FUN FACTS :: "ডলফিন সম্পর্কে এই অবাক করা তথ্যগুলো কি আপনি জানতেন ?"
Copyright Free Image - Source : Pixabay
ডলফিন । সামুদ্রিক এই জলজ প্রাণী সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বহু পুরোনো । সামুদ্রিক সব প্রাণীদের মধ্যে ডলফিন সব চাইতে বুদ্ধিমান এক প্রাণী যে কিনা মানুষের যুগ যুগ ধরে বন্ধু । কোনো এক অজানা কারণে এই বন্ধুত্ব । প্রাচীন যুগের জাহাজগুলো ছিল কাঠ নির্মিত । সামুদ্রিক ঝঞ্ঝায় এই সব জাহাজডুবি তো হরহামেশাই । তখন সমুদ্রের হিংস্র হাঙ্গরদের থেকে নাবিকদের রক্ষা করতে দলবেঁধে এগিয়ে আসতো ডলফিনেরা । জাহাজের নাবিকদের উদ্ধার না হওয়া অব্দি পাহারায় থাকতো তারা । এমনই অকৃত্রিম বন্ধুত্ব তাদের ।
সেই ডলফিন সম্পর্কেই কিছু অবাক করা তথ্য শেয়ার করবো আজ -
#০১ ডলফিন কিন্তু সারা দুনিয়াতে মানুষের পরেই সব চাইতে বুদ্ধিমান প্রাণী । এদের বুদ্ধিমত্তা শিম্পাঞ্জীর চাইতেও বেশি ।
#০২ একটা ডলফিন জল থেকে লাফ দিয়ে বাতাসে ভর করে ২০ ফিট অব্দি উঠতে পারে । অবাক করা লাফ ! তাই নয় কি ? ডলফিনরা তাদের শক্তিশালী লেজ আর পাখনার সাহায্যে এতটা উঁচু অব্দি লাফাতে পারে ।
#০৩ ডলফিনের পিঠের ওপর বেশ বড় একটা পাখনা দেখা যায় । এর নাম ডর্সাল ফিন । এই ফিন আমাদের আঙুলের ছাপের মতোই প্রতিটা ডলফিনের পিঠে ইউনিক প্যাটার্নের থাকে । একটা ডলফিনের ডর্সাল ফিনের সাথে দুনিয়ার আর কোনো ডলফিনের ডর্সাল ফিনের মিল নেই ।
#০৪ শুনে অবাক হবেন যে ডলফিনের কিন্তু দু' দুটো স্টমাক । ডলফিন মাছ খায় । ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ শিকার করে সঙ্গে সঙ্গে গিলে ফেলে এরা । এরপরে প্রথম স্টমাকে মাছগুলো আস্ত অবস্থায় জমিয়ে রাখে, এরপরে অবসর টাইমে সেখান থেকে দ্বিতীয় স্টমাকে নিয়ে ধীরে ধীরে হজম করে ফেলে ।
#০৫ আপনি কি জানেন যে সারা দুনিয়ার স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে ডলফিনরাই একমাত্র প্রাণী যারা বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় সবার আগে বাচ্চার লেজের দিক প্রসব করে, এরপরে ধীরে ধীরে মাথা অব্দি ।
#০৬ ডলফিনের মুখের ভেতর ধারালো দাঁতের সারি আছে, তা সত্ত্বেও কিন্তু এরা মাছ চিবিয়ে খেতে পারে না । এই দাঁত দিয়ে কামড়ে তারা শুধু মাছ শিকার করে, এরপরে গোটা মাছটাই কপ করে গিলে ফেলে ।
#০৭ প্রাচিন গ্রীসে ডলফিন হত্যা করার সর্বোচ্চ সাজা ছিল মৃত্যুদন্ড ।
#০৮ ডলফিন জলের মধ্যে কখনো সম্পূর্ণ ঘুমোয় না । অথচ, তারা তো স্তন্যপায়ী প্রাণী । মাছেদের না ঘুমোলেও চলে । কিন্তু স্তন্যপায়ী প্রাণীদের চলে না । না ঘুমোলে বাঁচবে কি করে ? আর ঘুমিয়ে পড়লে জলের কোনো হিংস্র প্রাণীর শিকার হতে পারে তারা । তা ছাড়া ডলফিন বাতাস থেকেই অক্সিজেন নিয়ে তাদের শ্বাসকার্য চালনা করে । ঘুমিয়ে পড়লে জলে ডুবে মরার সম্ভাবনা । এই জন্য তাদের ব্রেন অর্ধেক ঘুমায় আর বাকি অর্ধেক জেগে থাকে ।
#০৯ ডলফিন সম্পূর্ণ দলবদ্ধ সামাজিক জীব । একটা ডলফিন কখনোই একা একা জীবন কাটায় না । বাবা, মা, ভাই-বোন, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি নিয়ে তাদের সংসার । এছাড়াও ডলফিনের নিজস্ব ভাষা আছে । এমনকি এক একটা ডলফিনের নিজস্ব নামও আছে । এই নামকরণ পরিবার বা গোষ্ঠী থেকে করা হয় ।
#১০ প্রায় ১০-১২ লক্ষ বৎসর পূর্বে ডলফিনেরা নদী ও সমুদ্রতীরের জঙ্গলে বাস করতো । এক সময়কার স্থলজ প্রাণী লক্ষ বছরের অভিযোজনের মাধ্যমে জলজ প্রাণীতে অভিযোজিত হয়েছে ।
ডলফিন সম্পর্কে আশ্চর্যজনক কিছু তথ্য জানতে পারলাম। তবে আমার কাছে এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে যে ডলফিন ঘুমায়। একটা পুরোপুরি আশ্চর্যজনক তথ্য জানলাম যে ডলফিনের ব্রেন অর্ধেক ঘুমায় আর অর্ধেক জেগে থাকে।
ডলফিন সম্বন্ধে এই তথ্যগুলো আমি সম্পূর্ণরূপে নতুনভাবে জানতে পারলাম। ডলফিন সম্বন্ধে এত ইউনিক কথাগুলো আমি আগে জানতাম না। একটি ডলফিন যে এক লাফে এত উঁচুতে উঠতে পারে শূন্যের মাধ্যমে এটা অবাক করার বিষয়। থেকেও বেশি অবাক লেগেছে তাদের সংসারবদ্ধ পরিবেশে বসবাস করা। আর সমুদ্রের মধ্যে নাবিকদের তারা যে সহযোগিতা করে এটা বেশ দারুন লাগলো। আসলে প্রাণীরাও অনেক বেশি বন্ধু প্রিয় হয়। ডলফিন সম্বন্ধে সুন্দর কিছু আপডেট আমাদের অবগত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
জাহাজ দূর্ঘটনায় নাবিকদের রক্ষা করার ব্যাপার টা বেশ লেগেছে আমার কাছে। তাহলে তো সত্যিই ডলফিন রা মানুষের অনেক ভালো বন্ধু। প্রাচীন গ্রীসে ডলফিন হত্যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ছিল। ১০ নাম্বার ফ্যাক্ট টা সবচাইতে বেশি অবাক করেছে। অর্থাৎ ডলফিন একসময় স্থলজ প্রাণী ছিল। এবং ডলফিনের শূণ্যে ২০ ফুট লাফ দিয়ে উঠার ব্যাপার টাও ভালো ছিল। ডলফিন সম্পর্কে দারুণ কিছু তথ্য জানতে পারলাম আপনার পোস্ট থেকে ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ কিছু তথ্য উল্লেখ করেছেন যা আগে জানা ছিল না। যেমন,
ডলফিন হত্যার শাস্তি ছিল মৃত্যু দন্ড
তাদের ব্রেন অর্ধেক ঘুমায় আর অর্ধেক জেগে থাকে
আগে স্থলজ প্রাণী ছিল, এখন জলজ হয়ে গেছে।
ইত্যাদি।
অনেক এন্টারটেইনিং ছিল পোস্ট টা।
যতই পড়ছি, ততই যেন নতুন নতুন তথ্য জানতে পারছি। ডলফিন সম্পর্কে হালকা কিছু তথ্য জানতাম, এত বিস্তারিত নয়। দারুণ উপভোগ করলাম ব্লগটি।
এটা একেবারেই জানা ছিলো না আমার। ডলফিন সম্পর্কে যতই জানছি, ততই অবাক হচ্ছি। এই পোস্টটি পড়ে ডলফিন সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য গুলো জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক এমন তথ্যমূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।