FUN FACTS :: "আপনার পোষ্য বিড়াল সম্পর্কে এই তথ্যগুলো কি জানেন ?"
Copyright Free Image : Pixabay
গৃহপালিত বিড়াল সম্পর্কে নিচের এই তথ্যগুলো কি আপনি জানতেন ? বিড়াল আমাদের সকলেরই কম-বেশি প্রিয় । গৃহপালিত প্রাণীদের মধ্যে সর্বাধিক পোষ্য প্রাণী হলো কুকুর আর বেড়াল । মানব সভ্যতার বিকাশের একদম শুরুর দিকে মানুষ সর্বপ্রথম কুকুরকে পোষ্য করে, আর বেড়ালকে পোষ্য করতে বেশ কিছুটা দেরি হলেও খুব দ্রুত মানুষ বেড়ালকে আপন করে নেয় । কৃষি উদ্ভাবনের পর মানুষের সভ্যতা এক লাফে অনেকটাই উন্নত হয় । সেই সময় থেকে মানুষ যাযাবর জীবন পরিত্যাগ করে এক স্থানে বসবাস শুরু করে এবং শস্য উৎপাদন শুরু করার পাশাপাশি শস্য সংরক্ষণ করা শুরু করে । আর সেই সময় থেকেই ইঁদুরের হাত থেকে শস্য বাঁচানোর তাগিদে মানুষ সর্বপ্রথম বিড়ালকে গৃহে প্রতিপালিত করা শুরু করে ।
এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক বিড়াল সম্পর্কে চমকপ্রদ কয়েকটি তথ্য :-
০১. আপনি অবাক হবেন জেনে যে মানুষের জিনের সাথে বিড়ালের জিনের মিল প্রায় ৯০% ।
০২. আপনার বাড়ির পোষ্য বিড়ালটি আসলে বনের হিংস্র বাঘ, সিংহ, চিতা, লেপার্ড, জাগুয়ার,প্যান্থারের সমগোত্রীয় প্রাণী । বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ সবই আসলে বেড়াল ছাড়া আর কিছুই নয় । বাড়ির পোষ্য বিড়ালের জিনের সাথে বনের বাঘের জিনের ৯৫% মিল রয়েছে ।
০৩. সমগ্র স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে বিড়ালই একমাত্র প্রাণী যাদের জিহ্ববার টেস্টিং বাডের মিষ্টি স্বাদ নেওয়ার ক্ষমতা নেই । আপনার পোষ্য বিড়ালকে আপনি তাই যতই মিষ্টি দুধ খাওয়ান না কেনো সে আসলে মিষ্টির স্বাদ পাবে না ।
০৪. একদম ঘুরঘুট্টি অন্ধকারে যেখানে একজন মানুষ কিছুই দেখতে পায় না সেখানে আপনার পোষ্য বিড়ালটি দিনের আলোর মতো সব কিছু একদম পরিষ্কার দেখতে পায় ।
০৫. দুই বা ততোধিক হুলো বেড়াল যখন ঝগড়া করে তখন তাদের ঝগড়া হুবহু মানুষের গলায় ঝগড়া বলে ভ্রম হয় । দূর থেকে আপনি শুনে বুঝতেই পারবেন না যে ওটা মানুষের ঝগড়া নাকি হুলো বেড়ালের ঝগড়া ।
০৬. গৃহপালিত কুকুর দরকার হলে তার প্রভুর জন্য জীবন বিসর্জন অবদি দিতে পারে, কিন্তু, এই ব্যাপারে বেড়াল খুবই স্বার্থপর প্রাণী । সে নিজের আরাম আয়েশের পেছনের বেশিরভাগ সময় কাটাতে ভালোবাসে । তার প্রভু বিপদে পড়লেও সে নিরুত্তাপ থাকে ।
০৭. একটা বেড়াল কোনো সংকীর্ণ গর্ত বা দেওয়ালের ফুটো দিয়ে মাথা গলানোর আগে মুখের দু'পাশের গোঁফ দিয়ে মেপে দেখে । যদি মাপ ঠিক থাকে তবেই মাথা গলায় । আর এই মাপ একদম নিখুঁত হয় । মাথা গলাতে পারলে বাকি শরীরটাও অনায়াসে ঢুকে যায় ।
০৮. চার তলা সমান উঁচু কোনো স্থান থেকে বেড়াল পড়ে গেলেও কিচ্ছু হয় না তার । শরীরকে শূন্যে ভাসিয়ে চার পা টানটান করে যখন মাটিতে ল্যান্ড করে তখন চারটে থাবার নিচের নরম মাংসের প্যাডের উপর ভর দিয়েই সে নিজেকে সম্পূর্ণ সামলে নেয় ।
০৯. বেড়াল দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়েই কাটায় । একটা বেড়াল প্রতি ২৪ ঘন্টায় গড়ে ১২ ঘন্টার বেশি ঘুমায় ।
১০. আপনার পোষ্য বেড়ালটিকে দেখবেন প্রায়ই তার গোলাপি ছোট্ট জিহ্বাটি বের করে মুখ চাটে । এর পিছনে দু'টি কারণ । এক. বিড়াল খুব পরিচ্ছন্নতা ভালোবাসে, তাই সর্বদা মুখ ক্লিন রাখে । দুই. বেড়াল বাতাসে খাবারের ঘ্রাণ পায় এবং বাতাস থেকেই খাবারের স্বাদ নিতে বারে বারে জিহ্বা বের করে ।
নতুন অনেকগুলো তথ্য জানতে পারলাম, সত্যি কিছু বিষয়ে বেশ অবাক হয়েছি, এই জন্যই উপর হতে লাফ দিতে কখনো ভীত হয় না। অনেক ধন্যবাদ।
বাহ্ দারুণ তো! এই তথ্যগুলোর একটিও আমার জানা ছিল না।যারা বিড়াল পালে তাঁদের জন্য খুবই উপকারি।অনেক কিছু জানতে পারলাম বিড়াল সম্পর্কে এই পোস্টের মাধ্যমে।@labib2000 for you.
ইদুরের হাত থেকে শস্য রক্ষা করতেই বিড়াল পালন শুরু করে মানুষ এটা জানা ছিল না। বিড়ালের সাথে মানুষের জীনের অনেক মিল আছে এটা শুনেছিলাম। বিড়াল যে খুব অলস হয় এটা জানি। তারা দিনের অধিকাংশ সময় ঘুমিয়ে কাটাই। এবং আরও কিছু দারুণ ফ্যাক্ট আপনার পোস্ট থেকে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
বাহ্! চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। বিড়াল সম্পর্কে জানা অজানা অনেক তথ্য জানতে পারলাম। বিশেষ করে যাদের পোষ্য বিড়াল রয়েছে, তারা এই পোস্টটি পড়ে বেশ উপকৃত হবে। তবে কুকুর প্রভু ভক্ত, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। পোস্টটি পড়ে আসলেই খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বিড়াল সম্পর্কে এত বিস্তর ধারণা ছিল না, তবে কিছু কিছু বিষয় জানতাম। দারুণ উপভোগ করলাম লেখাটি।
অনেক জানা-অজানা তথ্য জানতে পারলাম আজকে। বিড়াল সম্পর্কে আমরা প্রতিটা মানুষই খুব কমই জানি, বেশ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।