"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল - রাউন্ড #১৪[তারিখ : ১৭-০৭-২০২৩]
গত ০২ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ আজকের ফিচারড আর্টিকেল চালু করা হয়েছে। তেরো তম রাউন্ড শেষে আজ ১৭ মে ২০২৩ চৌদ্দ তম রাউন্ড এর আর্টিকেল পাবলিশ করা হবে। এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "আজকের ফিচারড আর্টিকেল" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল : আমার বাংলা ব্লগে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে । অলটাইম এভারেজ ১৭০ জন রাইটার এক্টিভলি আর্টিকেল লিখে চলেছেন প্রতিদিন । এত এত আর্টিকেলের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রত্যহ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে একটি আর্টিকেলকে আলাদা করে পাবলিশ করা হবে আমাদের কমিউনিটির নতুন একটি একাউন্টে । যেহেতু, হুবহু অন্যদের আর্টিকেল স্টিমিটে আলাদা অন্য আর একটি একাউন্টে পাবলিশ করার নিয়ম নেই তাই আমরা ফিচারড আর্টিকেলের কিছু অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট করবো । সেই সাথে থাকবে সেই সকল ফিচারড আর্টিকেলের রাইটারদের নাম, আর্টিকেলের নাম ও আর্টিকেল পোস্টের লিংক । এডিশনালি আমরা ছোট্ট একটা পিডিএফ পাবলিশ করবো প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবারে । এই পিডিএফ -এ থাকবে বিগত এক মাসের সবগুলি ফিচারড আর্টিকেল ।
অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
অথরের পুরো নাম: মোছা: মনীরা আক্তার মুন্নি। জাতীয়তা- বাংলাদেশী। শখ- রান্না করা, ফুল গাছ লাগানো, ফটোগ্রাফি করা, ছবি আঁকা ইত্যাদি । বিবাহিতা। শিক্ষাগত যোগ্যতা-মাস্টার্স ডিগ্রি কমপ্লিট। স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার-২০২১ সালের জুলাই মাসে স্টিমিটে জয়েন করেছিলেন এবং এখন মোট ব্লগিং ক্যারিয়ারের বয়স ২ বছর ৮ দিন।
এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি:
"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল:
জেনারেল রাইটিং-বন্যা দুর্গত মানুষ ও অসহায়ত্ব|| by monira999 ( Publish- 16.07.2023 )
মনিরা ম্যাডামের এই পোস্টটি পড়ে আমার সেই ২০০৯ সালের আয়লার ভয়াবহ দুর্যোগ আর বন্যার কথা মনে পড়ে গেলো। এই আয়লায় ভারত এবং বাংলাদেশের ব্যাপক পরিমানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এখনো এই দিনটি মনে পড়লে আঁতকে উঠি, সব থেকে শক্তিশালী এবং কঠিন সময় ছিল সবার জন্য, বিশেষ করে গ্রামের দিকে যারা নদীর আশেপাশে বসবাস করতো। এই বন্যায় যে কিভাবে কত মানুষ, বয়স্ক থেকে শুরু করে বাচ্চা সবাই স্রোতে ভেসে চলে গেছিলো এবং সেই সাথে কত গৃহপালিত পশু মরে ভেসে উঠেছিল ভাবলেই খারাপ লাগে, তাছাড়া প্রচুর মানুষ বে-ঘর হয়ে গিয়েছিলো । আর সব থেকে বড়ো কথা এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে মানুষ ক্ষুধা আর পিপাসায় ছটপট করতে করতে শেষ পর্যন্ত নদীর সেই নোংরা নোনা জল খেয়েও মারা গেছে। আসলে তাদের সামনে আরো কোনো উপায় ছিল না, কারণ বন্যায় সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে ঘরবাড়ি সহ। আমার এক ম্যাথ এর স্যারও সেই বন্যাপ্রবণ এলাকায় ছিল এবং তাদেরও একই অবস্থা হয়েছিল, তবে আমার এক দাদুর আবার আত্মীয় হয় তারা এবং তাদের পরের দিন আমাদের গ্রামের দিকে নিয়ে এসেছিলো।
নিজের চোখের সামনে এইসব দেখা বিষয়গুলো মনে পড়লে অনেক ভয় করে। বন্যা আসলে কত মানুষের জীবনে যে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে সেটা শুধু তারাই বুঝতে পারে যারা এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে এসেছে। প্রকৃতির মার আসলে ভয়ানক হয়ে থাকে, যেখানে এক নিমিষেই সব কিছু ধংস করে দিতে পারে। আসলে আমাদের এই পৃথিবীতে বেশির ভাগ অংশই জল, ফলে বন্যা হলে নদীর জল ফুলে ফেঁপে যদি ওঠে তাহলে সেটি কতদূর পর্যন্ত ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে যে একটা গোটা গ্রাম বা এলাকা দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যায়। যত বড়ই বাড়ি হোক না কেন আর একটা ছোট টিনের চালই হোক না কেন, ব্যাপারটা একই, কোনোটাই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কাছে টিকবে না। জলের দাপটে সবকিছুই ভেঙে গুড়িয়ে দিতে পারে। এইতো এখন আমাদের এখানে মানালি-তে একটি গ্রামের ভয়াবহ অবস্থা, গতকাল ইউটিউবে দেখছিলাম কিভাবে একটি গ্রাম দেখতে দেখতে ধংস হয়ে যাচ্ছে। নদীর পাশের সমস্ত কিছু ( ঘর, মন্দির, গাছ, রাস্তা )যেন জলের দাপটে ছিঁড়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে।
আর দেখতে দেখতে যেন জল ফুলে ফেঁপে আরো ভয়ানক আকার ধারণ করছে, আসলে মানালি-তে একটানা অনেকদিন একনাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে যার ফলে এই অবস্থা। আমি ভিডিওতে দেখে ভয় পেয়ে গেছি, তাহলে একবার ভাবুন যারা চোখের সামনে দেখছে বা এই পরিস্থিতে এখন আছে তাহলে তাদের কি অবস্থা হচ্ছে। সত্যি এইসব দেখলে আর ভাবলে খুবই খারাপ লাগে। যাইহোক, মনিরা ম্যাডামের এই আর্টিকেলটা আমার কাছে পড়ে ভালো লেগেছিলো এবং ওনাকে ধন্যবাদ জানাই আর্টিকেলটা লেখার জন্য।
বন্যা দুর্গত মানুষের কথা ভাবলেই হৃদয় কেঁদে ওঠে। কতই না কষ্টে দিন পার করছে তারা। নিজের অনুভূতি থেকে এই পোস্ট লেখার চেষ্টা করেছিলাম। আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। ফিচারড আর্টিকেল পোস্টে আমার এই পোস্ট নির্বাচিত হয়েছে দেখে অনেক খুশি হয়েছি।
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি মনিরা আপুর পোস্টটি ফিচার্ড আর্টিকেল হিসেবে বাছাই করার জন্য। আপু খুব ভালো মানের একজন ব্লগার। আপুর পোস্ট গুলো সবসময়ই দারুণ হয়। আসলেই বন্যা দুর্গত মানুষ খুবই অসহায়। তাদের প্রতিটি সেকেন্ড খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে কাটে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপুকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া বন্যা দুর্গত মানুষের অসহায়ত্ব দেখে ভীষণ খারাপ লাগে। তাই তো সেই বিষয়গুলো নিয়ে লিখার চেষ্টা করেছি। আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে জেনে সত্যিই খুশি হলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
আপুর প্রতিটি পোস্ট আমার বেশ ভালো লাগে। আপু কে আজ ফিচারড আর্টিকেলে দেখে বেশ মুগ্ধ হলাম। আশা করি আপু তার এ ধারা কে আগলে ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। শুভ কামনা রইল আপুর প্রতি। ধন্যবাদ দাদাকেও।
আমার প্রতিটি পোস্ট আপনার কাছে ভালো লাগে জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে চেষ্টা করি সব সময় নিজের কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য। আপনাদের ভালোবাসা আমাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপু।
এই পোস্ট আমি পড়েছিলাম সত্যিই বন্যা দুর্গত মানুষের জীবনের আর্তনাদ সত্যিই আপনাকে কাঁদাবে। যেটা আমি ছোট্টবেলা নিজ চোখে দেখতে পেয়েছি । নিজের অস্তিত্বটুকুও টিকে থাকে না নিজের বসবাসের জায়গা হারিয়ে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে ।তাছাড়া মনিরা আপু অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করে।
বন্যা দুর্গত মানুষের আর্তনাদ দেখলে সত্যিই খারাপ লাগে। শেষ অস্তিত্বটুকু হারিয়ে তারা দিশেহারা হয়ে যায়। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে থাকতে লড়াই করে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
প্রিয় মনিরা আপুর পোস্টটি ফিচার্ড আর্টিকেল হিসেবে দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগল। আপু একজন ভালো মানের সেরা ব্লগার। আপুর পোস্ট গুলো সবসময়ই দারুণ হয়। আসলেই বন্যা দুর্গত মানুষ খুবই অসহায়। তাদের প্রতিটি সেকেন্ড খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে কাটে। তাদের নিয়ে এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য প্রিয় আপুকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা।♥♥
মনিরা পড়ে পোস্ট আমি পড়েছিলাম উনি খুব সুন্দর ভাবে এই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছিলেন উনি তার মন থেকে লেখার চেষ্টা করেছিলেন এবং অনেক সুন্দর কিছু কথা উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছিলেন ভালো লেগেছিল তার এই অসাধারণ পোস্ট যা অনেক মানুষের জন্য উপকারী এবং সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি জাগ্রত করার মত আজ উনি এই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ফিচার্ট আর্টিকেল ব্লগার হিসেবে জয়ী হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।