HELLO.

everyone,,

শুভ সকাল বন্ধুরা,, চলে আসলাম আপনাদের মাঝে আজকের সারাদিনের সংক্ষিপ্ত কার্যক্রম গুলো নিয়ে তাহলে চলো শুরু করা যাক ৷

আজকে একটু বেশী সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম কারণ ধান ক্ষেতে যেতে হবে নিড়ানির জন্য যার জন্য মূলত আজকে একটু সকালেই ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে ৷ বেশ কয়েকদিন থেকে যে পরিমাণে রোদ উঠে সকাল ১১ টার পর আর কোন ভাবে ধান ক্ষেতে থাকা যায় না ৷

আর এদিকে ধান ক্ষেত নিড়ানি দিতে অনেক কষ্ট জমিতে কোন পানি নেই ঘাস গুলো খুব শক্ত হয়ে আছে একটু জমি নিড়ানি করতে দিনের হাফ বেলা শেষ হয়ে যায় ৷

কি আর করার সকাল ৭ টার সময় নাস্তা খেয়ে ধান ক্ষেতে গেছিলাম তারপর আস্তে আস্তে যে পরিমাণে রোদের তাপ বাড়তেছে পরে সকাল ১০ টার আর না পেরে বাড়িতে চলে আসি ৷ তারপর বাড়ি এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম তারপর খাওয়া দাওয়া করে আবার সাহস করে চলে গেলাম ধান ক্ষেতে অনেক কষ্ট মষ্ট করে এক ঘন্টার মত নিড়ানি দিয়ে চলে আসি বাড়িতে ৷

তারপর একটু বিশ্রাম নিয়ে স্নান টা সেরে ফেললাম তারপর খাওয়া দাওয়া করে রুমে এসে শুয়ে পরি তারপর ফোন চাপতে চাপতে কখন যে ঘুমিয়েছিলাম নিজেও জানি না ৷

বিকেল বেলা

বিকেল চার টার সময় ঘুম থেকে উঠেছিলাম তারপর দেখি কারেন্ট চলে গেছে এই দিকে পুরো শরীর ঘামে ভিজে গেছে তারপর রুম থেকে বাইরে আসলাম আর বাইরেও অনেক তাপ যাই হোক কিছুক্ষণ বাইরে বসে থাকলাম ৷

তারপর কারেন্ট টা আসলে আবার স্নান করে নিলাম ৷ প্যান্ট টি শার্ট পরে বাইরে বের হয়ে গেলাম তারপর দেখি হালকা বাতাস বয়ে চলছে বেশ ভালোই লাগছে ৷ হঠাৎ ফোন আসে ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম এক ছোট ভাই ফোন করছে তার একটা বাইক আছে মাঝে মধ্যে বিকেল বেলা একটু ঘুরাঘুরি করি ৷

তারপর সে বললো আজকে পাগলার ঝালমুড়ি খেতে যাবো আমি ও বললাম চলো যাই মেলা দিন হয়ে গেলো পাগলার ঝালমুড়ি খাওয়া হয় না ৷ আমাদের বাড়ি থেকে সাত কিলোমিটার দুরে একটি বাজারের পাশে একটি ছোট ঝালমুড়ির দোকান রয়েছে আর গ্রামের মানুষেরা সেই ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে পাগলার ঝালমুড়ি নামে পরিচিতি লাভ করিয়েছিল ৷

তার তৈরি করা ঝালমুড়ি গুলো খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে যার জন্য বিকেল বেলা প্রায় দিনই তার দোকানে অনেক মানুষের ভিড় জমে ৷ ঝালমুড়ি খাওয়া শেষ হলে সেখান থেকে চলে আসি আমরা ৷

সন্ধ্যা বেলা

অনেক ঘুরাঘুরি করার পর আমরা বাড়িতে চলে আসি তারপর মাঠে সবাই মিলে আড্ডা দিতে থাকি কিন্তু যে মশা সেখানে আর আড্ডা দেওয়া হলো না , চলে আসলাম আমাদের বাড়ির পাশের গ্রামের দোকান গুলাতে সেখানে বসে কিছুক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পর সবাই সবার বাড়িতে চলে আসলাম ৷

বাড়িতে ফ্রেশ হয়ে নিলাম তারপর রুমে এসে ফ্যানের বাতাসে বিশ্রাম নিতে লাগলাম ৷ এই দিকে আমার মা আমাকে ডাকতেছে কাতলা মাছের ডিমের ভাজি খাওয়ার জন্য আমি রান্না ঘরে গিয়ে গরম কাতলা মাছের ডিমের ভাজি প্লেটে নিয়ে খেতে লাগলাম ৷ আহ্ সেই টেষ্ট গরম গরম মাছের ডিম ভাজি বেশ ভালোই লাগে ৷

তো বন্ধুরা আজকে এই ছিল আমার সারাদিনের সংক্ষিপ্ত কার্যক্রম যেগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবাই ৷ শুভ রাত্রি !!