Better Life with Steem|| The Diary Game||14 january 2024||
সকাল বেলা |
---|
নমষ্কার বন্ধুরা ,,
আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন ? আমি ও বেশ ভালো আছি ৷ তাহলে চলো শুরু করা যাক আজকের দিনটি আমার কেমন করে অতিবাহিত হলো ৷
- ১৪ জানুয়ারি রোজ রবিবার,,
বর্তমান শীতকাল আর শীতকালে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠার কোন ইচ্ছেই করে না ৷ তারপরও আমাদের উঠতে হয় ৷ কারণ আমারা গ্রামের ছেলে আমাদের সকাল বেলা উঠে নানা ধরনের কাজে যেতে হয় ৷ তো আমি সকাল আট টার দিকে ঘুম থেকে উঠি বাইরে গিয়ে দেখি প্রচন্ড কুয়াশায় ভরে গেছে ৷
একটু পরেই দেখতে পেলাম হালকা ভাবে সূর্য টা দেখা যাচ্ছে তবে সূর্য উঠার দৃশ্যটা আসলেই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ৷ তারপর আমি একটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম সূর্য উঠার দৃশ্যটা দেখে ৷ তারপর ফ্রেশ হয়ে নাস্তা পানি সেরে বাইরে আসলাম যে ঠান্ডা পড়েছে কাজে যাবো কি না সেটা ভাবতে ভাবতে আর কাজে যাওয়া হলো না ৷
তারপর বাইরে একটু ঘুরাঘুরি করে বাড়ির কাছে এসে দেখি আমার একটা দাদি আগুনের পোড় ধরাচ্ছে আমি সেখানে চলে গেলাম আর সেখানে কিছুক্ষন আগুন তাপালাম ৷ কিছুক্ষন আর ভালো লাগছে না সেখান থেকে বাড়িতে চলে আসি ৷ রুমে এসে কিছুক্ষন শুয়ে থাকলাম তারপর স্টিমিট প্লাটফর্মে গিয়ে বন্ধুদের পোস্ট পরিদর্শন করে ও পোস্ট গুলো পড়ে বেশ কয়েকটি কমেন্ট করলাম ৷ তারপর একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু ঘুম আর আসে না ৷ এভাবে এভাবে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম ৷
দুপুর বেলা |
---|
ঘুম থেকে উঠে ঘড়ির দিকে তাকাই প্রায় এক টা বেজে গেছে ৷ ঠান্ডার দিন একটু তারাতারি স্নান সেরে ফলেটাই ভালো মানের কাজ হবে ৷ তাই তারাহুড়ো করে মটর দিয়ে স্নান টা করে ফেললাম ৷ সকাল বেলা নাস্তা খেয়েই আছি আসলে শীতের সময়ে তেমন খিদে লাগে না তাই হয়তো দুপুর পর্যন্ত থাকতে পেরেছি ৷
দুপুরে খিচুরি রান্না করেছিলো আমার মা ৷ তার সাথে এখন আমাকে একটি গরম ডিম ভেজে দিলো আর আমি খিচুরি আর গরম ডিম ভাজি দিয়ে দুপুরের খাওয়া টা সেরে ফেললাম ৷ গরম খিচুরি আর গরম ডিম ভাজি খাবার টা বেশ মজা লাগলো ৷
খাওয়া দাওয়া শেষ করে কি করবো ভেবে পাচ্ছি না রুমে শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করে না ৷ তাই বাড়ির আশেপাশে একটু ঘুরাঘুরি করলাম ঘুরে আবার রুমে চলে আসলাম ৷ এসে একটি মুভি দেখা শুরু করলাম ৷ মুভি দেখতে দেখতে প্রায় বিকাল হয়ে যায় ৷
বিকাল বেলা |
---|
বিকেল বেলা হঠাৎ করেই আমার বাবা আমাকে বলে জমি ভেজানো হচ্ছে জমিতে পানির দেওয়া হয়েছে একটু দেখে আয় আর পানি হয়ে গেলে যেনো পানির লাইন টা অন্য মানুষকে দিয়ে চলে আসি ৷ আমি আর দেরী না করে আমাদের ক্ষেতে চলে যাই গিয়ে দেখি আর বেশীক্ষন লাগবে না পানি ভরাট হতে ৷
তারপর আমি একজায় বসে গেম খেলা শুরু করলাম ৷ আর গেম খেলতে খেলতে কখন যে এক ঘন্টা পার রয়ে গেলো বুঝতেই পারলাম না ৷ তারপর জমিতে গিয়ে দেখি পানি ভরাট হয়ে গেছে ৷ তখন আমি পাশেই একজন মানুষকে ডেকে তাকে পানির লাইন টি দিয়ে দিলাম ৷ তারপর আমি সেখান থেকে চলে আসি ৷
রাতের বেলা |
---|
রাতের বেলা বাজারে গেলাম দরকারী কাজ ছিলো জন্য ৷ দরকারী কাজ বলতে আমার অনার্স তৃতীয় বর্ষের ফরম ফিলাপের অনলাইন কপি বের করার জন্য মূলত বাজারে যাওয়া ৷ অনলাইন কপি টা বের করে নিয়ে বেশ কিছুক্ষন চাকরির পত্রিকা পড়লাম ৷
তারপর সেখান থেকে চলে এসে একটি ভাজা পড়ার দোকানে যাই সেখানে বড় এবং গুলগুলা বেশ সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে বেশ সুস্বাদু ৷ সেখানে গিয়ে চার টা বড়া ও দুই টা গুলগুলা খেয়ে নিলাম ৷ প্রতি পিচ দুই টাকা করে বিক্রি করে থাকে যার জন্য সবসময় এই দোকানে ভিড় দেখতে পাওয়া যায় ৷
অবশেষে বাড়ি চলে আসলাম ৷ বাড়ি এসে অল্প কিছু খাওয়া দাওয়া করে পোস্ট লেখা শুরু করলাম ৷ তো বন্ধুরা আমার পোস্ট লেখা শেষ হয়ে গেলো ৷
আজকের সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম ৷ কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন ৷ আমার লেখাটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷ শুভ রাত্রি!
THE END |
---|
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | ভিভো Y11 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/slotted.inward.quartered |
কদিন থেকেই আসলে প্রচুর রকমের শীত পরেছে যার কারনে সবারই উঠতে সমস্যা হয়।আর আপনাদের এলাকয়তো আরও ঠান্ডা পরে। এর মাঝে উঠে কাজে যাওয়াটা খুবই কস্টের একটা কাজ।যার কারনেই আজকে আর কাজে যান নাই আপনি।
আপনার দাদি আগুন জ্বালিয়েছিলেন।আমি ছোটবেলায় এমন আগুন জ্বালাতে দেখতাম এখন আর চোখে পরে না খুব একটা।
আপনার দিনলিপি পড়ে ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন আপনিও ... দিনটি আপনার শুভ হোক ৷
ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে কি প্রচন্ড কুয়াশা পড়েছে আপনাদের গ্রামে। সূর্য ওঠার দৃশ্যটা সত্যি খুব ভালো তুলেছেন। আমার আবার দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর প্রচন্ড ঘুম পায়, দুপুরে আমি বাড়িতে থাকলে না ঘুমিয়ে পারি না। তা আপনি কি মুভি দেখছিলেন দুপুরে?
হুম ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর করে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷ শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ৷
সকালে ঘুম থেকে উঠেছেন এবং আপনার মায়ের হাতের রান্না খিচুড়ি ডিম ভাজা শীতের সময় গরম গরম খেতে যে কি মজা।
এর পরে আপনার বাবার কথা মত জমিতে পানি দিতে গিয়েছিলেন এবং যে ফটোগ্রাফি টা তুলেছেন সেটা কিন্তু সত্যিই অসম্ভব সুন্দর হয়েছে।।
বিকালে আপনার দরকারি কাজে বাজারে গিয়েছিলেন অনার্স তৃতীয় বর্ষের বছরের ফরম ফিলাপ করতে হয়েছে । সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি দিন পার করেছেন।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন আপনিও ...
ঠান্ডার সময় আমাদের সময়টা কত তাড়াতাড়ি পার হয়ে যায়। সেটা আমরা বুঝতেও পারি না। তাই হয়তোবা আপনি সকালের নাস্তা না খেয়ে অনেকটা সময় পার করে দিয়েছেন। দুপুর বেলায় গরম গরম খিচুড়ি খেয়েছেন ডিম ভাজা দিয়ে।
আপনার বাবার কথা অনুযায়ী জমিতে গিয়েছেন পানি ঠিকমতো দেয়া হয় কিনা, সেই বিষয়টা দেখার জন্য। সেখানে গিয়ে এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি আপনি তুলেছেন। যেটা দেখতে অনেক বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে সন্ধ্যায় আবারও দোকানে গিয়েছেন আপনার ফরম ফিলাপের কাগজ ফটোকপি করার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন আপনিও ...
দুপুরবেলা গরম গরম খিচুড়ি এবং সেই সাথে ডিম ভাজা খেয়েছেন ফটোগ্রা দেখে খুব ভালো লাগছে।
তারপর বাবার কথা অনুযায়ী জমিতে পানি দিতে গেলেন। সেখানে গিয়ে যে একটা ফটোগ্রাফি তুললেন অসম্ভব সুন্দর হয়েছে ফটোগ্রাফি টা। তারপর সন্ধ্যায় আবার একটু বাজারে গেলেন এবং বাজা পড়া খেলেন।
থ্যাংক ইউ আপনার সারাদিনই ব্যস্তময় দিনগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন আপনিও ...
বর্তমান সময়ে শীতের প্রবাহ যেন কমছেই না।। প্রায় ১০-১২ দিন হয় রোদের দেখা পাই না বললেই চলে।। আজ মায়ের হাতে খিচুড়ি খেয়েছেন শীতের সময় খিচুড়ি খেতে বেশ মজা লাগে।।
ফরম ফিলাপের জন্য অনলাইন কপি বের করতে গেছিলেন। আমারও বের করতে হবে ভাই আমিও অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ি।।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন আপনিও ...
আপনার আগুন তাপানোর কথা শুনে আমার গ্রামের জীবনের কাটানো দিনগুলর কথা বেশ মনে পড়ে গেল। আগে প্রত্যেকদিন এভাবে আগুন জালিয়ে তাপ নিতাম সকাল এবং রাতে। পাশাপাশি পলিকনিক হতো।
আপনার একটা ছবি খুব সুন্দর লেগেছে। মেশিন থেকে পানি তোলার ছবিটি।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন আপনিও ...