এবিবি ফান প্রশ্ন- ২১৮ | "বিদ্যা অনন্ত, জীবন সংক্ষিপ্ত, আপনাদের কি মনে হয়?
আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- এবিবি-ফান এ সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি উদ্যোগ, শুধুমাত্র ভিন্নভাবে কিছু বিষয় নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্যই করা হয়েছে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে অবশ্যই যারা নিয়মগুলো মেনে এই উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত হতে হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতিদিন একটি প্রশ্ন শেয়ার করা হবে, বাস্তব বিষয় নিয়ে যা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের চারপাশে দেখে থাকি। তারপর সে প্রশ্নের উত্তরটি একটু ভিন্নভাবে দিতে হবে। আমরা প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানতে আগ্রহী নই কিংবা সঠিক উত্তরটি জানতে চাই না। বরং প্রশ্নটির ভিন্ন ধরনের এবং মজার কিছু উত্তর জানতে চাই। সুতরাং যে প্রশ্ন করা হবে, সেই প্রশ্ন সম্পর্কে আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি, সৃজনশীলতা এবং মজার চিন্তা ভাবনা জানাতে হবে, যার ক্রিয়েটিভিটি যত বেশী আকর্ষণীয় ও মজার হবে, সে বিজয়ী হওয়ার ততো বেশী সম্ভাবনা তৈরী করতে পারবে। যেমন, প্রশ্ন করা হলো আকাশের রং কেন নীল? উত্তরগুলো এই রকম হতে পারে, আকাশের বউয়ের মন খারাপ, আকাশের বান্ধবীর পছন্দের রং নীল, এই রকম মজার মজার নানা ধরনের উত্তর দিতে পারবেন আপনারা। আশা করছি সকলের অংশগ্রহণে উদ্যোগটি সফলতা পাবে।
আজকের প্রশ্নঃ
"বিদ্যা অনন্ত, জীবন সংক্ষিপ্ত"
প্রশ্নকারীঃ
প্রশ্নকারীর অভিমতঃ
আপনাদের মতামত জানতে চাই।
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
- অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
- উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই উপরের কবিতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে।
- এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
বিদ্যা অনন্ত এবং জীবন সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণ হলো, বিদ্যার মধ্য দিয়ে জীবনকে অনন্ত করতে হবে। মানুষ যেহেতু সারা জীবন বাঁচবে না। তাই সুবিদ্যার মধ্য দিয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই।
আমিও তাই মনে করি। একজন প্রকৃত বিদ্ধান ব্যাক্তি কখনো মারা যায় না, সে বেঁচে থাকে কোটি মানুষের হৃদয়ে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া একজন প্রকৃত বিদ্বান ব্যক্তি সবার মনে বেঁচে থাকে। কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে সে বেঁচে থাকে।
অসাধারণ একটি কথা দাদা খুবই ভালো লেগেছে। এই কথাটির অভিমত আমাদের থেকে আপনি জানার জন্য ধন্যবাদ। আসলে জ্ঞান এমন একটি জিনিস যা কখনো এই ছোট জীবন থেকে নিয়ে শেষ করা যাবেনা। যত বেশি শিক্ষা অর্জন করা যায় তত বেশি আমাদের নিজেদের লাভ। জীবন থেকে আমরা প্রতিনিয়ত শিখতেছি। যতদিন বাঁচবো ততদিন শিক্ষার কোন শেষ নেই। সত্যি কথা বলতে জীবনটা যদিও সংক্ষিপ্ত কিন্তু আমরা জীবন চলার পথে প্রতিনিয়ত বিদ্যা অর্জন করতেছি। সুতরাং আমি বলবো মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিদ্যা অর্জন শেষ নেই। আপনার কথাটির যথার্থতা হচ্ছে জীবন ছোট হলেও বিদ্যা অর্জনের শেষ নেই । ভালো লেগেছে দাদা আপনার এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদেরকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই আমরা সবাই শিক্ষা গ্রহণ করি। সত্যি আপু আমরা যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন কোনো না কোনোভাবে শিক্ষা গ্রহণ করবো।
এই নিয়ে আমার কিছু বলার আছে দাদা। এই বিদ্যা এতটাই অনন্ত... জন্মের পর থেকে শুধু বিদ্যা অর্জন করেই যাচ্ছি তা শেষ আর হচ্ছে না। এক কথায় এই বিদ্যা অর্জনের প্রসেসে গিয়ে বিপদে পড়ে গেছে। এক দিক দিয়ে এই জীবন সংক্ষিপ্ত হয়ে ভালো হয়েছে দাদা। এই যন্ত্রণা বেশি সময় ভোগ করার থেকে কম সময় ভোগ করা ঠিক আছে।
শেষ হবেও না ভাই। আজীবন ভোগ করতে থাকো।
বিদ্যা অনন্ত বলেই তো অনেকে একের পর এক ডিগ্রী অর্জন করতে করতে চুল দাড়ি সব পাকিয়ে ফেলছে 🤣। জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ হচ্ছে আমাদের টাকলু মুরাদ কাক্কু। বিদ্যা অর্জন করতে করতে মাথার চুলগুলো সব পড়ে গিয়েছে 🤣🤣।
হাঃ হাঃ মজা পেলাম।
সহজ কথায় বলতে গেলে,, বিদ্যার মৃত্যু নেই আজীবন মানুষের মাথায় চেপে জ্ঞান ভান্ডার হয়ে গিজগিজ করে বসেই থাকে।তারপর মাথা থেকে সেই জ্ঞান সমুদ্র বের হয়ে নামের সঙ্গে মেশে।তাই জীবন যখন পৃথিবী ছেড়ে ফুড়ুৎ করে চলে যায় তখন ঐ বিদ্যা বা জ্ঞান সমুদ্র দ্বারা অর্জিত কর্ম নামের সঙ্গেই জুড়ে থাকে অনন্তকাল ধরে।শুধু মানুষের জীবনটাই থাকে না।তাই "বিদ্যা অনন্ত, জীবন সংক্ষিপ্ত"।
বেশ সুন্দর একটি বাক্য। কিন্তু আশ্চর্য্য হলাম যে এর উত্তর আপনার জানা নেই পড়ে। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে কি মনে হয় জানেন দাদা? দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত আমাদের কে শুধু শিক্ষা গ্রহণ করেই যেতে হয়। সেই যে কবে মায়ের পেট হতে পৃথিবীর আলোতে এসে শুধু শিখছি আর শিখছি। কাউকে আর শেখাতে পারি না। নিজেকেই শুধু শিখে যেতে হচেছ। কারন শিক্ষার কোন বয়স, সময় ধর্ম গ্রন্থ কিছুই নেই। যখন যেখানেই যাই না কেন, সব যেন বিদ্যাপিঠে পরিনত হয়ে যায়। কিন্তু জীবন কে দেখুন জীবনের তো কোন ঠিক নেই । যেমন খুশি তেমন সাজো। মানে আপনি যে ভাবে পরিচালনা করবেন সে ভাবেই চলবে।আবার কখন যে ধপাস করে চলে যাবে তারও কোন ঠিক নেই। তাই তো আমার মনে হয় বিদ্যা অনন্ত, জীবন ক্ষণস্থায়ী।
মাঝে মাঝে অন্যের কাছে উত্তর জানতে চাওয়ার মাধ্যমে আলাদা রকমের জ্ঞান অর্জন করা যায় আপু। তাইতো দাদা এই উত্তর জানতে চেয়েছেন।
এই বিদ্যার জন্যই তো জীবনটা সংক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পড়তে পড়তে মাথা হয়ে যায় স্টেডিয়াম,বিদ্যার অর্জন করেও বিয়ে করতে গেলে বলে টাকলা জামাই, টাকলা আঙ্কেল। বিদ্যাটা কেউ দেখে না টাকলা মাথাটাই সবাই দেখে হে হে হে। 🤣🤣🤣
মানুষ মরণশীল,অন্যদিকে বিদ্যা তো অমর।বিদ্যার মৃত্যু নেই।মানুষ মরে গেলেই শেষ হয়ে যায়,তবে বিদ্যা আজীবন রয়ে যায় পৃথিবীতে।তাই বলা হয়েছে বিদ্যা অনন্ত জীবন সংক্ষিপ্ত।
আসলে দাদা এই নিয়ে আমার কিছু বলার আছে। আমরা যদি বিদ্যা গ্রহণ করি এবং জীবন অল্প দিনে মৃত্যুবরণ করি তাহলে সেই বিদ্যা আমাদের কোন কাজে লাগবে না তাই আমি মনে করি বিদ্যার থেকেও জীবন অনেক বেশি জরুরী।