Better Life With Steem || The Diary game || 22 February
আমি এবং জাওয়াদ রাতের বেলা
সকালে ঘুম থেকে উঠলাম ঘুম থেকে উঠে দেখি সকাল ৯ টা ৩০ মিনিট বাজে। তারপর ফ্রেস হলাম ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া করলাম খাওয়া-দাওয়া করার পর কাজের উদ্দেশ্যে বের হলাম। বের হয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাসস্টপে গেলাম।
সচারাচর আমি আমার বাইকে যাই, আজকে নিয়ে আসতে পারিনি তাই বাসে যেতে হবে। বাস স্টপে দাঁড়িয়ে ছিলাম বাসের জন্য। অবশেষে বাস আসলো তারপর আমি বাসে উঠলাম ওঠে খিলগাঁও পুলিশ ফাঁড়ি নামলাম তারপর পাঁচ মিনিট হেঁটে গেলাম অর্থাৎ তালতলা মার্কেটে পৌঁছালাম। তখন বাজে প্রায় সাড়ে দশটা। ডিউটিতে আসতে আসতে প্রায় আমার ৩০ মিনিট দেরি হয়ে গেছে।
কর্মস্থল
বস: কি ব্যাপার জহির আজকে দেরি হলো কেন?
আমি: ভাই বাসে আসছি রাস্তায় জ্যাম ছিল।
বস: একই অজুহাত আর কত দিন চলবে?
আমি: আর দেরি হবে না বস।
বস: প্রতিদিন তো একই কথা বলো।
আমি: সত্যি বলতেছি বস আর দেরি হবে না।
বস: দেরি হলে কিন্তু ১০০ টাকা বেতন কাটবো।
আমি: জি ঠিক আছে।
আমি আমার মতো ডিউটি করলাম ডিউটি করতে করতে লাঞ্চের সময় হয়ে গেল তারপর লাঞ্চ করলাম। দুপুরে খাবারের পর অনেক ঘুম ধরে কিন্তু কি আর করার ঘুমাইতে পারি না। কারণ পরের চাকরি করি। আমার ডিউটি শেষ হয় ৯:৩০ মিনিটে, আমি এখান থেকে বের হয়ে তারপর আরেকটি কাজে যাই যেখানে আমার সময় বারোটা পর্যন্ত।
ডিউটি করে বাসার দিকে রওনা হই, বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমার আধা ঘন্টা সময় লাগে, বাসার গেটে যখন আমার ছেলের নাম ধরে যখন ডাক দেয় তখন, ছেলের বয়স সবে মাত্র দেড় বছর বয়স।
আমার ছেলে জাওয়াদ
আমি : জাওয়াদ, এই জাওয়াদ
ছেলে: আসি
ছেলে এবং মা দুজনেই এসে যখন গেইট টা খুলে, তখন আমার ছেলে আমাকে দেখে বাবা বলে ডেকে আমার কোলে চলে এসে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ। রুমে যাওয়ার পর আমার প্যান্ট এর পকেটের দিকে ইশারা করে বলে দাদা, দাদা বলার কারণ হলো ও যখন বেশি দুষ্টুমি করে বা কান্না করে তখন আমি বলি যে দাদার কাছে বিচার দিবো তখন সে চুপ হয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পর আবার মোবাইল এর জন্য অস্থির হয়ে উঠে, মোবাইল না দিলে জেদ করে। মোবাইল টা বাধ্য হয়েই দিতে হয়, তারপর সে টিকটকে প্রবেশ করে ভিডিও দেখে, যে ওর ভালো লাগে সেটা শুনে ডান্স করে। এই সময় টা তে আমি খাওয়া দাওয়া শেষ করি, তারপর কিছুক্ষণ ছেলে আর আমি দুষ্টুমি করি, দুষ্টুমি করতে করতে ও ঘুমিয়ে যায়। আমি কিছুক্ষণ কাজ করি অনলাইনে তারপর ঘুমিয়ে যায়।
আবার সেই সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কাজে যেতে যেতে সাড়ে দশটা বেজে যায়। আবার সেই বসের ডায়লগ শুনতে হয়। আমারও সেই ডায়লগ বস আর লেইট হবে না। এভাবেই চলে যাচ্ছে দিন।
@zohirsekh অনেক ধন্যবাদ এই পরিবারের সাথে যুক্ত হবার জন্য। আশাকরি আমাদের সাথে দীর্ঘ পথ চলার অঙ্গীকার নিয়ে আপনি এখানে সংযুক্ত হয়েছেন।
আজকে আপনার লেখায় প্রথম যে বিষয়টি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সেটা হলো সন্তানের সাথে এক পিতার মন ভোলানো হাসি।
আপনারা দুজন একবার টেলিভিশন এ যোগাযোগ করতে পারেন টুথ পেস্ট এর বিজ্ঞাপনের জন্য, অন্ততপক্ষে আপনাদের শুভ্র হাসি দেখে কিছু টুথপেস্ট বিক্রি হবে সেই কোম্পানির এই ব্যাপারে আমি শতভাগ নিশ্চিত।😜🤣
মজা করলাম, অন্য ভাবে নেবেন না।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঘুম থেকে উঠতে লেট হলে অফিস যেতে দেরি হবে এটাই স্বাভাবিক। অবশ্য অজুহাতও রেডিই থাকে যে জ্যামে পরেছিলাম বস।এটা একটা কমন অজুহাত।
আজকে খুব সম্ভবত যমুনা টেলিভিশনের নিউজেই দেখলাম যে, সরকারি অফিসে মক্সিমাম কর্মচারীই লেট করে এসেছে। সাংবাদিকদিকদের প্রশ্নের একটাই উত্তর দিতেছে সবাই যে রাস্তায় জ্যাম ছিলো।
ছোট বাচচারা বাবা মায়ের শব্দ পেলে ছুটে আসে এটা খুব ভালো লাগে।
আমার এক কাজিন এর নামও জাওয়াদ। আপনার ছেলের হাসিটা মাশাল্লাহ কিউট।
ভলাো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ
@zohirsekh,
আপনার পোস্টটি দেখেই একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করছিল। এটা ভেবে ভালো লাগছিল যে আমরা আরো একজন পরিবারের সদস্য পেয়েছি।
পাশাপাশি, আমি এটা দেখলাম যে আপনি আপনার দৈনন্দিন ক্রিয়া-কলাপ সম্পর্কে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। প্রতিদিন যাতায়াতের জন্য নিজস্ব পরিবহনই উত্তম।
কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফেরার সাথে সাথে দৌড়ে এসে সন্তান জড়িয়ে ধরলে একজন পিতার মতো সুখি মানুষ হয়ত আর কেউ হয় না। ভালো লাগলো আপনার সাথে আপনার ছেলের দুষ্টুমি দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠেন তারপর অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন তারপর সেখানে পৌছে যান ৷ আর অফিসে যেতে দেরী হয় বস তো একটু ঝারি মারবেই ৷ কি আর করার আপনাকেও তো একটা কিছু বলতে হবে ৷
বেশ মজা পাইলাম আপনার পোস্ট টি পড়ে ৷
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ৷ আশা করি আমাদের পাশে থেকে এভাবেই সামনের দিন গুলো এগিয়ে যাবো ৷