আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -২০
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
কিপ্টামি নিয়ে মজার কোন কৌতুক বা হাসির অনু গল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
এক কিপ্টে লোক ডাক্তারের কাছে গেল ইউরিন টেস্টের জন্য।টেস্ট শেষ করে সে তার ইউরিনের বোতলটা সাথে নিয়ে বাসায় চলে এলো,তখন তার স্ত্রী এটা দেখে অবাক হয়ে বললো,সে কি,তুমি এটা নিয়ে এলে কেন?
জবাবে লোকটি বললো,ডাক্তার বলেছে আমার ইউরিনে নাকি সুগার আছে।এখন চিনির যে দাম,তাই এটা সাথে করে নিয়ে এলাম।
চিনির দাম বেড়ে গেছে তাই তো সবাই সুগারের খুঁজে ব্যস্ত। দারুন ছিল আপু হাসতে হাসতে শেষ। 😅😅
হি হি😊😊.
এইরকম একটা লোক আমার জীবনে খুব দরকার ছিল। আমার হাত এত খোলা যে টাকা আসলেই কি করে যে শেষ হয়ে যায় আমি বুঝুতেই পারিনা।🤣
আশির্বাদ করি দাদা, যে খুব শীঘ্রই আমাদের এমন একটি বৌদি আসুক তোমার জীবনে।
এত কৃপণ দরকার নেই রে বোন।🤣 বেশি হিসাবী হলে আবার দেখে গেলো আমার খাওয়া বন্ধ করে দিল।
🤣 🤣
শশুর জামাইয়ের কথা আছে,
জামাই: আপনার কাছে একটা বিচার নিয়ে আসছি বাবা।
শশুর: কি হয়েছে বাবা?
জামাই: আপনার মেয়ে প্রতিদিন আমার কাছে টাকা চায়।
শশুর: কি বলো বাবা?
জামাই: আজ এক হাজার, কাল দুই হাজার, পরশু তিন হাজার, এরপর দশ হাজার।
শশুর: এত টাকা দিয়ে আমার মেয়ে করে কি?
জামাই: আমি কি করে জানবো। আমি কোনদিন টাকা দিয়েছি নাকি। 😅😅😅
টাকাই যখন দেয়নি তাহলে নালিশ করার কি দরকার ছিল।🤣
বাবার মৃত্যুর পর জায়গা-জমি সংক্রান্ত একটা ব্যাপারে চন্দন দা পরামর্শ নিতে সন্ধ্যার পর পিতৃ-বন্ধু হর কুমারের কাছে গেলেন....
হরকুমার চন্দন দা'কে সাদরে ঘরে নিয়ে বসলেন ৷
হরকুমার বললেন-- কথা বলতে তো আর আলোর প্রয়োজন নেই, তাহলে বাতিটি নিভিয়ে দিই --বলে হরকুমার বৈদ্যুতিক বাতিটি নিভিয়ে দিলেন
কথা-বার্তা শেষে চন্দন দা যখন উঠতে যাবেন, তখন হরকুমার বললেন-- দাঁড়াও বাতিটা জ্বালিয়ে দিই, নইলে তুমি বেরুবার রাস্তা দেখতে পাবে না।
চন্দন দা তখন বললেন-- একটু দাঁড়ান কাকা, আমি লুঙ্গিটা পরে নিই।
হরকুমার অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন--
মানে ? তুমি কি এতক্ষণ লুঙ্গি না পরেই আমার সাথে কথা বলছিলে ?
চন্দন দা বললেন--
আজ্ঞে হ্যাঁ, অন্ধকার ঘরে লুঙ্গি পরে সেটার অপচয় করে কি লাভ, তাতে বরং লুঙ্গিটার পরমায়ু অন্তত ৩/৪ ঘন্টা তো বাড়বে ....
হা হা 😄
আমার হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেছে।
মারাত্মক লোক তো🤪
আমাদের সমাজে এই রকম লোক এখনো আছে। হা হা হা...🤣
হা হা 😄
বেশি চালাক আর কিপটে হলে যা হয় আরকি।
আপনি টেলিগ্রামে এর কৌতুক টা দিলেন দাদা যেটা দিয়েছিলো😜😜।
কারণ ওর থেকে ভালো জোকস আমি আর খুঁজে পেলাম না। ওটাই বেস্ট ছিল।😎
মালিকঃ আমাদের দোকানে যে পচা ডিমগুলো ছিলো সেগুলো কে কিনলো?
কর্মচারীঃ লিয়াকত সাহেব।
মালিকঃ গত বছরের পাঁচ কেজি আটা?
কর্মচারীঃ লিয়াকত সাহেব।
মালিকঃ আর ঐ মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া সেমাইগুলো?
কর্মচারীঃ লিয়াকত সাহেবই সব নিয়ে গেছেন।
এমন সময় মালিকের মুখ কালো হয়ে গেল।কপাল দিয়ে ঘাম ছুটতে লাগলো।
কর্মচারী ভয় পেয়ে জিজ্ঞাস করল- হুজুর আপনার কি শরীর খারাপ লাগছে?
মালিকঃ না, লিয়াকত সাহেবের বাসায় আজ আমার সপরিবারে দাওয়াত আছে।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথোপকথন--
স্বামী: পাশের ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে একটু চিনি নিয়ে এসো তো?
স্ত্রী: ওরা আমাদের চিনি দেবে না।
স্বামী: ওরা তো খুব কঞ্জুস!
স্ত্রী: ওদের কিপ্টেমির কথা আর বোলো না।
স্বামী: তাহলে আর কী করা; আমাদের আলমারি থেকেই চিনি বের করে চা করে নিয়ে এসো যাও।
কষ্ট করে আলমারি থেকে চিনি বের করার কি দরকার ছিল। চা না খেলেই হয়ে যেত। সাথে চা পাতাও বেঁচে দিত। 😅😅
স্বামী এবং স্ত্রী খেতে বসেছে।
স্বামী বলছে ওগো খাওয়ার আগে দু গ্লাস পানি দাও। এবার পানি খাওয়ার পর বললো পানি খেলে খাবারের উপর চাপ কমবে।
এবার স্ত্রী স্বামীকে শুধু ভাত আর লবণ দিলো। স্বামী অবাক তরকারি কই গো?
স্ত্রী বললো অল্প করে রান্না করলাম, ভাবলাম তুমি খাও কি না তাই আমি খেয়ে ফেলেছি। তোমার জন্য ভাত রাখলাম শুধু। কি বলো খরচ বাঁচিয়ে দিলাম তো 🥰
স্বামী লবণ দিয়ে ভাত মাখিয়ে খেয়ে উঠে গেলো 😂 মনে মনে বললো বউ আমার বুদ্ধিমতি, খরচ বাঁচিয়ে দিয়েছে।
ভাই ভাবি এমন খরচ বাচায় নাকি,তাই বলেন😜😜 আর না হলে ভাবিকে বুদ্ধি টা দিতে হবে🤣🤣
হা হা 😄
ব্যাপারটা বেশ মজার।
কিপ্টামি নিয়ে আমার বন্ধুর এক মজার গল্প শেয়ার করছি-
ঘটনাটা একেবারেই সত্যি একটি ঘটনা । আমার এক বন্ধুর নাম হচ্ছে সৌরভ। সে এতটাই কিপটে কলেজে থাকাকালীন সময়ে কাউকে কোন কিছু খাওয়াতো না, সবসময় বলতো তার পকেটে টাকা নেই। একদিন কলেজের টিফিন পিরিয়ডে আমরা সবাই ক্যান্টিনে খেতে গেছিলাম, সেই দিন আমরা অন্যান্য বন্ধুরা মিলে প্লান করেছিলাম আজ আমরা সবাই মিলে সৌরভের কাছ থেকে টাকা নিয়ে খাব । সবাই মিলে ক্যান্টিনে যাওয়ার পর সৌরভকে বললাম আমাদের আজ খাওয়া, তখন সে বলল টাকা নেই! তারপর আমরা সব বন্ধুরা সৌরভের হাত ,পা চেপে ধরে সৌরভের পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করলাম। মানিব্যাগ বের করে আমরা তো অবাক !মানিব্যাগের রীতিমতো ২০০০ টাকার উপরে ছিল কিন্তু আমাদের সব সময় সে বলতো তার কাছে টাকা নেই। তারপর তার কাছ থেকে সেদিন টাকা নিয়ে আমরা চার বন্ধু প্রায় ৪০০ টাকা খরচ করেছিলাম। এটা আমাদের জন্য বেশ আনন্দের বিষয় ছিল কিপটে বন্ধুর টাকা খরচ করতে পেরে।
কি সাংঘাতিক বন্ধু আপনারা🤣🤣,আসলে এমন মাঝে মাঝে করা উচিত। হা হা
সবাই এত মজার মজার জোকস শেয়ার করতেছে যা দেখে আমি হাঁসি চেপে রাখতে পারতেছি না। তারপরও আমি হাঁসি না যদি খিদা লেগে যায়,হি হি হি।😂😂😂
যতই চাপাচাপি করো আমি হাঁসবো না।🤪🤪🤪
বেশি হাসাহাসি করার দরকার নেই ভাইয়া। তাহলে আবার খিদা লেগে যাবে। খাবারের খরচ কমাতে হবে।😅😅
১ম ভায়রা : বুঝলেন ভায়রা ভাই , আমি কঞ্জুস না। আমি শ্বশুরবাড়িতে টেক্সি করে এসেছি।
২য় ভায়রা : ওরে বাহ! তা টেক্সি ভাড়ায় কত হয়েছিলো?
১ম ভায়রা : ক্যামনে কমু? ভাড়া তো শ্বশুর আব্বা দিয়েছে!🤣🤣🤣
শ্বশুরবাড়ি টেক্সি করে না আসলে সে কঞ্জুস হয়, এই কথা জীবনে প্রথমবার শুনলাম।😰
শ্বশুরবাড়ি টেক্সি করে আসলে কঞ্জুস হয় না ,কিন্তু ভাব মারে সে বড়লোক ,কিন্তু বিল দেয় শ্বশুর 🤣🤣,বুঝা যাচ্ছে আপনি বড় হলে এমন জামাই হবেন 😜😜
আমার নিজেরই গাড়ি আছে(মানে আমার বাবার🤣)। সুতরাং এই রকম হওয়ার কোনো চান্স নেই।
তাহলে তেলের টাকাটা নিবেন, আর কি। 😜😜
ধরে ফেলেছেন দেখছি ব্যাপারটা। কলকাতাতে মধ্যবিত্ত পরিবারের গাড়ি থাকাটা একদমই স্বাভাবিক, কিন্তু তেলের টাকা ম্যানেজ করা খুব কষ্টের। 🤣
প্রথম বন্ধুঃ কিরে আজকে না তোর বার্থডে! কিছু খাওয়াবি না!
দ্বিতীয় বন্ধুঃ কি খাবি বল?
প্রথম বন্ধুঃ চল, আজকে বিরিয়ানী খাই!
দ্বিতীয় বন্ধুঃ আচ্ছা! বাড়ি থেকে মানিব্যাগটা নিয়ে আসি!
বন্ধু গেল তো গেল আর খবর নেই