• নবম শতাব্দীর গোড়ার দিক থেকে কক্সবাজার সহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলটি আরাকান রাজাদের অধীনে ছিল ১ 166666 খ্রিস্টাব্দে মুঘলদের দখলের আগ পর্যন্ত। মুঘল যুবরাজ শাহ সুজা আরাকানে যাওয়ার পথে যখন বর্তমান কক্সবাজারের পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি এর প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং মনোরম সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়েছিলেন। তিনি তাঁর বাহিনীকে সেখানে শিবির স্থাপনের আদেশ দিলেন। এক হাজার পালকি নিয়ে তাঁর ফিরে আসা কিছু সময়ের জন্য সেখানে থামল। দুলাহাজারা নামে একটি জায়গা, যার অর্থ "এক হাজার পালকি", এখনও অঞ্চলটিতে রয়েছে। মোঘলদের পরে জায়গাটি টিপরাস এবং আরাকানিজের নিয়ন্ত্রণে আসে, পর্তুগিজ এবং তারপরে ব্রিটিশদের দ্বারা।

কক্সবাজার নামটি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অফিসার ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সের নাম থেকেই উদ্ভূত, যিনি পালোনকি (আজকের কক্সবাজার) ফাঁড়ির সুপারিনটেন্ডেন্ট হিসাবে নিযুক্ত হন। তিনি ওয়ারেন হেস্টিংসের স্থলাভিষিক্ত হন, যিনি ১73 in the সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আইন অনুসারে বাংলার গভর্নর হন। কক্স এই অঞ্চলে আরাকানি শরণার্থীদের পুনর্বাসন ও বন্দোবস্তের কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি এই অঞ্চলে অনেক শরণার্থীকে পুনর্বাসিত করেছিলেন, তবে কাজ শেষ করার আগেই 1799 সালে তিনি মারা যান। তাঁর স্মরণে একটি মার্কেট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল এবং তার নামে নামকরণ করা হয় কক্সবাজার নামে। কক্সবাজারটি প্রথম 1854 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং 1869 সালে পৌরসভায় পরিণত হয়েছিল।

১৮৫7 সালে সিপাহী বিদ্রোহের পরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী মানবিক ভিত্তিতে বিশেষত ভারতীয় উপ-মহাদেশের আফিম বাণিজ্য একচেটিয়াদের জন্য সমালোচিত হয়েছিল। যাইহোক, 1874 সালের 1 জানুয়ারির বিলুপ্ত হওয়ার পরে, তার সশস্ত্র বাহিনী সহ সংস্থার সম্পদগুলি ব্রিটিশ ক্রাউন দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। এই অধিগ্রহণের পরে কক্সবাজারকে ব্রিটিশ মুকুটের অধীনে বঙ্গীয় প্রদেশের জেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।

কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে উপকূলীয় সমভূমিতে অবস্থিত। উপরে থেকে সমভূমিটি বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হতে দেখা যায়। তীরে বরাবর সৈকত এবং টিলা বিস্তৃত অঞ্চল। শহরটির বেশিরভাগ অংশটি প্লাবনভূমিতে নির্মিত যা টিলাগুলির তুলনায় উচ্চতা কম এবং এটি ঘূর্ণিঝড় এবং ঝড়ের জেরের কারণে বন্যার পক্ষে বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়েছে। প্রায় সাড়ে 500০০ বছর আগে সমুদ্রের বর্তমান স্তরে পৌঁছানোর পরে কক্সবাজার উপকূলীয় সমভূমিটি গঠিত হয়েছিল, বর্তমান বন্যভূমিটির অঞ্চলটি মূলত বাকলখালী নদীতে ভরাট হয়ে ছোট ছোট স্রোতধারা থেকে ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে যাওয়ার পরে পলির ডোবা গঠন করেছে। পাহাড়.

বাংলাদেশের জলবায়ু বেশিরভাগ গ্রীষ্মমন্ডলীয় বর্ষার অঞ্চলে এর অবস্থান দ্বারা নির্ধারিত হয়: উচ্চ তাপমাত্রা, ভারী বৃষ্টিপাত এবং সাধারণত অতিরিক্ত আর্দ্রতা স্বতন্ত্র হ্রিতু পরিবর্তনের সাথে। কক্সবাজারের জলবায়ু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো। এটি উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থান দ্বারা আরও বৈশিষ্ট্যযুক্ত। কক্সবাজারে বার্ষিক গড় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ 34.8 34 C (94.6 ° F) এবং সর্বনিম্ন 16.1 ° C (61.0 ° F) হয়। বৃষ্টিপাতের গড় পরিমাণ 3,524 মিমি (138.7 ইঞ্চি)।