আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -৩২
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
লিচু নিয়ে মজার কোন কৌতুক বা হাসির অনু গল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
| আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
|---|





লিচু নিয়ে মজার ঘটনা বলতে লিচু চোর ধরার একটি মজার ঘটনা রয়েছে। তখন আমার বয়স মোটামুটি ১৩ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। তখন আমি গ্রামে থাকি। আমাদের বাড়ির একটু সামনেই ছিল আমাদের বড় লিচু গাছ। সেই বছর ব্যাপক পরিমাণে লিচুর ফলনও হয়েছিল আমাদের গাছে । যা বিশেষ করে চোরদের নজর কেড়ে নিয়েছিল। ঘটনাটি রাত তিনটার দিকের। হঠাৎ করেই আমার ঘুম ভেঙে গেছিল। ঘুম ভাঙ্গার পরে ই আমি শুনতে পাই গাছের পাতার শব্দ। মনে হচ্ছিলো কারা যেন গাছ ঝাকাচ্ছে। আমি তাড়াতাড়ি করে আমার ঠাকুর দাদাকে ওঠাই কারণ আমি ঠাকুরদার পাশেই ঘুমিয়ে ছিলাম । ঠাকুর দাদা উঠেই বুঝতে পারে চোর এসেছে লিচু চুরি করতে । আমরা তখন মাত্র দু মিনিটের মধ্যেই লাইট, লাঠি নিয়ে গাছের নিচে চলে যায় । গিয়ে দেখি দুটি লোক গাছের মাথায় বসে আছে ব্যাগ ভর্তি লিচু নিয়ে। আমাদের চেঁচামেচি শুনে আশেপাশের লোকজনও জড়ো হয়ে গেছিল। তারপর সেই লোক দুটোকে গাছ থেকে নামিয়ে আমরা লিচু গাছের সাথে বেঁধে রাখি চুরি করার অপরাধে। ভোর পর্যন্ত আমরা ওই লিচু গাছের আশেপাশেই ছিলাম। পরে ভোর হলে আমরা বেঁধে রাখা দুজনকে ছেড়ে দিই এবং এসব কাজকর্ম করতে নিষেধ করি।
বল্টু একবার এক গৃহস্থের বাড়ি লিচু চুরি করতে গিয়ে ধরা খেল।
পুলিশ: কিরে বল্টু, তোকে না সেদিন ছেড়ে দিলাম আর তুই প্রমিস করলি জীবনে আর চুরি করবিনা।
বল্টু: আমার কোন দোষ নেই স্যার, সব দোষ কবি সাহিত্যিকদের।
পুলিশ: মানে....! খুলে বল তো ব্যাপারটা।
বল্টু: সেদিন লিচু চুরি করে নিয়ে যাবার পথে একটা ছেলেকে দেখলাম পড়ছে।
পুলিশ: তো, সমস্যা কি....?
বল্টু: না মানে, পড়ছে যে একবার না পারিলে দেখ শতবার। তাই একবার ধরা খেয়েছি তাতে কি হয়েছে... শতবার চেষ্টা করবো।
হা হা হা,, খুব মজা পেলাম লাস্ট লাইনটা পড়ে।
ওটা পড়ে আমারও হাসি পাচ্ছিল। হা হা হা.... এরপর যদি চুরি করতে গিয়ে কেউ আমাকে ধরে তাহলে এরকম উত্তর দিয়ে দেবো।😂
লাঠির বাড়ি নীচে পড়বে না হয়তো একটাও। 😂
লিচু লিচু লিচু,
নিয়েছি তোমার পিছু।
এজীবনে ছাড়ছি না আর
কোনোদিন তোমার পিছু।
তোমায় দেখে জিভে আসে জল,
তোমার কাছে হার মানে সব ফল।
তুমিই সেরা, তুমিই প্রিয়,
স্বাদে তুমি অতুলনীয়।
ওরে বাবা রে। লিচু নিয়েও কবিতা লিখে ফেলেছ.....? হা হা হা... বেশ সুন্দর হয়েছে।
হ্যাঁ লিচু সত্যিই আমার অনেক প্রিয় ,তাই তাকে নিয়ে কবিতা না লিখে পারলাম না , হি হি হি।অনেক ধন্যবাদ, কবিতাটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
একবার এক ভদ্রলোক লোকাল ট্রেনে চেপে এক আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছেন।
ঘন্টা তিনেকের রাস্তা বলে সাথে নিয়ে আসা একটি বই খুলে বসেছেন।
অল্প সময় পরেই ট্রেনের কামরায় ১৮ - ২০ বছর বয়সী কয়েকটি ছেলে উঠলো এবং যথারীতি উচ্চস্বরে গল্পগুজব করতে শুরু করে দিল।
যার ফলে ভদ্রলোক কিছুতেই বইতে মনোনিবেশ করতে পারছিলেন না।
দু একবার মুখ দিয়ে বিরক্তিসূচক শব্দ বের করেও কোনো লাভ হল না।
শেষে ভদ্রলোক এক ফন্দি আঁটলেন। মুচকি হাসি শেষে বললেন, ওহে ছোকরারা, তোমরা কি একটা ধাঁধার উত্তর দিতে পারবে?
সবাই একসঙ্গে বলল, হ্যাঁ হ্যাঁ বলুন, নিশ্চয়ই পারব।
ভদ্রলোক তখন বললেন, "একবার পাঁচটা হনুমানকে একডজন লেচু দিয়ে বলা হলো সমান ভাগে ভাগ করে নিতে। কিন্তু শর্ত একটাই, কোনো লিচুকে কাটা বা বিকৃত করা যাবে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে হনুমানগুলো একডজন লিচু কিভাবে সমান ভাগে ভাগ করল?"
ছেলেরা এবারে ফিসফাস করে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে শুরু করল। দু একজন তো রীতিমতো খাতা পেন বের করে বিভিন্ন রকমের ফর্মূলায় অঙ্ক কষা শুরু করে দিল।
এদিকে ভদ্রলোক নিশ্চিন্তে বই পড়তে লাগলেন। ঘন্টাখানেক পরে নিজের স্টেশন এসে যাওয়াতে ভদ্রলোক বই ব্যাগে ঢুকিয়ে সিট ছেড়ে উঠে পড়লেন।
নামার আগে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ভদ্রলোক জানতে চাইলেন, "কি হে ছোকরারা, পারলে উত্তরটা?"
ছেলেরা সমস্বরে বলে উঠলো, "না কাকু পারিনি। কি হবে উত্তরটা?"
ততক্ষণে ভদ্রলোক ট্রেন থেকে নেমে পড়েছেন। পিছন ফিরে বললেন, "হনুমানগুলোও পারেনি।"
অনু গল্প:
একদিন দুই বন্ধু লিচু চুরি করবে বলে ভাবলো তারা দুইটা বস্তা নিয়ে লিচু চুরি করে ভাগাভাগি করার জন্য জায়গা খুঁজছিল। হঠাৎ তারা একটি কবর স্থান দেখতে পেল তখন কবরস্থানের পাঁচিল বেয়ে ভিতরে যাওয়ার সময় দুইটা লিচু পাঁচিলের পাশে পড়ে গেল। এবং তারা ভিতরে গিয়ে লিচু ভাগাভগি করতে লাগলো এমন সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিল একটা মাতাল তখন শুনতে পেল কবরস্থানের ভিতরে কারা কথা বলছে। সে জোরে জোরে দৌড়ে যেতে লাগলো। রাস্তায় দেখা হলো এক পুলিশের সাথে বলল কিরে তুই দৌড়াচ্ছিস কেন? তখন মাতাল পুলিশকে বলল ভাইয়া, কবরের দিকে যেও না ঐখানে কবরস্থানে না লাশ ভাগাভাগি চলছে বলছে একটা আমার একটা তোমার, একটা আমার একটা তোমার” পুলিশ বলল চলতো গিয়ে দেখি। তখন তারা পাচিলের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো শুনতে পেল একটা আমার একটা তোমার।। সব লিচু ভাগের পর যে দুইটা পড়েছিল পাচিলের পাশে তখন একজন বলল পাঁচিলের এর পাশে যে দুইটা আছে ওই দুইটা কি কোরবি তখন তারা অজ্ঞান।।
শ্রেণিকক্ষে ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করছে শিক্ষক-
শিক্ষক : বলো তো হাবলু, লিচু বা যে কোনো ফল উপরের দিকে না গিয়ে নিচে পড়ে কেন?
হাবলু : উপরে খাওয়ার লোক নেই তাই।
দাদা সাদিয়াকে বলতেছে তোকে এত গুলো ছেলে দেখালাম কাউকে পছন্দ হলো না,এই কালো হ্যাংলা ছেলেকে পছন্দ করলি কিভাবে..? সাদিয়া বললো তাদের বাড়িতে লিচু গাছ আছে। লিচু গাছ দেখে তার প্রেমে পড়ে গেছি,হা হা,হা।😂😂😂
আগে জানলে বাড়িতে লিচু গাছের বাগান করে ফেলতাম,হি হি হি।