ইচ্ছে করে না। এই জন্যই তো মোটা হয়ে যাচ্ছি।🥺🥺
জ্যামরে তুই এত বিশাল,
কেন হলি বল?
এই বয়সে হাঁটতে গিয়ে,
নামলো ঘামের ঢল।
তোর জ্বালায় ভাল্লাগেনা,
গরমের এই তাপে।
হচ্ছি কালো রোদ্রে ঘেমে,
থামবিনা তো শত অভিশাপে।😉🤭
বর্ষা আসলেই থামবে বলেছে
সম্বল এখন পা দুখানি
চলিলাম ঈশ্বরের নামে।
গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলা
অবশেষে পাইলাম বাড়ির দেখা।
বাড়ি যাওয়া নিয়ে কথা।
একি জ্যামে আটকে পড়লাম।
আমি একেবারে থমকে গেলাম।
সকালে বের হয়ে রাতে পৌঁছালাম।
দিনের সকল কাজ হারালাম।
চাইছিলাম হেঁটে যেতে
দূরের পথে আটকে পড়লাম
এ যেনো এক অস্বস্তির ব্যাপার।
নেই তো আর কোন উপায়।
বাহ বাহ দারুণ লিখছো। অল্প দূরে বাসা হলে হেঁটে হেঁটে যেতে পারতে। আসলে কবিতা লাইনগুলো চমৎকার ছিল।
উপায় খুঁজে নিতে হবে।
গলির ফাঁকে ফাঁকে
স্বপ্নটা যেন জ্যামের মত
আটকে আছে এক জায়গায়,
হাঁটি হাঁটি যেতে পারলে
পড়তাম না জ্যামের ফাঁদে।
হেঁটে হেঁটে যেতে যেতে
বেলা ফুরিয়ে যায়,
কখন চাটবে জ্যামের জীবন
বলা কি তা যায়।
হেঁটে গেলে সুবিধা বেশি।
কারো মা-বাবা, কারো ভাই-বোন,
এম্বুল্যান্সের রোগী,
কেউ মারা যায় রাস্তার জ্যামে,
কেউবা আবার জ্যামের ভুক্তভুগী।
অপেক্ষায় থাকি ট্রাফিক পুলিশ
কখন বাজাবে বাঁশি
সময়ের বিমান সময়ে উড়ে,
রাস্তায় বসে জ্যামে কাধেঁ বাংলার প্রবাসী ৷
ভাই যথাযথ বলেছেন। আসলে জ্যামের মধ্যে অনেক রোগী মারা যায়। আসলেই আমরা অসহায়
জ্যাম এভাবেই কতো জীবন কেড়ে নিচ্ছে, উপায় হীন।