এবিবি-ফান প্রশ্ন ১৭৫ | ব্লগিং করে প্রথম ইনকামের টাকা দিয়ে আপনি কি করে ছিলেন?
আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- এবিবি-ফান এ সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি উদ্যোগ, শুধুমাত্র ভিন্নভাবে কিছু বিষয় নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্যই করা হয়েছে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে অবশ্যই যারা নিয়মগুলো মেনে এই উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত হতে হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতিদিন একটি প্রশ্ন শেয়ার করা হবে, বাস্তব বিষয় নিয়ে যা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের চারপাশে দেখে থাকি। তারপর সে প্রশ্নের উত্তরটি একটু ভিন্নভাবে দিতে হবে। আমরা প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানতে আগ্রহী নই কিংবা সঠিক উত্তরটি জানতে চাই না। বরং প্রশ্নটির ভিন্ন ধরনের এবং মজার কিছু উত্তর জানতে চাই। সুতরাং যে প্রশ্ন করা হবে, সেই প্রশ্ন সম্পর্কে আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি, সৃজনশীলতা এবং মজার চিন্তা ভাবনা জানাতে হবে, যার ক্রিয়েটিভিটি যত বেশী আকর্ষণীয় ও মজার হবে, সে বিজয়ী হওয়ার ততো বেশী সম্ভাবনা তৈরী করতে পারবে। যেমন, প্রশ্ন করা হলো আকাশের রং কেন নীল? উত্তরগুলো এই রকম হতে পারে, আকাশের বউয়ের মন খারাপ, আকাশের বান্ধবীর পছন্দের রং নীল, এই রকম মজার মজার নানা ধরনের উত্তর দিতে পারবেন আপনারা। আশা করছি সকলের অংশগ্রহণে উদ্যোগটি সফলতা পাবে।
আজকের প্রশ্নঃ
ব্লগিং করে প্রথম ইনকামের টাকা দিয়ে আপনি কি করে ছিলেন?
প্রশ্নকারীঃ
প্রশ্নকারীর অভিমতঃ
আপনাদের সঠিক মতামত সহজ কথায় জানতে চাই।
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- উত্তর বা কমেন্টটি এডিট করা যাবে না।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
- অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
- উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই মজার হতে হবে।
- এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
তখন তো ভোট পেতাম কম। অল্প অল্প করে জুমিয়ে ছিলাম ৩ এস বি ডি ।পরিকল্পনা অনুযায়ী এই টাকা উইড্রো করে নেহারি খাবার প্লান ছিল আমি এবং আমার বন্ধুর। সন্ধ্যার সময় যাবার কথা ছিল কিন্তু বিকেলবেলা আমার আরেক বন্ধু ফোন করে বললো চারটা এতিম বাচ্চার জন্য ঈদের ড্রেস কিনতে হবে। কিন্তু তার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা নেই। আমাকে কিছু শেয়ার নিতে বলে। তো ওর কথা মতো আমি সবগুলো টাকা ওদের ড্রেস কেনার জন্য দিয়ে দিই। পরবর্তীতে আমার বন্ধু আমার এই কথা শুনে আমাকে নিয়ে তৃপ্তি সহকারে নেহারি খাওয়ায়। তবে আমি খুব খুশি হয়েছিলাম যে, আমার প্রথম স্টিমের ইনকামের টাকা দিয়ে কারোর মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি।♥️♥️♥️
সময়টা ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে গ্রামে যাওয়া হলেও সেবার হাতে টাকা ছিলোনা। স্টিমিটে আমি নতুন তখন। ৪ এসবিডি জমেছিলো। অনেক গবেষনা করে সে এসবিডিকে লাইট কয়েন বানালাম। আমার মনে পড়ে ৩৬ ডলার হয়েছিলো। প্রতি ডলার ৮৮ টাকা করে বিক্রি করতে পেরেছিলাম বন্ধুর মাধ্যমে। ৩১৬০ টাকার মতন পেয়েছিলাম আমি। ব্যাস। চলে গেলাম গ্রামে। ইচ্ছা মতন খরচ করেছিলাম। ঘুরেছিলাম গ্রামের অনেক যায়গায়। সত্যি সে স্মৃতি গুলো মনে পরলে এখন চোখে পানি এসে যায়। আর সেটি ছিলো আমার ব্লগিং এর প্রথম ইনকাম।
প্রথম আম্মাকে জানিয়েছিলাম যে টাকা পেয়েছি। আম্মা তো কখনো বিশ্বাস করতো না। সারাদিন ফোন নিয়ে গুতাগুতি! কতো বকা যে খেতে হলো। তারপর যখন আম্মার হাতে জীবনের প্রথমবার ব্লগিং এর টাকা দিলাম। আম্মা ভীষণ খুশি হয়েছিল। ছোট করে একটা হাসি দিয়েছিল। আর সেই হাসিটাই যেন আমাকে ব্লগিং করতে আরও উৎসাহিত করে।
ব্লগিং করে প্রথম ইনকামের টাকা দিয়ে বাবাকে একটি হটপট কিনে দিয়েছিলাম। বাবা অফিসের নিয়মিত খাবার নিয়ে যায় । সকালে নিয়ে যাওয়া খাবার দুপুর পর্যন্ত গরম রাখার জন্য ভালো একটা হটপটের প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া আমার বাবার নতুন নতুন হটপটের বেশ শখ সেইজন্যে প্রথম ইনকামের টাকা দিয়ে বাবাকে হটপট কিনে দিয়েছিলাম ভালো দেখে একটা। এছাড়াও আরো কিছু টাকা দিয়ে সংসারে কিছু জিনিসপত্র কিনেছিলাম , যেটা মায়ের রান্না ঘরের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল।
ব্লগিং করে প্রথম ইনকামের টাকা আমি আমার পরিবারকে দিয়েছিলাম।আর কিছু টাকা দিয়ে কয়েক পদের দামি মাছ কিনেও খেয়েছিলাম।কারন খাওয়াটা তো আগে তাইনা☺️☺️।কিন্তু ভবিষ্যতে আমি আমার পরিবারের সবাইকে গিফট দিতে চাই।
যারা বলেছিল এই প্লাটফর্মে ইনকাম করা সম্ভব না, বা ইনকাম করলেও সেগুলো উঠানো যাবে না। প্রথম ইনকামের টাকা তাদেরকে পাঠিয়ে বিশ্বাস করিয়েছি যে এই প্লাটফর্ম থেকে টাকা উঠানো যায়।
ব্লগিং করে প্রথম ইনকামের টাকা দিয়ে ঘরের জন্য একটা সিলিং ফ্যান কিনেছিলাম।
ব্লগের প্রথম টাকা দিয়ে গার্লফ্রেন্ড এর জন্য একটা ঘড়ি কিনেছিলাম।কিন্তু ঘড়িটা এখুন দেওয়া হয়নি,মনে হয় যদি ফাঁকি দিয়ে চলে যায় তাই আমার ব্লগিং এর প্রথম টাকাটা মূল্য থাকবে না।তাই নিজের কাছে রেখে দিয়েছি বউকে দেবো বলে।।
শিপুর নাকি ফোন লাগবে
ব্লগিং করার জন্য,
তাই তাঁকে ফোন কিনে দেই
হয়ে যাই ধন্য।
ব্লগিং এর প্রথম টাকায়
দিলাম কিনে,ফোন
খুশিতে ভরে উঠে্ছে
শিপু বাবার মন।
মানবতার জন্য কিছু
করেছিলাম দান,
অসহায়দের জন্য মনে
অন্যরকম টান।
মসজিদেও দিয়েছিলাম
অল্প কিছু টাকা,
এমনি করে খরচ করে
হয়েছিলাম ফাঁকা।
♥♥
মারহাবা মারহাবা 🙏🙏
দারুন হয়েছে।
ধন্য আমি
♥♥
অসাধারণ হয়েছে আন্টি।
ধন্যবাদ♥♥