Steemit-network contest || about my favorite writer
Image Source
আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন আপনারা সকলে ? আশা করছি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই খুব ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান স্টিম নেটওয়ার্ক এর একজম সদস্য। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার প্রিয় লেখক বেগম রোকিয়া সাখাওয়াত হোসেনের কিছু তথ্য শেয়ার করতে যাচ্ছি।
চলুন শুরু করা যাক ⤵️
নাম | বেগম রোকিয়া সাখাওয়াত হোসেন |
---|---|
জন্ম | ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০ |
জন্মস্থান | রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার অর্ন্তগত পায়রাবন্দ গ্রামে। |
পেশা | লেখক, শিক্ষাবিদ, কর্মী |
মৃত্যু | ৯ ডিসেম্বর, ১৯৩২ |
স্বামী | সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন |
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন হচ্ছে উনবিংশ শতাব্দীর একজন খ্যাতিমান সাহিত্যিক ও সমাজসেবক। তাকে বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে গণ্য করা হয়। তার প্রকৃত ছিল রোকেয়া খাতুন এবং পরে বৈবাহিক সূত্রে তার নাম দেয়া হয় বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। তার পিতার নাম ছিল জহির উদদীন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার এবং মাতার নাম ছিল রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানী। রোকেয়ার আরো দুই বোন ছিল যাদের করিমুন্নেসা ও হুমায়রা এবং তিন ভাই এর মধ্যে একজন শৈশবেই মারা যায়। তৎকালীন মুসলিম শিক্ষা অনুষদের রকেয়া ও তার বোন দের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাদেরকে ঘরের মধ্যে আবদ্ধ রেখে আরবি এবং উর্দু শিক্ষা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু রোকেয়া ছিল অনেক জ্ঞান পিপাসু একজন মানুষ যার কারণে সে তার বড় ভাই ইব্রাহিম এর কাছে ইংরেজি এবং বাংলা শিক্ষা গ্রহণ করে। রাতের বেলায় যখন তাঁর পরিবারের অন্য সকল সদস্যরা ঘুমিয়ে যেত তখন রোকিয়া মোমবাতির আলোয় তার ভাইয়ের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করত।
Image Source
বিয়ে
১৮৮০ সালে ১৮ বছর বয়সে রোকেয়ার বিয়ে হয় ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত হোসেন এর সাথে। যার কারণে তিনি রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নামে মানুষের কাছে পরিচিত হন। তার স্বামী ছিলেন একজন মুক্ত মনের মানুষ যার ফলে তিনি রোকেয়া কে স্বাধীনভাবে লেখালেখি করার সুযোগ দেন এবং স্কুল তৈরি করার জন্য আলাদাভাবে কিছু টাকা দেন।
সাহিত্যচর্চা
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন সাহিত্য চর্চা শুরু করেন ১৯০৯ সালে পিপাসা নামক একটা বাংলা গল্প লেখার মাধ্যমে।
জীবনযাত্রা
১৯০৯ সালে সাখাওয়াত হোসেন মৃত্যুবরণ করেন। পাঁচ মাস পর ভাগলপুরে রোকেয়া একটি মহিলা স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন যার নাম দেয়া হয় সাখাওয়াত হোসেন গার্লস মেমোরিয়াল স্কুল।১৯১০ সালে সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলার কারণে তিনি কি স্কুল বন্ধ করে কলকাতায় চলে যান এবং কলকাতায় যে তিনি ওই স্কুলটি পুনরায় চালু করেন।১৯৩০ সালের মাঝেই এটি একটি হাইস্কুলে রূপ লাভ করে। এর মাঝেই রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন স্কুলসহ তার বিভিন্ন সাহিত্য চর্চার সাংগঠনিক কাজে অংশগ্রহণ করেন।১৯১৬ সালে তিনি মুসলিম নারীদের জন্য একটি সংগঠন তৈরি করেন যার নাম তিনি দেন আঞ্জুমানে খানা দ্বীন ইসলাম। তার সবথেকে জনপ্রিয় রচনা টির নাম হচ্ছে sultana's dreem যার অনূদিত রূপের নাম সুলতানার স্বপ্ন। এটিকে বিশ্বের নারীবাদী সাহিত্যের একটি মাইলফলক হিসেবে ধরা হয়। তার অন্যান্য কিছু গ্রন্থ হল পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী, মতিচুর। তিনি তার গল্প-প্রবন্ধ ইত্যাদি এর মাঝে নারী সমাজের শিক্ষিত হবার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। তাঁর রচনায় দ্বারা তিনি সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন।
মৃত্যু
১৯৩২ সালে বেগম রোকোয়া সাখাওয়াত হোসেন মৃত্যুবরণ করেন সে সময় তিনি নারীর অধিকার নামে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। তার কবর উত্তর কলকাতার সোদপুরে অবস্থিত। তার নাম কে স্মরণ করে রাখার জন্য রংপুর বিভাগে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নাম অনুসারে একটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে।
Hi, @mostafezur001,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
The @ecosynthesizer Curation Team,
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP