"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল - রাউন্ড # ২৯৬ [ তারিখ : ০৫-০৫-২০২৪]
বিগত ০২ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ আজকের ফিচারড আর্টিকেল চালু করা হয়। এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "আজকের ফিচারড আর্টিকেল" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল : আমার বাংলা ব্লগে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে । অলটাইম এভারেজ ১৭০ জন রাইটার এক্টিভলি আর্টিকেল লিখে চলেছেন প্রতিদিন । এত এত আর্টিকেলের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রত্যহ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে একটি আর্টিকেলকে আলাদা করে পাবলিশ করা হবে আমাদের কমিউনিটির নতুন একটি একাউন্টে । যেহেতু, হুবহু অন্যদের আর্টিকেল স্টিমিটে আলাদা অন্য আর একটি একাউন্টে পাবলিশ করার নিয়ম নেই তাই আমরা ফিচারড আর্টিকেলের কিছু অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট করবো । সেই সাথে থাকবে সেই সকল ফিচারড আর্টিকেলের রাইটারদের নাম, আর্টিকেলের নাম ও আর্টিকেল পোস্টের লিংক । এডিশনালি আমরা ছোট্ট একটা পিডিএফ পাবলিশ করবো প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবারে । এই পিডিএফ -এ থাকবে বিগত এক মাসের সবগুলি ফিচারড আর্টিকেল ।
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার - @shyamshundor
অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
অথরের নাম - বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে উনার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো উনার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করেন আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।সে সাথে উনার লেখার হাতটাও দারুণ।স্টিমিট প্লাটফর্ম এ জয়েন করেছেন ২০২২ সালের জুন মাসে।বর্তমানে স্টিমিট জার্নির বয়স প্রায় ২ বছর চলমান।
এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি :
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল :
জেনারেল রাইটিং- রুদ্ধশ্বাস দুই দিন-২... @shyamshundor (04.05.2024)
আজকের এবিবি ফিচার্ড পোস্ট হিসেবে এই পোস্টটি বাছাই করার বিশেষ একটি কারণ রয়েছে। পুরো পোস্টটি পড়লে ব্যাপারটি বুঝতে পারবেন আশা করি।
পৃথিবীতে যে এখনো ভালো মানুষ বেঁচে রয়েছে উনার এই পোস্টটি পড়লে বোঝা যায়। আসলে উনার পোস্টটি যখন পড়ছিলাম তখন আমার শরীর শিউরে উঠছিলো। উনার এই পোস্টটি দুইটি পর্ব আকারে লেখা হয়েছিলো। আমার চোখে শেষের পোস্টটি পরেছিলো। তো আমি শেষের পোস্টটি পড়ার পরে খুব একটা বুঝতে পারিনি ব্যাপারটা কি। তাই আমি প্রথম পোস্টটি ও পড়লাম। এরপরে আসলে বুঝতে পারলাম যে ব্যাপারটা সামান্য কিছু নয়, খুবই ভয়ংকর একটি ব্যাপার। কারণ একজন প্রতিবন্ধী যতোই সাবলম্বী হোক না কেনো। হঠাৎ যদি ওরা কোনো কিছু ভুলে যায় কিংবা হঠাৎ যদি ওরা কোনো বিপদে পরে যায়। তখন তাদের ব্রেইন একটা সাধারণ মানুষের ব্রেইনের মতো কাজ করে না। যার কারণে তারা খুব দ্রুতই খুব সহজে যে কোনো বিপদে পরে যেতে পারে কিংবা হারিয়ে যায়। উনার মামাতো বোনের সাথেও ঠিক তেমনটাই হয়েছে।
অনেক মানসিক প্রতিবন্ধী রয়েছে যারা হয়তো নিজেদের কাজগুলো অনেক সময় নিজেরা খুব গুছিয়ে করতে পারে।কিংবা ছোটবেলা থেকে যেসব জায়গায় তারা সচরাচর গিয়ে থাকে, সেসব জায়গায় যাওয়া আসা করতে পারে। কিন্তু আসলে যেহেতু তারা একটু বিক্ষিপ্তভাবে সবকিছু চিন্তা করে এবং তাদের চিন্তাশক্তি এলোমেলো। তাই অনেক সময় তারা পরিচিত জায়গায় গিয়েও হারিয়ে যায়। আর এই মেয়েটির কাহিনীটাও একেবারে ঠিক তেমন।
তবে উনার মামাতো বোনকে যে পাওয়া গিয়েছে, এটাই সৃষ্টিকর্তার কাছে অশেষ রহমতের। কারণ এই কিছু কিছু ভালো মানুষদের যদি তারা মাঝপথে না পেতো। তাহলে তারা কখনোই মেয়েটিকে খুঁজে পেতো না। আর যেহেতু সে একজন মেয়ে মানুষ। তাই সবসময় যে সে ভালো মানুষের হাতে পরবে তাও নয়। কিন্তু উনার এই মামাতো বোনটি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে একটি ভালো পরিবারের হাতেই পরেছিলো।
আসলে যারা অবুঝ, তাদের উপর দিয়ে অনেক সময় সৃষ্টিকর্তা আশীর্বাদ থাকে। এটা একেবারেই অবাস্তব কিছু নয়। এটা যে বাস্তব এটা উনার এই কাহিনীটি পড়ে বুঝতে পেরেছি। আমি উনার পোস্টের টাইটেলটির সাথে আমিও একমত। পোস্টটি পড়ে অনেকটা আমার নিজেরই রুদ্ধশ্বাসকর পরিস্থিতি মনে হয়েছে। কারণ যে পরিবারের মানুষজন কোনো দুর্ঘটনাবশত এভাবে হারিয়ে যায়।উনারাই জানেন,পরিবারের মানুষের কি মূল্য।
এটাই স্বস্তির ব্যাপার যে, উনার মামাতো বোনকে পাওয়া গিয়েছে। আর এই পোস্টটি এবিবি ফিচার্ড পোস্ট হিসেবে মনোনীত করার একটাই কারণ। সেটা হচ্ছে, অবশ্যই এই ধরনের স্পেশাল চাইল্ডদের বিশেষ ভাবে যত্ন নিতে হবে। কারো বাসায় যদি এই ধরনের স্পেশাল চাইল্ড থেকে থাকে। তাহলে অবশ্যই তাদেরকে কোনোভাবেই একা ছাড়া যাবে না। তাদেরকে আজীবন ভালো রাখার দায়িত্ব কিন্তু পরিবারের সকল সুস্থ মানুষের। হয়তো অনেক মানসিক প্রতিবন্ধী মানুষেরা অল্প অল্প বুঝতে পারে অনেক কিছু। কিন্তু সবকিছু তারা বুঝতে পারে না। তাই তাদের অনেক বেশি এক্সট্রা কেয়ার এর দরকার রয়েছে। তাই তারা কোনো জায়গা চিনলেও, তাদেরকে একা ছাড়া যাবে না।
সর্বশেষ এটাই বলার যে, সৃষ্টিকর্তার অনেক অনেক রহমত যে উনারা মেয়েটিকে সুস্থ সকল ভাবে পরিবারের কাছে ফিরে পেয়েছেন।
ছবি গুলো @shyamshundor এর ব্লগ থেকে নেওয়া
উনার পোস্টের লেখনি খুব ই সুন্দর ছিলো।সে সাথে লেখার বানান, লেখার পরিমাণ, পোস্টের ধরন সবকিছুই খুব সুন্দর ছিলো।আশা করছি, ভবিষ্যতেও তিনি আমার বাংলা ব্লগের সাথে এই ধরনের পোস্ট শেয়ার করবেন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকবেন।
ধন্যবাদ আমার পোস্ট টিকে ফিচার করার জন্য। আপনি ঠিকই বলেছেন,ওরা যতই একটা কাজ স্বাভাবিক ভাবে করুক না কেন,তারপরেও তাদের একা ছাড়া ঠিক না। আমি চাই এটা সবার মাঝে একটা শিক্ষা হয়ে থাক।এই ভুল যেন আর কেউ না করে। অনেক বিপদ হতে পারত, কিন্তু ঈশ্বর সহায় জন্য ভাল কিছু মানুষ এর সাহায্যে আমরা তারাতারি ই খুজে পেয়েছি। আবারো ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা পোস্টটিকে ফিচার্ড পোস্ট হিসেবে বিবেচনার জন্য।
আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার হিসেবে @shyamshundor ভাইকে দেখে খুব ভালো লাগলো।আসলে এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিদিন একটি করে ফিচারড আর্টিকেল আমরা দেখতে পাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রতিদিন একটি করে ফিচারড আর্টিকেল আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
আজকের ফিচারড আর্টিকেল পোস্ট দেখে অনেক ভালো লেগেছে। এই পোস্ট আমি পড়েছিলাম। বাসায় যদি এরকম মানুষজন থাকে তাহলে সবাইকে আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত। একজন প্রতিবন্ধী মানুষ যখন হারিয়ে যায় তখন পরিবারের মানুষগুলোই জানে তারা কতটা কঠিন সময় পার করে। এই পরিস্থিতি বুঝতে পারছি। যাই হোক অবশেষে উনাকে ফিরে পাওয়া গিয়েছে এটা জেনে ভালো লাগলো।
আজকের ফিচার্ড আর্টিকেল হিসেবে শ্যামসুন্দর ভাইয়ের এই পোস্ট সিলেক্ট করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলেই স্পেশাল চাইল্ডের একটু বেশি কেয়ার করা উচিত বলে আমিও মনে করি। তাছাড়া প্রথম থেকে উনার মামাতো বোনের কথা শুনে খুবই খারাপ লেগেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত খুঁজে পেয়েছে শুনে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি পোস্ট সিলেক্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
ফিচারড আর্টিকেলে পোস্ট টি দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে প্রতিবন্ধী বাচ্চারা এমনিতেই অসহায়। তারা যদি বাসা থেকে হারিয়ে যায় তাহলেসেই পরিবারে কতটা অশান্তি বিরাজ করে শুধু সেই পরিবারে লোকজনই বুঝতে পারে।যাইহোক তারপরও বাচ্চাটিকে ফিরে পাওয়া গেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ পোস্টটি ফিচারড আর্টিকেলে মনোনীত করার জন্য ।