Better life with steem || The Diary Game || 21 May, 2024 ||
সকাল বেলা |
---|
HELLO FRIENDS,,
শুভ সকাল বন্ধুরা প্রতিদিনের মত আজকেও খুব সকালে উঠলাম ৷ সকাল বেলা উঠে আগে একটু হাঁটাহাটি করে নিলাম তারপর বাড়িতে এসে ব্রাশ করে বই পড়তে বসলাম আমার অনার্স ফাইনাল ইয়ারের পরিক্ষা চলতেছে আগে তো পড়াশুনা করিয়ে না পরিক্ষা যখন আসে তখন বই নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ি ৷
যাই প্রায় ২ ঘন্টা বই পড়লাম তারপর দোকানে গেলাম নাস্তা করার জন্য ৷ দোকানে গিয়ে মনমানেনা রুটি আর চা নিয়ে ভিজিয়ে খাইলাম ৷ তারপর বাড়িতে চলে আসলাম ৷ আজকে আমাদের এলাকায় উপজেলা নির্বাচন ভোট সারদিন ভোট কেন্দ্রে ভোট চলবে ৷ কিছুক্ষণ পর বের হয়ে গেলাম ভোট দিতে যাওয়ার জন্য ৷ প্রায় এক কিলোমিটার যেতে হবে রাস্তায় এসে একটা ভ্যান নিলাম তারপর চলে গেলাম ভোট কেন্দ্রে ৷
ভোট কেন্দ্রে তেমন কোন ভিড় ছিলো না আমি একাই রুমের ভিতরে প্রবেশ করলাম তারপর সিরিয়াল নাম্বার টোকেন টা দিলাম তারা আমাকে তিনটি কাগজ দিলো সেই তিনটি কাগজ আর আর সিল নিয়ে আমি ভিতরে প্রবেশ করে আমার পছন্দ মত যোগ্য ব্যাক্তি কে ভোট দিলাম ৷
যে রোদ পড়েছে সেখানে আর বেশী দেরী করলাম না একটু আড্ডা দিয়ে চলে আসলাম বাড়িতে ৷ তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম ৷
দুপুর বেলা |
---|
প্রায় দুপুর হয়ে গেলো সকালের ভাত দুপুরে খেয়ে নিলাম ৷ তারপর কাজে চলে গেলাম ভূট্টা গুলো মাড়াই করেছি আর ভূট্টার খোসা গুলো রোদে শুকাতে দিতে হবে ৷ ভূট্টার খোসা গুলো ভালো ভাবে শুকিয়ে নিলে পরবর্তীতে ভাত রান্নার কাজে ব্যবহার করা যাবে ৷
আমি প্রায় দশ বস্তার মত ভূট্টার খোসা রোদে শুকাতে দিলাম ৷ এভাবে প্রায় দুই থেকে তিন রোদে শুকাতে হবে যেন দীর্ঘদিন সময় পরে থাকলে ভূট্টার খোসা গুলো নষ্ট হয়ে না যায় ৷
বিকেল বেলা |
---|
ভূট্টার খোসা গুলো বিকেল বেলা আবার বস্তায় ভরে রাখলাম পানিতে কোন ভাবেই ভেজানো যাবে না তা না হলে এত দিনের কষ্ট বিফলে চলে যাবে ৷
কাজ শেষ করে স্নান করলাম তারপর খাওয়া দাওয়া করে চলে আসলাম স্কুল মাঠে সেখানে গিয়ে একটু আড্ডা দিলাম সবাই মিলে ৷
সন্ধ্যা বেলা |
---|
সন্ধ্যা হয়ে আসতেছে আর এই দিকে আমাদের বাড়ির পাশের দোকান গুলাতে অনেক মানুষের ভিড় জমেছে সবাই আনাগনা শুরু করে দিছে ভোটে কে জিতবে এই বার তারপর আমিও ফোনে দেখতেছি সব আপডেট গুলো ৷ আমরা চাই হেলিকপ্টার মার্কা যেন বিজয়ী লাভ করে একেক জন একেক দলের সাপোর্ট নিয়ে অনেক টেনশনে আছে ৷
তারপর বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রের আপডেট জানতে পারলাম সবার চেয়ে হেলিকপ্টার মার্কা এগিয়ে রয়েছে ৷ যাই হোক দোকান পারে আর দেরী করলাম না চলে গেলাম চৌরাস্তায় সেখানেও অনেক মানুষের ভিড় ৷ হঠাৎ কিছুক্ষণ পরেই জানতে পারলাম হেলিকপ্টার মার্কা বিজয়ী লাভ করেছে ৷ মন টা অনেক হালকা হলো কিন্তু আমার তিনটি ভোটের মধ্যে একটি কাজে লেগেছে যেটা হলো হেলিকপ্টার মার্কা যিনি হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ৷
তারপর দোকান থেকে একটা স্প্রিড খাইলাম খেয়ে সোজা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম ৷ বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া করে বই পড়লাম আর বই পড়া শেষে পোস্ট লিখতে শুরু করে দিলাম ৷
তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই ৷ সবাই কে জানাই শুভ রাত্রি 🌼
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | ভিভো Y11 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/slotted.inward.quartered |
দেশের নাগরিক হিসাবে নিজের দায়িত্ব পালন করলেন, ভোট দেওয়ার মাধ্যমে। আমাদের এখানে এখনও ভোট শুরু হয়নি তবে তার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো প্রার্থী বাড়িতে আসছে ভোট চাইতে। বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া করে ভুট্টার খোসা ছাড়িয়ে ছিলেন, বেশ দায়িত্ববান ছেলে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যা ভাই আমরা দেশের নাগরিক আর নাগরিক হিসেবে ভোট দিতে যেতেই হবে ৷ আর বর্তমান সময়ে কাকে বিশ্বাস করবেন যেই মানুষই ভোটে জয়ী হোক না কেন জয়ী হওয়ার পর কেউ পিছনে ফিরে তাকায় না ৷ ধন্যবাদ আপনাকে ,,
দেশের নাগরিক হিসাবে ভোট দেওয়া আমাদের কর্তব্য। আপনি ঠিকই বলেছেন, ভোটের সময় বাড়িতে এসে কত কথা, কত আশ্বাস দিয়ে যায় আর ভোট শেষে জয়ী হলে তাদের আর খোজ পাওয়া যায় না, এটাই দুঃখজনক। কাউকে বিশ্বাস করা খুব কঠিন। ভালো থাকবেন।
আমি ভোট দিতে যাইনি কেননা আমাদের এখানে একটু ঝামেলা হয়েছিল। তাই ভয়ে আর যাওয়া হয়নি। তবে ভোট খুব সুন্দরভাবেই সম্পূর্ণ হয়েছে। যারা বিজয়ী হয়েছে তাদের জন্য তো অনেক অনেক শুভকামনা। আপনিও ভোট দিয়েছেন বেশ ভাল কাজ করেছেন। একজন সঠিক নাগরিকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ভুট্টার খোসা এত কষ্ট করে শুকানোর পর, আবার যদি সেটা বৃষ্টির পানিতে ভিজে যায় তাহলে আপনার কষ্ট দ্বিগুণ হবে এটা একেবারেই ঠিক কথা বলেছেন, বিকেল বেলায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া সহ, পরিবারের সমস্ত কাজ আপনি খুব সুন্দর ভাবেই গুছিয়ে নিয়েছেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বেশ কিছু ভোট কেন্দ্রে মাঝে মাঝে ঝামেলা হয় আর এই ঝামেলা গুলো বেশীরভাগে প্রার্থীরা করে থাকে ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন ,,,,
কি আর বলবো আসলে আমি ভোট দেয়ার অনেক চিন্তাভাবনা ছিল। কিন্তু এই ঝামেলার কারণে আর ভোট দেয়া হয়নি। একেবারে মারামারি হয়ে গেছে একজনের মাথা ফেটে গেছে, কারো হাতে ব্যথা পেয়েছে। যার কারণে ভয়ে আমার মা বলল যে ভোট দিতে হবে না। বাসায় থাকো এটাই ভালো। সেজন্য আর যাওয়া হয়নি।
আমাদের ইন্ডিয়াতে এখন লোকসভার ভোট চলছে। কলকাতায় ভোটের দিন পড়েছে পয়লা জুন। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকেরই ভোট দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। ভুট্টার খোসা দিয়ে কান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায় এটা আমি জানতাম না। ধন্যবাদ বিষয়টি পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য।
আমরা বিগত পোস্টটি অবগত হয়েছি আপনার অনার্স ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। দোয়া করি আপনি যেন সবগুলো পরীক্ষা ভালো ভাবে দিতে পারেন।
আপনাদের ওইদিকে উপজেলা কেন্দ্রের ভোট শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে ভোট দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। আপনি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছেন।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।