আমার বাংলা ব্লগ কবিতা উদ্যোগ || অণু কবিতার আসর - ১৭৮
আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- অনু কবিতায় সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ সৃজনশীল একটি উদ্যোগ, যেখানে সবাই নিজের ভেতরের প্রতিভাকে একটু ভিন্নভাবে ফুটিয়ে তোলার সুযোগ পাবে। নিজের মনের ভাবকে একটু ছন্দময় কিংবা সহজভাবে কাব্যিক রূপে প্রকাশ করতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা নিয়ম মেনে অংশগ্রহণ করবে পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের দুই দিন যথাক্রমে শুক্রবার ও রবিবার দুটি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে লেখকের পছন্দ অনুযায়ী ৪/৬ লাইনের অনু কবিতা সংযুক্ত থাকবে। তার সাথে কবিতা সম্পর্কে লেখকের অনুভূতি থাকবে, যাতে ইউজাররা কিছুটা আইডিয়া নিতে পারে কবিতার বিষয়বস্তু সম্পর্কে। তারপর ইউজারদের কাজ হবে অনু কবিতার লাইনগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে আরো ৪/৬ লাইনের অনু কবিতা লেখা।
এখানে একটা বিষয় অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে, শব্দের জটিলতা কিংবা অর্থের গভীরতা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করতে হবে না বরং সহজভাবে আপনার মনের ভাবটাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে এবং কবিতার বিষয়বস্তুর প্রতি লক্ষ্য রেখে কবিতাটিকে পূর্ণতা দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। আমরা কঠিন কিংবা দুর্বোধ্য শব্দ দেখবো না বরং আপনি কবিতাটিকে কতটা সুন্দরভাবে পূর্ণতা দেয়ার চেষ্টা করেছেন, সেটা দেখার চেষ্টা করবো। আশা করছি সবাই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আমার বাংলা ব্লগের কবিতা উদ্যোগে সকলের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।
আজকের অনু কবিতা
দুপুরের কাঠফাটা রোদে,
জীব খোঁজে গাছের ছায়া।।
চাতক পাখির ন্যায় আজি,
বর্ষার পানে চেয়ে থাকি।।
লেখক
লেখক এর অনুভূতি:
গরমের দাবদাহে জীবজগত আজ বর্ষার দিকে তাকিয়ে আছে। অল্প বৃষ্টি আমাদের সবার মাঝে প্রশান্তি আনতে সক্ষম।
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
- অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
- উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই উপরের কবিতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে।
- এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
তপ্ত দুপুরে কাঠফাটা রোদে
পথিক খোঁজে ছায়া,
বর্ষা এসে ছুঁয়ে দিও
তোমার শীতল মায়া।
তোমার শীতল মায়ায় পথিক
রাঙ্গাবে তার মন,
বন্ধু হয়ে বর্ষা এসো
খুবই প্রয়োজন।
বন্ধু হিসেবে এসে প্রাণী জগৎ সজীব করে তুলবে।
প্রচন্ড রোদের তাপে হচ্ছে মাটি গরম
সেই গরমে ক্লান্ত হচ্ছে জীবন,
সবুজের সতেজতায় থেকে
বৃষ্টির পরশ পেতে চায় মন ,
শুকনো মাঠে বর্ষণের
আশায় থাকে কৃষকের মন।
শীতলতায় ভরে থাক সবার মন
বৃষ্টির আজ বড় প্রয়োজন।
আজ সত্যিই তাকে বড়ো প্রয়োজন
বর্তমানে যে গরম পড়ছে তাতে বৃষ্টির অনেক বেশি প্রয়োজন। অনেক সুন্দর একটি অনু কবিতা লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
উত্তপ্ত দুপুর খোঁজে
বট বৃক্ষের শীতলতা
বারবার মনে পড়ে যায়
মেঘলা আকাশ কিংবা
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কথা।
বৃষ্টির অঝোর ধারায়
পৃথিবী খুঁজে পেতে চায় শীতলতা
বর্ষার স্রোতে গা ভাসিয়ে প্রাণী কুল
খুঁজে ফিরে বেঁচে থাকা।
বর্ষার পরশে বদলে যায় প্রকৃতি
পৃথিবী খুঁজে পায় শীতলতা।
আহা! ভেবেই তো দারুন রোমাঞ্চ হচ্ছে
ওয়াও আপু বেশ দারুন অনু কবিতা লিখেছেন আপনি পড়ে ভালো লাগলো। সত্যি বলেছেন আপু বৃষ্টির কথা ভীষণ মনে পড়ে।
চারিদিকে রোদের উত্তাপ,
খুজি শুধু তোমারে।
কে হে তুমি,
বর্ষা বন্ধু, ভাসিয়ে নিয়ে যাও আমারে।
গরমের এই উষ্ণ আভা,
সহ্য হয় না আমার।
কি করবো বলো বর্ষা বন্ধু,
কি উপকার করতে পারি তোমার।
যদি কোন উপকারে আসি,
সাহায্য করবে কি তুমি আমায়।
নাকি মুখ ঘুরিয়ে চলে যাবে,
গরমে ভাসাবে আমায়।
তার রাগ ভাঙানোর সব চেষ্টা করা হবে।
বাহ্ আপু আপনার অনু কবিতাটি চমৎকার লাগলো। অনেক সুন্দর একটি অনু কবিতা লেখার জন্য ধন্যবাদ।
হতাশার চাদরে
জীব কাঠফাটা রোদে,
আকাশের পানে তাকিয়ে আছে
মিষ্টি রোদের দিকে।
একটুখানি বৃষ্টি,
দিতে পারে হাজারো প্রশান্তি।
প্রতিটা মানুষের অন্তরে
ছুয়ে যাক বৃষ্টির গন্তব্য।
মন প্রাণ সব জুড়িয়ে দিক।
চৈত্রের তাপদাহে জ্বলছে মাটি,
পুড়ছে হৃদয়,প্রাণী চায় শীতলতা।।
হাহাকারের মাঝেও চাষীরা মাঠে,
বৃষ্টির প্রতীক্ষায় সবারই দিন কাটে।।
হাওয়ারা বয়ে চলে আগুনের ফুলকিতে,
মন পড়ে থাকে সেই হাড়কাঁপানো শীতে।।
শীত ফিরে এলে ভালোই মজা হবে। হিঃ হিঃ
একদম দাদা 👍
আসলেই দিদি গ্রীষ্মের দাবদাহে মন পড়ে থাকে সেই হাড় কাঁপানো শীতে। আপনার অনু কবিতাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
আসলেই অসময়ের সবকিছু ভালোই।
উত্তপ্ত সূর্য, অস্থির সৃষ্টি
হাহাকার চারদিক, নেই কোন বৃষ্টি!
গেলো শুকিয়ে খালবিল, পেটে হলো চৌচির
ঘর থেকে বের হলে মাথার ফাটে ছাতি।
যা গরম ছাতি ফাটার অবস্থা।
ছচির অর্থ ঠিক বুঝলাম না ভাই।
দুঃখিত দাদা, চৌচির হবে।
চারখন্ডে বিভক্ত কিংবা বহুখন্ডে খন্ডিত "খালবিল"।
ভাই ছন্দে ছন্দে দারুন অনু কবিতা লিখে ফেলেছেন দেখছি। এক কথায় অসাধারণ লেগেছে অনু কবিতাটি।
খাঁ খাঁ রোদ্রের প্রখরতা
সে কি ভাই তাপের উত্তপ্ততা।
গরম তাপে সবই যে গেলো ঝলসে
তৃষ্ণায় গলা যাচ্ছে শুকিয়ে নিমিষে।
হাহাকার চারিদিকে, চাই একটু শীতলতা
আশায় আছে সবাই, যদি নামতো বর্ষার বারিধারা।
দারুন মিল হয়েছে।
আপনি কি জ্বলসেকে ঝলসে বোঝাতে চাইছেন?
জ্বি দাদা,, দুঃখিত। এটা মিসটেক হয়েছে।
মাটির বুকে যেমন পানি না থাকলে,
মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যায়।
সবুজ গাছ যেমন পানির অভাবে,
শুকনো কাঠে পরিণত হয়ে যায়।
তাইতো আজ এই গরমে,
চেয়ে থাকি বর্ষার পানে।
বর্ষার আসুক তাড়াতাড়ি তাহলে প্রশান্তি পাওয়া যাবে।
উত্তপ্ত দুপুরের বিরুপ মূর্তি
ক্লান্তিতে যায় যায় জীবন,
বর্ষণের একটু শীতলতায়
জগৎ শান্ত হবে এই ভাবে মন।
বর্ষার সবাইকে শান্ত করে দেবে।
আশা রাখছি দাদা।
বর্তমানে যে, রোদ আর গরম পড়ছে সবাই বৃষ্টির অপেক্ষায় আছে। তোমার অনু কবিতাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো বন্ধু।